আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

নিরহংকার এক রাজনীতিবীদ আজাদুর রহমান আজাদ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-২৮ ১৬:২২:১৫

মাসুক আহমেদ রুমেল :: প্রবাসের মাঠিতে তো অনেক আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আসেন সময় সুযোগ হলে সবার সাথে দেখা করি। প্রবাস থেকে যাওয়ার পর কয়জনইবা আমাদের মতো সাধারণ কর্মী সমর্থকদের কথা মনে রাখেন।

দেশে যাওয়ার পর কয়জন নেতাইবা আমাদের মতো সাধারণ কর্মী সমর্থকদের চিনবেন, আবার অনেকে চিনেও না চেনার ভান করেন বিশেষ করে স্থানীয় নেতা ছাড়া পরিচয় দিতে দিতে মোবাইলের টাকা শেষ হয়ে যাবে। তারপরেও চিনবেন কি না সন্দেহ। তাতে কোন দুংখ নেই তবে তৃপ্তি আছে নিজ দেশের নেতৃবৃন্দ বলে যখনি যে কেউ আসেন না কেনো সময় সুযোগ করেই সবার সাথে দেখা করতে যাই শুধু মাত্র আওয়ামী লীগের টানে ও নিজ দেশের ভাল বাসার টানে।

যাই হউক সে ক্ষেত্রে একজন নেতা বা একজন মানুষ বড়ই ব্যতিক্রমী তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন অত্যান্ত সাদা মনের নিরহংকারী মানুষ জননেতা আজাদুর রহমান আজাদ (Azadur Rahman Azad) ভাই।

আজাদ ভাইয়ের সাথে যার পরিচয় হয়েছে তিনিই বলতে পারবেন আজাদ ভাই কত বড় মনের মানুষ। আজাদ ভাই মরুভূমির দেশ দুবাইয়ে বেশ কয়েকবারই এসেছেন, এসেছেন দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।

কখনো এসেছেন খেলাধুলা নিয়ে আবার কখনো এসেছেন পারিবারিক ভাবে দুবাই ভ্রমনে বিশেষ করে দুবাই আওয়ামী লীগের ব্যানারে যে কোন অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসাবে আসার আগেই ফোন করেই বলতেন মাসুক আহমেদ রুমেল কোন রকমে থাকা যায় সেই রকম হোটেল নিবা। খুব দামী হোটেলের কোন দরকার নাই। আর একটা কথা প্রোগ্রামে যেনো কোন বিতর্কিত মানুষ স্টেইজে না থাকে কারণ সবসময়ই আমি রাজনীতিতে ক্লিন থাকতে চাই।

দলীয় প্রোগ্রাম ছাড়া সামাজিক তেমন প্রোগ্রামে আমাকে নিয়ে যাবে না, এমন প্রোগ্রাম রাখবা না যেগুলোতে সব দলের মানুষ থাকে। এসব বলেও আমাদেরকে সতর্ক করে গেছেন যা থেকে আমরা দুবাই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা অনেকটা অনুপ্রাণিত হই।

বিশেষ করে আজাদ ভাই যখন দুবাইয়ে আসেন তখন খাওয়া দাওয়ায় বসলেই বলতেন রুমেল সস্তা এবং বাংলা খাবার যে গুলা সেগুলো আনো। আমরা বাঙ্গালী তুমার আরবী আর ইন্ডিয়ান খাওয়া খাইতাম না আমার চাই শাক সবজী মাছ ও ডাল এ গুলোই আমার বেশী পছন্দ।সত্তি ভাইয়ের এ কথাগুলো খুব মনে পড়ে।

আমার এ লিখা গুলো দেখে হয়তো অনেকেই সমালোচনা করবেন আর বলবেন দিলো রে দিলো আজাদ ভাইরে ফাম দিলো কারণ এটা আমাদের অভ্যাস অন্যের সমালোচনা করতেই তো আমরা উস্তাদ। আমার ফাম দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

কারণ আমি প্রবাসী পদ পদবী চাওয়া পাওয়ার মতো আমার কিছুই নাই.হুম তবে ভালবাসা আর স্নেহ এটা চাই যা আজাদ ভাই অবিরত দিয়েই যাচ্ছেন।

সমালোচনা কারিদের বলতে চাই আজাদ ভাইকে দিয়ে বা ভাইয়ের নাম বিক্রি করে আমি কোন ব্যবসা করবো রাতারাতি কিছু হবো এরকম আমার কোন স্বপ্ন ইচ্চে নেই। কারণ আমি প্রবাসে আছি আমি প্রবাসী কামলা। প্রবাসে কামলা কেটে খেতে হবে, বাস্তব যেটা সেটা তুলে দরলাম এতে যদি আমাকে কোন বাজে উপাধী দিয়ে দেন তাতে আমার কিছুই করার নেই।

তবে সাদামনের মানুষ শ্রদ্ধেয় ভাই প্রিয় নেতা আজাদুর রহমান আজাদ ভাইয়ের কথা লিখতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন তা সবারই জানা কারন উনার রাজনৈতিক ইতিহাস অনেক অনেক লম্বা যা খুব অল্প সময়ে বলে আর লিখে শেষ করা যাবেনা।

আমার সাথে ভাইয়ের ভালো সম্পর্ক তাই গুনগান করতেছি তা নয় বিশেষ করে দুবাই আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা কর্মীর সাথে আজাদ ভাইয়ের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক যা সব সময় চলমান থাকবে বলে বিশ্বাস করি। এমনকি দুবাই আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মীর মোবাইল নাম্বার পর্যন্ত উনার কাছে আছে দুবাই আওয়ামী লীগ থেকে যে কেউ ফোন দিলে সবার নাম সহ আজাদ ভাই বলতে পারেন।

আর এটাই হলো প্রবাসী আওয়ামী মনা মানুষের চাওয়া পাওয়া নেতাদের যেনো প্রবাসীদের প্রতি আন্তরিকতা থাকে। তবে এটাও সঠিক সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্ধই আমাদের প্রবাসী আওয়ামী মনা মানুষদের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি।

বিশেষ করে যে নেতার সাথে যার ভালো সম্পূর্ক সেই নেতার গুনাবলি তার কর্মীরা তুলে দরবেই এটাই স্বাভাবিক। সিলেটের মাটিতে যার জন্ম সিলেটের মানুষের সুখে দুংখে যিনি পাশে থাকেন। স্থানীয় ছাত্র রাজনীতির সেরা শিক্ষক আওয়ামী মনা কর্মী সমর্থক গড়ার সেরা কারিগড়। কর্মী বান্ধব নেতা সিলেটের ডায়নামিক লিডার জননেতা আজাদুর রহমান আজাদ ভাই।

আগামী ৫ই ডিসেম্বর সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জননেতা আজাদুর রহমান আজাদ ভাইকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই।পরিশেষে আজাদুর রহমান আজাদ ভাইয়ের সুস্বাহ্য সুন্দর আগামী দিনের প্রত্যাশায়।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু


লেখক: মাসুক আহমেদ রুমেল, সিনিয়র সহ সভাপতি দুবাই আওয়ামী লীগ। সদস্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন