আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জেহেন মে বহুত দর্দ হ্যেতি ঠাকুর

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-০৬ ০১:২০:২৪

শামসুল ইসলাম শামীম :: জেহেন মে বহুত দর্দ হ্যেতি ঠাকুর, আপকা ডান্ডা সামালো! সত্যিই জেহেনে মাঝেমধ্যে খুব ব্যাথা হয়। কিছু অসঙ্গতি, কিছু অবিচার এই ব্যাথাকে উসকে দেয়। একজন জাহালমের কারাবাস আমাকে শুধু ব্যথিতই করেনা, লজ্জিতও করে। নুন আনতে পান্তা ফুরানো এই মানুষটিকে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতি মামলার অভিযোগে দীর্ঘ তিনটি বছর কারাবাস করতে হয়েছে।

নরসিংদির এই নিরিহ পাঠকল শ্রমিকের মাথার উপর ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে ৩৩টি মামলার খড়গ। সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতি মামলায় শুধু দুদকের ভুলে একজন নির্দোষ মানুষকে তিনটি বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটাতে হয়েছে পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে।

একজন আবু সালেকের কৃতপাপের দায় কেনো একজন নির্দোষ জাহালমকে নিতে হবে? যাদের ভুলে পার পেয়ে যায় আবু সালেক আর পরের পাপ মাথায় নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জাহালমদের, সেই ভুল সিদ্ধান্তদাতাদের ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নেবেন সদাশয় সরকার? নাকি জাহালামরা এভাবেই বারবার নিগৃহিত হবে? এ প্রশ্নের জবাব কার কাছে চাইবো! কে দেবে এর সদুত্তর?

মুক্তি পেলো জাহালম! বাড়ি ফিরলো জাহালম। জাহালমের মা কাঁদতে কাঁদতে ছেলেকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ঘরে তুললেন। এই দুধ দিয়ে গোসল করানোর শানেনযুল কি জানেন আমাদের রথি-মহারথিরা? কোন একসময় শাপমুক্তি বা পাপমুক্তির জন্য দুধ দিয়ে গোসল দেয়ার রেওয়াজ ছিলো এই ভারতবর্ষে। কোন অশুভ আত্মার ছোঁয়া লাগলে সেই ব্যাক্তিকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে পুতঃপবিত্র করা হতো।

জাহালমের মা ছেলেকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে কি প্রমাণ দিতে চাইলেন? তবে কি জাহালমের উপর অশুভ প্রেত্মাতা ভর করেছিলো? কে বা কারা সেই অশুভ প্রেতাত্মা? জবাব কি দিতে পারবেন কেউ?

লেখক: সিলেট ব্যুরো প্রধান, বাংলাভিশন।

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন