Sylhet View 24 PRINT

একটি পরিবার সিলেটভিউ ও একজন কম্পাস

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-২৯ ২৩:০৪:০৯

:: ফরিদ উদ্দিন ::


প্রতীক্ষার শেষ হলো। ২৬ শে জুলাই ২০১৯। এই দিনে বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে। সকাল থেকে দুই পর্বের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রথামাংশে প্রধান অতিথি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও গনমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গ।

মূল কথায় আসি। আমরা যারা সংবাদ তৈরি করি আমরা আমাদের সফলতা পরিমাপ করতে পারিনা। যতটা না পারেন পাঠকরা। পাঠকরাই ঠিক করতে পারেন কোন সংবাদ মাধ্যম পাঠকপ্রিয়। আর সে পাল্লায় সিলেটভিউ কতটা ভারি তা অতিথিদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটভিউয়ের সংবাদ দেখেই অ্যাকশনে নামি। দেশ বিদেশের লোকজন সিলেটভিয়ের সংবাদ রেফারেন্স দিয়ে থাকেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান তার বক্তব্যে বলেন, সিলেটভিউ আস্থার জায়গা। হাজার হাজার অনলাইন পোর্টালের ভিড়ে সঠিক খবর পাওয়া কঠিন। সে ক্ষেত্রে যে কোন খবরে আগে সিলেটভিউয়ে ঢুকে সত্য মিথ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়।

সিলেটের এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল দুই ব্যক্তিদের কথায় বুঝা যায় সিলেটভিউ পাঠকদের কতটা আস্থা বিশ্বাস ভালোবাসা জুড়ে আছে।

অনুষ্ঠানের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি নিয়মিত সিলেটভিউ পড়ি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এই ছোট্ট বাক্যে সিলেটভিয়ের জনপ্রিয়তা, আস্থা নির্ভরতা ফুটে উঠে আর সিলেটভিউয়ের সংবাদকর্মী হিসাবে আমার বুক ফুলে উঠে আর চোখ ভিজে যায়।

অতিথিরা তাদের বক্তব্যে জানান, দেশে অনেক বড় বড় পত্রিকা আছে কিন্তু সিলেটভিউয়ের মত নিয়মিত প্রতিনিধি সম্মেলন করতে দেখিনি। সিলেটভিউয়ের মত থানায়/উপজেলায় প্রতিনিধি দেখিনি।

হ্যা, আমিও একি কথা বলি। গর্বের জায়গা থেকেই বলি, আমাদের সিলেটভিউ সত্যধারক ও স্বতন্ত্র একটি পরিবার। যে পরিবারের নেতা একজন দক্ষ, বিচক্ষণ সম্পাদক ও সুদক্ষ একজন অভিভাবক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল। যিনি সুবিশাল স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার আশ্চর্য এক কারিগর। কারিগর এজন্যই যে- তিনি জানেন কোথায় হাতুড়ি মারতে হবে কোথায় পেরেক দিয়ে জোড়া লাগিয়ে রাখতে হয় আবার কোথায় রঙ দিয়ে সাজিয়ে দিতে হয়। উনার চতুর্মুখী দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করে। আমি আশ্চর্য হই শ্রদ্ধায় চোখ মাটিতে নামে।

আমার মূল কথায় সিলেটভিউ ও এর জন্মদাতা সম্পাদক নবেল ভাইকে নিয়ে। যখন কোন মানুষ সিলেটভিউয়ের পাঠক হিসাবে আমাকে বলেন, ভাই সারাদিন ব্যস্ত থাকি আপনাদের সাথে যোগাযোগ হয় না। কিন্তু রাত হলেও অন্তত একবার সিলেটভিউয়ে ঢুকি ওখান থেকে সব জেনে ঘুমাই। আর যখন কেউ বলে শুনলাম ভূমিকম্প হলো আমরা টের পাইনি পরে সত্য মিথ্যা জানার জন্য সিলেটভিউয়ে ঢুকলাম।

পাঠকদের এরকম কথা কর্মী হিসাবে আমার জন্য ভালোবাসার উপন্যাস হয়ে দাঁড়ায়। আর আমাদের সম্পাদক, কি বলবো এক কথায় প্রকাশ করা যাবে না। উনাকে আগে কারিগর বলেছিলাম এবার একটু ব্যাখ্যা করি। আমরা যখন কোন নিউজ পাঠাই,  নিউজে কোন ভুল বা অপূর্নতা থাকলে আমাদের উপরে সাইক্লোন যায়। উনি ফোন করে ঠান্ডা কন্ঠে বলেন, এটা এভাবে কেন? ওটা এরকম কেন? ঐ রকম হলো না কেন? এই ঠান্ডা কণ্ঠটা কানের মধ্যে দিয়ে সাইক্লোন হয়ে বের হত। প্রথম প্রথম ভাবতাম, এ কোন বিপদে পড়লাম! এত কড়াকড়ি। আস্তে আস্তে বুঝলাম এই সাইক্লোনটা না হলে আমি হলুদ হয়ে যেতাম।

এ গেল সাইক্লোন মানে আগের বলা হাতুড়ির কথা।এবার আসি পেরেকের কথায়। কোন নিউজে আর কোন কোন ব্যাপার বা বিষয় যোগ করলে নিউজটা পরিপূর্ণ হয় তা তিনি খুবই ভালোভাবে জানেন এবং জানান। সংবাদ এবং সেবাদাতা ও পাঠকদের একটা নিখাদ বন্ধনে ধরে রাখার এক আশ্চর্য মেধার অধিকারী তিনি। এবার আসি রং দিয়ে সাজানো তে।

হাতুড়িটা নিশ্চয়ই বুঝেছেন। এবার বলি সাজিয়ে দেওয়ার কথায়। আমরা যখন সংবাদে ভাল করি, সংবাদ যখন প্রশংসা কুড়ায় তখন তিনি আমাদেরকে অনাবিল আদরে ভালোবাসায় সাজিয়ে দেন। উনার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকে আমাদের কে মূল্যায়ন করার। আমাদেরকে পদোন্নতি, প্রশংসাপত্র, সম্মানী, জামাকাপড়, প্যাড, কলম, ব্যাগ অনেক কিছুতে সাজিয়ে তুলেন। আমরা আনন্দে চোখ ভিজাই। গর্বের লম্বা শ্বাস টানি। কোন পত্রিকাকে ছোট করার উদ্দেশ্যে নয়, আমি আমার সত্যটাই বলছি প্রিন্ট বাদ দিলাম।

দেশে প্রায় সাড়ে আট হাজার অনলাইন পত্রিকা সিলেটভিউ ছাড়া অন্য কারো এরকম নিয়মিত প্রতিনিধি সম্মেলন করতে আমি দেখিনি শুনিনি। এবারকার সিলেটভিউ এর বিভাগীয় সম্মেলনে আমি আবারো অবাক হলাম। সম্পাদক মহোদয় বললেন, যারা দূর থেকে এসেছেন আজ ফিরতে সমস্যা উনাদের জন্য এই হোটেলেই রুম রাখা আছে খাবারের ব্যবস্থা আছে আপনার থাকতে পারবেন! আমি থমকে গেলাম আবারো আশ্চর্য হলাম। ভাবলাম একজন মানুষ সম্পাদকের উর্দ্ধে উঠে কি ভাবে একজন নির্ভর অভিভাবক হয়ে উঠেন। উনার প্রতিনিধিরা আসবেন। ৪ জেলার প্রতিনিধিদের অনেকের ফিরতে রাত হবে সমস্যা হতে পারে উনি হোটেলে রুম ও খাবার ব্যবস্থা করেই রেখেছেন! তিনি শুধুমাত্র একজন সম্পাদক হলে এটা করতেন না এরকম চতুরদিক ভাবতেন না। উনি সম্পাদকের সাথে নির্ভর অভিভাবক বলেই এতটা ভেবেছেন। ভাবনার বাস্তবায়ন করেছেন। নানা ভাবে নানা দিকে একজন শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল আমাদের পথ দেখান। তিনি শুধু পথ দেখিয়েই বসে থাকেন না। দিক বেদিক হয়ে গেলে তিনি দেখিয়ে দেন এটা পুর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ তিনি আমাদের কম্পাস।

অভিভাবকত্বের আরেকটা ব্যাপার হল। উনি সংবাদ নিয়ে বসে নেই। প্রচন্ড মানবিক এই কম্পাস, সামাজিক দায়িত্ববোধ, নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে গড়ে তুলে প্রতিষ্ঠিত করে চালিয়ে যাচ্ছেন "সিলেটভিউ ইনুর স্কুল" সেখানে সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের এনে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয় তার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে কয়েক ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যবস্থা আর কত্ত কঠিন রুগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছেন হিসাব নেই। এত কিছু না করে, উনি টাকার ধান্দায় বান্দা খেলেও পারতেন! এত দিবে গাড়ি বাড়ি করা কোন ব্যাপার ছিল? না ছিল না। উল্টো এটাই সত্যি যে উনার একটা মোটরসাইকেলও নাই! অথচ শহর ছাড়াও গ্রামের কোন ছেলে সাংবাদিকতা নাম নিয়ে দামি মোটরসাইকেলে "প্রেস স্টিকার" মেরে মালের মাপ নেয়! মাসে মাসে স্মার্টফোন বদলায়! উল্টো দিকে নবেল ভাইয়ের স্পষ্ট ঘোষণা "কেউ যদি মোটরসাইকেলে স্টিকার লাগিয়ে ঘুরতে চান আপনি সিলেটভিউয়ে আসবেন না। এসব জায়গায় খুবই স্বতন্ত্র, সজ্জন, বিচক্ষণ সিলেটভিউ২৪ডটকমের জন্মদাতা, বাংলাদেশের শীর্ষ জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিলেট ব্যুরো প্রধান,সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল।

আমার ব্যক্তিগত মতে বলতে পারি উনি প্রচন্ড ধৈর্যশীল মানুষ। না হলে আমার মত বান্দরকে নিয়ম, শৃঙ্খলা কাজ, শিখাতে গিয়ে কবেই হাল ছেড়ে দিতেন! আমি সেই বাউন্ডুলে আউলা ঝাউলাই ঘুরতাম। আরেকটা ব্যাপার। সিলেট বিভাগজুড়ে সব জায়গায়ই সিলেটভিউ প্রতিনিধি আছেন। প্রতিনিধিদের নিয়োগের ব্যাপারে আশ্চর্য দক্ষতা দেখিয়েছেন সম্পাদক মহোদয়। আমি দেখেছি আমরা সব প্রতিনিধিদের মানসিকতা, চিন্তাভাবনা প্রায় এক! এই কারনে আমাদের একে অন্যের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক, যোগাযোগ, শ্রদ্ধা, সম্মান, স্নেহ,পরামর্শ সবই যেন আপন ভাইয়ের মত। ভাবতে পারেন দেশ বিদেশ জুড়ে একটা প্রতিষ্ঠানের সবার মন মানসিকতা একই রকম!

অথচ একটা ছোট দোকানেও মাত্র দুই জনের মতে মিল হয় না! এই জায়গায় নবেল ভাই অসাধারণ বিচক্ষণতা, বাছাই,ও আত্মবিশ্বাস সত্যি অবাক করার।

সাংবাদিকতার আলোকিত ব্যক্তি তাপস দাস পুরকায়স্থের ব্যাপারে নবেল ভাই উনার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‌'তিনি শত শত সাংবাদিক তৈরি করেছেন যারা পথভ্রষ্ট হয় নি" বক্তব্য শুনে আমিও মনে মনে বলেছি" ভাই আমরাও আপ্রান চেষ্টা করব যাতে অন্য কোন দিন অন্য কেউ আপনার ব্যাপারে এই গৌরব বাক্য বলেন।

আমার আত্মার পরিবার সিলেটভিউ ও আমাদের কম্পাস শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল ভাইয়ের জন্য অনন্ত শুভকামনা, ভালোবাসা।

লেখক: ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি, সিলেটভিউ২৪ডটকম

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.