আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
অ্যাডভোকেট শাকী শাহ ফরিদী ::চলছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর ২১তম জাতীয় সম্মেলন, স্বাধীন এই ভূখণ্ড-মানচিত্র-পতাকা-জাতীয় সংগীত প্রাপ্তিতে তথা স্বাধিকার আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিটি স্থরে স্থরে যে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তার আরেক নাম ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। সেই রোজ গার্ডেন থেকে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান- দীর্ঘ পথ পরিক্রমা, জোয়ার-ভাটা, ঝড়-ঝাপটা, সুসময়-দু:সময়; সাফল্য-ব্যর্থতা, সবমিলিয়ে চলমান জাতীয় সম্মেলনের হোস্ট ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’।
জাতির জনক, স্মরণকালের কিংবা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীন বাংলাদেশ এর স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ লালন করা উপমহাদেশের প্রাচীন, বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কালের বিবর্তনে আজ সুদৃঢ় অবস্থানে, সুন্দর আগামীর স্বপ্নে বিভোর আর তার সফল বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
শক্ত ভিত্তির উপর ভর করে একটি আকাশচুম্বী বহুতল ভবন যেমন মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, ঠিক তেমনি বহু নেতা-কর্মীর আর সাধারণ জনগনের ভালোবাসায়-সমর্থনে বিশাল অট্রালিকাসম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ভিত্তি আর ভরসা দলীয় বর্তমান সভাপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাকে মাঝখানে রেখেই আবর্তিত হচ্ছে দলীয় রাজনীতির যাবতীয় কলা-কৌশল। অভিজ্ঞতায়, সাহসে, দক্ষতায় আর সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারা শেখ হাসিনার বিকল্প কালের বিবেচনায় দলে আসলেই ধারেকাছেও নেই আর কেউ। শেখ হাসিনাকেই তাই বটবৃক্ষ হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে তার ছায়াতলে আগলে রাখতে হবে। সুতরাং একথা বলাই যায় যে- দলীয় সভপতির পদে শেখ হাসিনার বিকল্পও নেই আর তিনিই এ পদে আসীন থাকা সামগ্রিক বিবেচনায় অধিকতর যুক্তিযুক্ত।
আমার ব্যক্তিগত মতামত, ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হয়তো থাকবেন আবারো, গুরুতর অসুস্থতা তথা মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেও বিরামহীন ছুটে চলেছেন দেশব্যাপী, আজ তার বক্তব্যেও তিনি বেশ কনফিডেন্টলি কথা বলেছেন দেখলাম, দলকে সার্ভ করার শেষ সুযোগ পেতে পারেন তিনি। আবার চমক দিতে পছন্দ করেন শেখ হাসিনা, রাজনীতির ক্লাসের দুরদর্শি গুরু, মেধাবী শিক্ষক, বিচক্ষণ শেখ হাসিনা আসলে কি ভেবে রেখেছেন কে জানে! নতুন কেউ হলেও অবাক হবোনা; সে ক্ষেত্রে কপাল খোলে যেতে পারে যে কারো, সবার আন্দাজের ভেতরে অথবা বাইরে। আবার শেখ হাসিনা যেভাবে নারীর ক্ষমতায়নে জোর দিয়েছেন, তাতে করে দলীয় সাধারণ সম্পাদক পদে ডা: দীপু মনি অথবা এমন কাউকে দেখলেও অবাক হবার কিছু থাকবেনা। এমনকি রাজনীতি রক্তে আছে কিন্তু আপাতত প্র্যাকটিসে নাই অথবা দলের ভেতর বা আলতো বাইরে ঈষৎ কিংবা ব্যাপক কোনঠাসা, এমন কাউকে এনেও খেলার মাঠে নামিয়ে দিতে পারেন ক\'দিন রিহার্সাল করে করে নিজেকে দলের আগামীর জন্যে প্রস্তুত করার জন্যে৷ পরবর্তীতে ফুল কমিটিতে ব্যাপক সংযোজন-বিয়োজন হবে সেটা নিশ্চিত।
অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা, মেধা, বিচক্ষনতা, কারিশমাটিক লিডারশীপ কোনো কিছু দিয়েই পেছনে ফেলা যায়না, তাই জাতীয় এই সম্মেলনে অভিজ্ঞ সিনিয়র, ত্যাগী নেতাদের যথার্থ মুল্যায়ন হউক, এমনটা আশা থাকল।
পাশাপাশি তরুন নেতাদের নিয়ে আসা হউক সামনে, কারন তরুনরাই পারে পাল্টে দিতে- সুন্দর আগামী গড়তে।
আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলের আরো বেশি ভালোলাগা,ভালোবাসা আর আস্থা কুড়ানো হউক মাঠি ও মানুষের দল, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর এবারের মিশন আর দেশকে ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত করা হউক দেশের প্রাচীনতম এই দলের ভিশন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হউক অনুভূতির আরেক নাম।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও জজ কোর্ট, সিলেট।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ ডিসেম্বর ২০১৯/মিআচৌ