আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

স্কুল শিক্ষকের সন্তান থেকে রাজনীতির শীর্ষে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-০৫ ০০:৩৫:০৮

মোহাম্মাদ ইফতেখার :: মাত্র ১৯ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধের একটি থানা কোম্পানির অধিনায়ক হয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। স্বৈরাচারি জিয়ার আমালে বছরের পর বছর জেলখানায় বন্দী থেকে টানা দুবার ছাত্রলীগ সভাপতি হয়েছিলেন। দেহে রয়ে গেছে গ্রেনেডের দগদগে ক্ষত আর ৫৩ টি স্লিন্টার। স্কুল শিক্ষকের ছেলে, গ্রাম থেকে নিজগুণে উঠে এলেন রাজনীতির শীর্ষে।

তিলে তিলে তৈরি হলো আজকের ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকতা, লেখালেখি, রাজনীতি সবই করেছেন। সমানতালে শিক্ষকতাও করেছেন। আজকের বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির বিষয়ে তার অবদান অনস্বীকার্য, এটা অবশ্য অনেকে জানে না। তৎকালীণ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠি ঋষিজেরও সুহৃদ। সরল মনে শিশুর মতো ফেসবুকে থাকতেন, সমালোচনা কটুবাক্য খুব মজা নিতেন। এমনকি তার নিজেকে নিয়ে বানানো ট্রল দেখে নিজেই হাসতেন বাচ্চা ছেলের মতো। তিনি একজন কবি, লেখক ও গল্পকার। তাদের নাকি মানুষকে আনন্দ দিয়ে নিজেই আনন্দিত হতে হয়।

কখনই প্রতিক্রিয়া দেখাতেন না। সৌখিন, রুচিশীল এই সু-পুরুষ বর্ণিল জীবন তিনি যাপন করে গেলেন। তিনি সবার সাথে ধৈর্য্য নিয়ে ছবি তুলতেন। এ জন্য তাকে কতো ট্রল, মিমো হয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদ ও জাতীয় নেতা কেউ কি আছেন তার মতো? যিনি গুরুত্ববহ লোক হয়েও সবার সাথে মিশেছেন? সকালে হাঁটতে বেড়িয়ে সাধারণের সাথে দিন পার করেছেন। পদ্মা সেতুর প্রথম পাইলিং যখন হয়, তখন খুশিতে কেঁদেছিলেন এ মানুষটি।

প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়তেন, সেই ফজরের নামাজ পড়ার পরেই শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তি হন, সেখান থেকেই...। আমাদের অশ্রু, প্রার্থনা, ভালোবাসা মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কাদেরের জন্য।

(ফেসবুক থেকে)

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন