আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ব্রেক্সিট: শেষ হয়েও হইলো না শেষ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৪-০৭ ১১:৫৬:৫০

সৈয়দ হক :: শেষ হয়ে হইলো না শেষ অনেকটা ছোট গল্পের মতো হয়ে গেছে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট। গত ২৯ সে মার্চ ছিল এই দুই বছরের ডিভোর্স প্রসিডিয়ারের শেষ দিন। অনেকটা সময় চাওয়ার মতো ১২ ই এপ্রিল না হলে ২২ শে মে। ডিল আর নো ডিল। অনেকটা সেক্সপিয়ারের সলিলকিও এর টু বি অর নট টু বি এর মতো। প্রিন্স হ্যামলেট একবার মরতে চেয়েছিলেন তিনি দ্বিধা দ্বন্দ্ব এ ছিলেন মরবেন কি মরবেন না সেটা নিয়ে। ব্রেক্সিট টা হয়ে পড়েছে এই জীবন মরণের প্রশ্নের মতো।


যে কথা বলতে চেয়েচিলাম ২০১৬ এর জুন মাসে যখন রেফারেন্ডাম অনুস্টিত হয় তখন এখানকার মানুষ পাত্তাই দেয়নি   তাঁর জীবন যাত্রায় চলার পথে এই গণভোট কি এফ্যাক্ট দিবে। আসলে ইগ্নর পলিটিক্স বা আই হেইট পলিটিক্স বললে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত  হবেন সেটা ব্রিটেনের মানুষ বুঝছে বা এখনও বুঝছে সেটা বলতে চেয়েচিলাম। প্রতি হাউজ হোল্ডে মাসিক খরচ ২০০ পাউন্ড প্রতি বেড়েছে। গ্যাস বিল , ক্যারেন্ট বিল , পানির বিল সব বেড়েছে প্রায় ১০% করে। বেনিফিট সংকুচিত হয়েছে। জব বলতে গেলে নাই। হাহাকার অবস্থা। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্হার নাভিশ্বাস ওঠেছে। বাঙালি দের অবস্থা আরও খারাপ।


তেরেসা মে একচ্যুয়েলি ছেঁড়ে যাওয়ার মানুষ ছিলেন না। তিনি প্রথম জীবনে রিমেইনার ছিলেন। আসলে এই পলিটিক্যাল গেইম টি খেলেছিলেন আগের প্রাইম মিনিস্টার  ডেভিট ক্যামেরুন। তিনি ” আবাদি খেঁদাও “ পপুলারিস্ট ভোট খেলতে গিয়ে বুঝতে পারেননি ষবধাব জিতবে। পদত্যাগ করে ধনী সাদাদের পারপাস সারভ করেন। যে কথা বলতে চেয়েছিলাম থেরেসা মে একটি হেভি খেলা খেলতে চেয়েছেন। অনেকটা বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের ১/১১ এর সময়কার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি  জিল্লুর রহমানের মতো। দলের একশো জন একেক ধরনের কথা বলছে। জিল্লুর রহমান ঠায় দাড়িয়ে আছেন। সেরকম। তিনি জানেন পালামেন্টে তিন বার তিনি পরাজিত হলেও তিনি শেষে জিতবেন - সে রকম। শেষ খেলাটা তিনি ক্রবিনের কোর্টে ছেঁড়ে দিয়েছেন। তিনি জানেন তিনি জানেন তিনি যে খেলায় নেমেছেন সে খেলায় তিনি একা সামাল দিতে পারবেন না। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ব্রিটেন এরকম সমূহ বিপদের সম্মুখীন হয়নি। সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুঝেন কি রকম খারাপ হলে এই সিচ্যুএশন হয়।

লেখক : যুক্তরাজ্য প্রবাসী

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন