Sylhet View 24 PRINT

প্রাইমারি শিক্ষক বাবা এবং আমার শৈশবের স্মৃতিচারণ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-২৮ ২১:৪৬:১০






|| মোঃ তোফায়েল হোসেন ||
বাবা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন বলে বিদ্যালয়ে আমার অভিষেক হয়েছিলো দাপটের সাথেই। প্রথম যেদিন শিশু শ্রেণির ছাত্র হয়ে বাবার হাত ধরে বিদ্যালয়ে হাজির হই, সকল সহপাঠীর চোখে সমীহ জাগতে দেখেছি আমাকে নিয়ে। বাবা ছিলেন ঐ স্কুলেরই শিক্ষক।

ঊনিশো সাতাশি সাল। মাঝারি বন্যা। পরের বছর আটাশি সালের ভয়াবহ বন্যা। আমি তখন বড় হতে শিখছি। ভয়াবহ সে বন্যায় আশেপাশের সব স্কুল তলিয়ে যায়। দীর্ঘদিনের অবসর। নৌকায় কাটে অনেকটা সময়। বিল-বাঁদাড়ের দেশ। নৌকার সাথে আমাদের নিত্য বসবাস। নৌকার গলুইয়ে বসে পানির ধার কেটে পথ পাড়ি দেয়া আমাদের আজন্ম স্বভাব। নৌকা আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। নৌকা আমাদের বাঁচতে শিখিয়েছে।

বন্যার প্রকোপ থেমে গেলে আমাদের স্কুল খুলে যায়। আমরা আবার পড়ুয়া ছাত্র হয়ে যাই। নব্বই সাল। গণ অভ্যূথানের মধ্য দিয়ে এরশাদের পতন হবার ঘটনায় সারা দেশে টান টান উত্তেজনা। আমি তখন ক্লাশ থ্রির ছাত্র। আমার বাবা বদলি হয়ে দূরের স্কুলে চলে যান। বাবার প্রতিদিনকার অনুপস্থিতি বিদ্যালয়ে আমাকে অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়। আমার পড়াশুনার গতি কমে আসে।

কতবার ভেবেছি, আমি বাবার স্কুলে চলে যাই। শিশু মানুষ। অত দূরের স্কুলে যাওয়া কি আর হয়? বাবার জন্য খুব সহজ পায়ে হাটার পথ। আমার জন্য অনেক দূরের পথ। আমি নিঃসঙ্গ পড়ে থাকি আমার নিজ বিদ্যালয়ে। এই অনুভূতি আজো টনটন করে বাঁজে। তখনকার শিক্ষকদের আচরণগুলো আজো মনে আছে আমার। বাবার বিকল্প বলে শিশুর কাছে আর কেউ নাই।

কত কথা মনে পড়ে আজ। শিশুদের ব্যবস্থাপনা খুবই কঠিন কাজ। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝি। লম্বা-ফর্সা এক শিক্ষক বদলি হয়ে এলো আমাদের স্কুলে। আমি তার চক্ষুশূল হয়ে গেলাম। কেন চক্ষুশূল হয়েছিলাম, সেটা আমার কাছে আজো রহস্য। এটুকু বুঝতাম, সে চাইতো ক্লাশে ফার্স্টবয় আমি না হয়ে জয়নুল হোক। জয়নুল ছিলো খুব চটপটে স্বভাবের বালক। জয়নুলের প্রতি তার উগ্র পক্ষপাতিত্ব ক্লাশে আমাকে বিপদগ্রস্ত করে তুলতো। আমি তার ক্লাশ নেবার সময় হলে ভয়ে জড়োসড়ো হতে থাকতাম। আমার তীব্র আতঙ্কের মধ্য দিয়ে শেষ হতো তার ক্লাশ। একদিন সে ভরা ক্লাশে জয়নুলকে দেখিয়ে বললো, আগামি বছর তুমি ফার্স্ট হবা। আমাকে দেখিয়ে বললো, ফার্স্টবয় হিসেবে ওকে মানায় না। আমি মারাত্মক বিপন্ন বোধ করেছিলাম সেদিন। সেই বিভীষিকা আজো তাড়িয়ে বেড়ায় আমাকে। আমি অভিশাপ দিচ্ছি সেই কুলাঙ্গার শিক্ষককে।

সে সময় একজন নারী শিক্ষক এসে যোগদান করলেন আমাদের স্কুলে। নাম নমিতা রাণী বিশ্বাস। আমার জীবনের প্রথম বাতিঘর। মায়ের আদরে পড়িয়েছেন সবাইকে। স্নেহ ও মমতার চাঁদরে ঢেকে দিয়েছিলেন আমাদের। গান গেয়ে, আবৃত্তি করে, মধুর বাক্য-বিন্যাসে গল্প শুনিয়ে আর আদর মাখানো শাস্তির উছিলায় সবাইকে নাঁচিয়ে তুলেছিলেন। শিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশের প্রতিমূর্তি হয়ে বিচরণ করতেন আমাদের প্রিয় নমিতা দিদি। আমাদের ঐ ব্যাচটি পরবর্তীতে উচ্চতর শিক্ষায়ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। এই প্রতিভার ভিত্তিটি গড়ে দিয়েছিলেন নমিতা দিদিই। আমি থ্রিতে পড়ার মাঝামাঝি সময়ে উনি পিটিআইতে চলে যান। লম্বা-ফর্সা শিক্ষকটির রোষানলে পড়ে আমার পড়াশুনা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। ফোরে উঠতে উঠতে আমি খুবই সাধারণ মানের ছাত্রে পরিণত হয়ে যাই।

একবার কথায় কথায় লম্বা-ফর্সা স্যারটার বদনাম করেছিলাম এক সহপাঠীর কাছে। বলেছিলাম শুধু, উনি ভালো পড়ায় না। হ্যা তাইতো। যে আমাকে ফার্স্টবয় থাকতে দিতে চায় না, যার ক্লাশে আমার দুচোখে বিভীষিকা নেমে আসে, সে তো ভালো পড়ায়ই না। কিন্তু বিপদের আরো এক কাঠি বাকি ছিলো। আমার সহপাঠী লম্বা-ফর্সা স্যারের কানে আমার বক্তব্যটি পৌছে দেয়। লোকটা যেন উন্মাদ হয়ে গেলো। ক্লাশ থেকে আমাকে ধরে নিয়ে হেডস্যারের কাছে চলে যায়। আমার বিচার করা হবে!

বিচার সেদিন হয়েছিলো। আমি জন্মের মত বিশ্বাস হারালাম, আস্থা হারালাম। অমন শিক্ষকের কাছ থেকে শত হাত দূরে থাকাই বরং নিরাপদ। হেডস্যার তুচ্ছ এই ব্যাপারটাকে উড়িয়ে দিয়ে আমাকে ক্লাশে পাঠিয়ে দিলেন। আমাকে তিনি ধমকাতে পারতেন, লাঠিপেটা করতে পারতেন। সেই তুলনায় অনেক কমে পার পেয়ে গেলাম। এরপর থেকে মাংসল হরিণের মতো ত্রস্ত পায়ে স্কুলে বিচরণ করছি আমি, যাকে দেখা মাত্র মাংসখেকো বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়বে। যেন আপনা মাংসে হরিণা বৈরি!

একজন বাইরের লোক। সদ্য আলিম পাশ করে এসে গ্রামে ঘুরাঘুরি করছে। কিছু প্রাইভেট পড়ানোর আশায় আমাদের স্কুলে ফ্রি ক্লাশ নিতে শুরু করলো। অনেকেই তার কাছে পড়তে শুরু করে দিলো। আমিও প্রাইভেট পড়তে শুরু করলাম তার কাছে। মাস শেষে বেতনের টাকাটি বাবা নিজে তাকে দিয়ে আসেন। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার সময় মাস শেষের টাকাটি যেকোনো কারনে বাবার দিতে দেরি হয়েছিলো। আর এই দেরির কারনে আমাকে পরীক্ষার সময় খাতা না দিয়ে পরীক্ষার কক্ষে দাঁড় করিয়ে রাখা হলো। সবাই পরীক্ষা দিচ্ছে, আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। দুঃখটা এই যে, স্কুলের শিক্ষকদের সামনে বাইরের একটা লোক আমাকে পরীক্ষা দিতে না দিয়ে অপমানজনকভাবে দাড় করিয়ে রেখেছে। চতুর্থ শ্রেণির শিশুর অপমানবোধ আছে বৈকি।

আমার কান্নার দৃশ্যে মজে গিয়ে একজন মুরব্বী গোছের শিক্ষক বাইরের ঐ শিক্ষককে অনুরোধ করে প্রায় আধা ঘন্টা পর আমাকে খাতা ও প্রশ্ন দিতে রাজি করান। পরীক্ষা আমি দিয়েছিলাম। বাবার কাছে নালিশও করেছিলাম। বাবা কী করেছিলো জানি না। তবে শিক্ষকের মেরুদন্ডহীনতার চিত্রটি আমার মনে সারাজীবনের জন্য গাঁথা হয়ে গেলো। ছোট্ট মানুষের অভিজ্ঞতা কম বটে। কিন্তু মনটা থাকে বড় মানুষের মতই অনুভূতিপ্রবণ। ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
 
আমার পড়াশুনার ক্রমাবনতি বাবাকে উদ্বিগ্ন করে তুলছিলো। অন্য কারো কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাবা আমাকে আদেশ দিলেন। আমি সেদিনই নমিতা দিদির কাছে হাজির হই, তিনি কেবলই পিটিআই থেকে ফিরে এসেছেন। নমিতা দিদি শুরুতেই আমাকে অনেকগুলো শর্ত শুনিয়ে দিলেন। তার কাছে পড়তে হলে ফাকি দেয়া যাবে না, প্রতিদিন তার বাড়ি এসে পড়ে যেতে হবে, পড়াশুনায় কোনো উন্নতি দেখা না গেলে পড়ানো বন্ধ করে দেবেন ইত্যাকার শর্ত সব। আমি তখন নিরুপায় ছিলাম। পরের দিন থেকেই তার কাছে পড়তে শুরু করলাম। আমাদেরই গ্রামের এক প্রান্তে তার বাড়ি। বাড়িটা ছিলো শান্ত-নিরিবিলি, ছায়া ঢাকা, সুশোভিত। এ যেন আমাদের ছোটবেলার শান্তিনিকেতন। নমিতা দিদির বাবা ও মা সংস্কৃতিপরায়ণ মানুষ। পুরো বাড়িটাই ছিলো আমাদের শিক্ষালয় তথা গুরুগৃহ। শুধু বইতে নয়, আমরা শিখেছি জীবন থেকে, জীবন্ত সব মানুষের কাছ থেকে।

এরপর আমি আরেকটা শিক্ষকের রোষানলে পড়ি। সারাক্ষণ পান চিবোতে থাকা ঐ শিক্ষকের চোখ আগুনের মত লাল হয়ে থাকতো। লালচোখা শিক্ষকটি নেতাগোছের ছিলো। বাবার পেনশনের সময় হয়ে এসেছে। উপজেলার অফিসে পেনসনের কাগজপত্র আগাম জমা দিতে হবে। সেই সাথে কিছু ঘুষ। লালচোখা শিক্ষকটার চাহিদা ছিলো বেশি। বাবা হয়তো তাকে কম দিয়েছিলো কিংবা কিছুই দেয় নি। লোকটা বাবার শত্রু হয়ে গেলো। এই শত্রুতা সে ফলিয়েছিলো আমার বার্ষিক পরীক্ষার খাতায়। বিজ্ঞান বিষয়ে নম্বর একেবারে কমিয়ে দিয়ে আমার ফলাফল বিপর্যয় ঘটিয়ে দিলো। লোকটা অনেক দিন হলো মারা গেছে। কিন্তু আজো আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করতে পারি না। শিক্ষকদের হয়রানি করা কোনো শিক্ষক নেতা ও কর্মকর্তাকে শ্রদ্ধা করতে পারিনি কোনোদিন। হয়তো পারবোও না কোনোদিন।

বাবার দোষে ও দুর্বলতায় সন্তান কেন শাস্তি পাবে, প্রশ্নটি নিয়ে আজো আমি ভেবে চলছি। শিক্ষক কেন এমন হবে? ইতিমধ্যে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। গঙ্গা নদী পদ্মা নামে সুজলা বাংলার বুক ফেড়ে সাগরে পানে ছোটে। বহু জল ধুয়ে গেছে এই বাংলার মাঠ-ঘাট। আজকাল নিজের সন্তানকে প্রশ্ন ফাঁস করে, পরীক্ষায় উত্তর বলে দিয়ে, মূল্যায়নকৃত খাতায় নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে জিতিয়ে দেবার অসুস্থ প্রবণতা দ্বারা অনেক শিক্ষকও। শিশু এখন খোলা আকাশের নিচে মুক্ত বাতাসে দম ছাড়ার ফুরসতই পায় না। আজকের দিনের শিশুর ভাগ্য খুব খারাপ। আমার শৈশবের এই গল্প এখন একজন দুজন নয়, বহু মানুষের জীবনের সাথে মিলে যাচ্ছে।

একদিন সকালে পড়া শেষ করে নমিতা দিদির বাড়ি থেকে ফিরে যাবার সময় বাহির-বাড়ির ঘরের ভিতরে তাকিয়ে দেখলাম, একজন লোক ঘরের ভিতর বসে আছে। দিদি আমাকে ডেকে চুপি চুপি বললেন,
-তোমার বাবাকে বলো, উনাদের স্কুলে এটিইও যেতে পারে আজ।
বুঝলাম গুরত্বপূর্ণ কেউ এসেছে। যিনি স্কুল পরিদর্শন করেন। বাড়ি ফিরে বাবাকে বললাম সে কথা। বাবা দ্রুত স্কুলে রওনা হয়ে গেলেন। আমি স্কুলে যাবার পর দেখলাম, নমিতা দিদির বাড়িতে দেখা সেই মানুষটা আমাদের ক্লাশে ঢুকছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আষাঢ়ে' কবিতা ছিলো তখন পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্য। উনি মুখস্ত শুনতে চাইলেন। কেউ পারলো কেউ পারলো না। তারপর উনি নিজেই আবৃত্তি করে শোনালেন। আমরা কান খাড়া করে শুনলাম। শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর আবৃত্তি ও উচ্চারণ! ওই বয়সে ছিলো চমকের মত। সেই থেকে কবিতা আমার চিরকালের সঙ্গী হয়ে গেলো। আজ যদি আমার লেখা কোনো কবিতা কবিতা হয়ে ওঠে, তাহলে বলবো এই হয়ে ওঠার সূচনাটি করেছিলেন একজন এটিইও। হ্যা আমি এটিইও তথা সহকারি থানা শিক্ষা অফিসারের কথা বলছি। আজ যেটা উপজেলায় হয়েছে এইউইও।

পঞ্চম শ্রেণি পাশ করার পরপর আমার বাবা চাকরি থেকে অবসর নেন। এতদিনের অভ্যস্ত জীবন হঠাৎই যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলে। আমাদের বাড়ির সকল শিশুকে নিয়ে বাবা উঠোনে পাটি বিছিয়ে বিনা মূল্যে নিয়মিত পড়ানো শুরু করলেন। সারাজীবন শিশুর কোলাহলে মুখর জীবনে অভ্যস্ত মানুষটার এই নিদারুন চেষ্টা দেখে কত কিছুই না ভাবতাম। তবে এটা জানতাম, নতুন জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে বাবা এই পড়ানোর কাজ বন্ধ করে দেবেন। হয়েছিলও তাই। জমি-জমা সামলানোয় মনোযোগ দিতে গিয়ে অভ্যস্ত জীবন ভুলে গিয়ে তিনি পুরোপুরি কৃষক বনে গিয়েছিলেন। এইমতো চলেছিলো বাবার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত। বাবা সব সময় অনটনের মধ্য দিয়ে সংসার চালিয়েছেন। পেনসনের পর আয় কমে যাবার ক্ষতি জমি-জমা থেকে পুষিয়ে নেয়ার দুঃসাধ্য প্রয়াস চালিয়েছিলেন। যদিও সেই প্রয়াস তার কখনোই সফল হতে পারেনি।

একটা ব্যাপার খুব কাজ করে আমার ভেতর। সেটা হলো বাবার অবসর গ্রহণ ও আমার প্রাথমিক শিক্ষাকাল। আমার প্রাথমিক শিক্ষা স্তর শেষ হবার সাথে বাবার অবসরে যাওয়াটি মিলে গিয়েছিলো। সেই ছবিটি গাঁথা হয়ে থাকলো মনে। আমি প্রাথমিক শিক্ষার শিক্ষকদের বাবার দৃশ্যে দেখি আজো, অবচেতনেই দেখি। এই ব্যাপারটি নারী শিক্ষকের বেলাতেও হয়। তবে তাদের ক্ষেত্রে নমিতা দিদির ছবিটিও যুক্ত হয়ে যায়। নতুন-পুরোনো সব ধরনের শিক্ষকের কাছে আমার বাবার ও নমিতা দিদির স্মৃতি জমা রাখা আছে। মন চাইলেই সেটা বের করে দেখি যখন-তখন।

আজ যখন প্রাইমারি শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির আন্দোলন করতে দেখি, তখন আমার বাবার অসহায় মুখটা ভেসে ওঠে চোখের সামনে। মনে হয় আন্দোলনটি আমার নিজের আন্দোলন। আমার বাবার মর্যাদা বৃদ্ধির আন্দোলন। আমার প্রিয় নমিতা দিদির মর্যাদা বৃদ্ধির আন্দোলন। সব বাবাই ভালো থাকুক। মৃত্যুর ওপার থেকে হলেও বাবার মুখে হাসি ফুটুক। অভাব-অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি মিলুক মানুষ গড়ার কারিগরদের।

লেখক: সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.