আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং
শামসুল ইসলাম শামীম :: আপ্লুত হই, প্রীত হই, মুগ্ধ হই! যখন দেখি বিদগ্ধজনেরা আমার মতো অভাজনের লেখায় চোখ বুলিয়েছেন। লেখার শরীর থেকে নানা উপ-বিষয় তুলে এনে তার জন্য আমাকে কখনো ভৎর্সনা, আবার কখনো শুভকামনা জানান, তখন মনে হয় জন্ম বুঝি স্বার্থক হলো! গতকাল সিলেট ভিউ’র মুক্তকথায় ’নগরীর কল্যাণের ’পৈতা’ টেনে ধরবেন না দয়া করে’ শিরোনামে ছোট্ট আয়তনে লেখার চেষ্ঠা করেছিলাম। তারই সুত্র ধরে কেউ ফোনে আবার কেউ ইনবক্সে আমাকে ’দোয়া-দুরূদ’ করেছেন। দোয়া-দুরূদ দেয়া ’ব্রাম্মণ’দের প্রতি আমার অতল কৃতজ্ঞতা, আমার মতো ’নমশূদ্র’কে তারা মনে রেখেছেন এই ভেবে!
আমার পরম পূঁজণীয় এক মহারথী ফোনে জানালেন, ’আপনার মতো একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিকের কলম থেকে আরিফের পক্ষে এমন সাফাই আশা করিনি’!-তার এই ’দোয়া’য় আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম! আমি কি আরিফের পক্ষে সাফাই গেয়েছি? আমি তার পক্ষে সাফাই গাইতে যাবো কেনো? আমি তার কাছের কেউ নই, আবার তিনিও আমার কাছের কেউ নন। কোথায় মেয়র আর কোথায় ’গোবর’! আরিফের পক্ষে সাফাই গাওয়া লোকের অভাব নেই এই নগরীতে। যারা আরিফের ’নেক নজরে’ আছেন তারাই তো সাফাই গাইবেন। আমি কেন!
আমি তো কেবল নগরীর উন্নয়নের কথা বলেছি, বলেছি দখল করে রাখা নগরীর ফুটপাতগুলো জনস্বার্থে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তাও আমি বলার কে? আমি বলিনি, অনুরোধ করেছি। সেই সকল মহারথীদের ’পবিত্র চরণযুগলে’ অনুরোধ জানিয়েছি, যারা ফুটপাতে হকারদের ’জিইয়ে’ রাখতে নেপথ্য থেকে ’পানি পড়া’ দিচ্ছেন! আমি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি সেই সব ’কলিজা’ওলা গুণীজনদের যারা নিজেদের কোটি টাকার সম্পদ জনস্বার্থে ছেড়ে দিয়েছেন। আমার ক্ষমতা নেই, থাকলে এই বৃহত্তম আত্মার মানুষগুলোকে আদালত মোড়ে এনে আমার প্রানের সবটুকু প্রণতি জানিয়ে তাদের সম্মাণনা জানাতম।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী; একজন কাজপাগল মানুষ। তিনি সিলেট নগরীর কল্যাণে দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। যদ্দিন নগর ভবনে আছেন হয়তো এমন ভাবেই করে যাবেন। মেয়র আরিফের সর্বোত কল্যাণকামনা করে নগরীর ব্রাম্মণদের প্রতি এই নমশূদ্রের ফের আকুতি, নগরীর কল্যাণের ’পৈতা’ পেছন থেকে টেনে ধরবনে না প্লিজ।
লেখক: সিলেট ব্যুরো প্রধান, বাংলাভিশন।