Sylhet View 24 PRINT

সুশীল, ছাত্রদল ও শিবির বনাম আমাদের ছাত্রলীগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-১২ ০০:৩২:২৭

রাফিউল করিম মাসুম :: ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। ১১ই আগস্ট নির্বাচনে বিজয় লাভের পর তার দলীয় ছাত্রদলের ক্যাডাররা মিছিল উল্লাসে এতটাই মগ্ন ছিলেন যে আরিফুর হক চৌধুরীকে তার বাসায় ফুল দেওয়ার নাম করে মধ্যপ অবস্থায় আর বাসার সামনে ছাত্রদলের নেতা ফয়জুল রাজু চৌধুরীকে গুলি করে এবং রামদা দিয়ে কুচিয়ে কুচিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে।

ছাত্রদলের ক্যাডাররা রাজুকে এতোটাই নির্মম নৃশংসভাবে কোপাতে কোপাতে হত্যা করে যে ছাত্রদল নেতা রাজুকে চেনাই যাচ্ছিল না। তার শরীরের ৭০ টার বেশি আঘাতের চিহ্ন ছিল। মানুষ মারার নেশায় আসক্ত হয়ে রাজুকে নির্মম ভাবে হত্যা করে তারই দলীয় ছাত্রদলের ক্যাডার বাহিনী।

রাজু ছাত্রদলের রাজনীতি করলেও আইনের ছাত্র ছিল এবং তার পারিবারিক ঐতিহ্য ছিল। রাজুর মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল কিন্তু সেদিন রাজুর পরিবারের পাশে কেউ দাঁড়ায় নি।

কেন, রাজু কি ছাত্র ছিলনা?
রাজু রক্ত কি রক্ত ছিল না?
রাজু কি মানুষ ছিল না?

রাজু হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের কোনো কোনো ছাত্র বা সুশীল রাজপথে প্রতিবাদ কি করেছিলেন বা রাতে বিরাতে মিডিয়া সরগরম করেছিলেন?

কিংবা ছাত্রদলের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করেছিলেন?

এবার নজর দেই বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের দিকে। অনুপ্রবেশকারী কথিত ছাত্রলীগ নামধারি জামাত শিবিরের এজেন্ট বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।

আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রলীগ তাৎক্ষনিক মাঠে নামে এবং ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবরারের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন এবং প্রায় সকল আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। আবরার হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে তিনি নিজেই দায়িত্ব নেন এবং আবরারের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ভুমিকায় খুশি হয়ে তাদের ছেলেকে নিয়ে রাজনীতি না করতে বারবার নিষেধ করেছেন।

কিন্তু, আমরা দেখছি কথিত গোষ্ঠী আবরার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। তারা, ব্যক্তির দায় সংগঠনের উপর চাপিয়ে দেওয়ার হীন চেষ্টায় ছাত্রলীগকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অবান্তর মন্তব্য করছে এমনকি সরকার পতনের মত চক্রান্তে নিয়োজিত হয়েছে বিএনপি, জামাতের এজেন্টরা।

আবরার হত্যার বিচার খুব দ্রুত হবে এবং ইতিমধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারপরেও যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে সরকার কিংবা ছাত্রলীগকে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগাণ্ডায় লিপ্ত আছেন তাদের বলি ‘সাগরে পেতেছি শয্যা, শিশিরে কিসের ভয় ’।

পরিশেষে, সুশীল নামের চুতিয়াদের বলি, বিশেষ ইস্যু সৃষ্টি করে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নিয়ে চক্রান্ত না করে দূর্নীতি, সন্ত্রাস এবং মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তাঁকে সহযোগিতা করুন । দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল হউন।

রাজু এবং আবরারকে ভিন্নভাবে না দেখে কিংবা চক্রান্ত না করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হউন।

লেখক : সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ।

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.