আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘মাথা গোঁজার ঠাঁই করিয়া দেয়ায় শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-২৩ ২০:৫৮:২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুলাউড়া :: ‘আমার মেয়েকে নিয়ে খুব অসহায় আছিলাম (ছিলাম)। স্বামী পরিত্যাক্তা আমি। শেখ হাসিনায় আমারে মাথা গোঁজার ঠাঁই করিয়া দেওয়ায় আমার খুব উপকার হইছে। এতে আমি হাসিনার কাছে খুবই কৃতজ্ঞ।’

২৩ জানুয়ারি শনিবার ভূমিহীন ও গৃহহীন কুলাউড়া উপজেলার জয়চণ্ডি ইউনিয়নের স্বামী পরিত্যক্তা নিপালী রাণী দাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জমিসহ ঘর পেয়ে কথাগুলো বলেন। একই এলাকার দিন মজুর নির্মল দাস, শিতেষ দাসও ঘর পেয়ে খুশি।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় এরকম ১১০টি ভ’মিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 

২৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ওই পরিবারগুলোর মাঝে জমির দলিল হস্তান্তর করে কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন। 

‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়। দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকারভোগীদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। ঘরের দলিলাদি হাতে পেয়ে উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায়, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী ফজলুল হক খান সাহেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী, কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, এম এ রহমান আতিক, নবাব আলী বাকর খান, সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম, উপকারভোগী নওয়াব আলী সহ অনেকে। এসময় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ ভূমিহীন উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে কুলাউড়ার জয়চণ্ডি ইউনিয়নে উপকারভোগী ৫ পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী সহ কুলাউড়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক তালিকাভুক্ত ৪৪০ ভূমিহীন পরিবার রয়েছে। তার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ১১০ ১১০ ভূমিহীন পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার। প্রতিটি ঘরের খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ঘরগুলো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে ৪টি, জয়চন্ডীতে ৫টি, রাউৎগাঁওয়ে ১২টি, টিলাগাঁওয়ে ১৫টি, পৃথিমপাশায় ৩২ টি, কর্মধা ৩টি, শরীফপুরে ৩০টি ও হাজিপুরে ৮টি ভূমিহীন পরিবারে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মুজিববর্ষে দেশের কেউ গৃহহীন হয়ে থাকবে না। তাঁর ঘোষনা অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় কুলাউড়ায়ও ১১০ ভূমিহীন পরিবারকে দেওয়া হলো একটি পরিপূর্ণ ঘর। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বিশ্বে বিরল। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে আমি কুলাউড়ার কাদিপুর ও হাজিপুরে দুটি গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছি।’

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে কুলাউড়ায় ১১০ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের সাথে প্রতি চারজন উপকারভোগীদের ক্ষেত্রে একটি টিউবওয়েল ও ওয়াক ব্লক, প্রত্যেকের ঘরে বিদ্যুতায়ন করা হবে। উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। পর্যায়ক্রমে আরো ভূমিহীনদের জন্য ঘর বরাদ্দ আসবে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩জানুয়ারি২০২১/শাকির

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন