আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

সিলেটজুড়ে মানবতার আলোকবর্তিকার মহিমান্বিত নাম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২৩ ১২:২১:৩৬

জসিম উদ্দিন বাহার :: পৃথিবীজোড়া দুস্থ, নিঃস্ব,ছিন্নমূল, গরিব,দুঃখী,বস্ত্রহীন শিশু, বৃদ্ধ নারী-পুরুষ, অসহায় মানুষ,অসহায় মানুষেরা, হিংসা-বিদ্বেষ, কলহ-বিবাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহ,হানাহানি, অহংকার, আমিত্ব,ধন-সম্পদের মোহ ও স্বার্থের এই পৃথিবীতে সবাই যখন ব্যস্ত  মানবতার এমন ঘনঘটা প্রেক্ষাপটে  ভুপেন হাজারিকার "মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না? .. বিখ্যাত গানের সুর ধরে অসহায় মানুষদের  একটু সহানুভূতি দেওয়ার জন্য একজন ছুটে চলছেন নিরন্তর। এ ছুটে চলার দিগন্তের শেষ নেই তবু ও যেনো লক্ষ্যে অভিপ্রায়ে কখনো হেঁটে চলেছেন গ্রামের মেটোপথ দিয়ে,আবার কখনো বেয়ে উঠছেন বড় বড় পাহাড়ের টিলায় ।

সদর উপজেলার ছড়াগাং চা বাগান, কালাগুল চা বাগান, বরজান চা বাগান এই অঞ্চলের  মানুষগুলো খুবই অবহেলিত। নির্বাচন আসলেই নানা রঙ্গের অতিথি পাখি পাড়ি জমান এই অঞ্চলগুলোতে। প্রতিদিন দিনমজুরি করে ৬০-৭০ টাকা কামানো মানুষ গুলো যেনো অতিথি পাখিদের সব সময়েই সাদরে গ্রহন করে, নিমিষেই তাদের পাতানো মিথ্যা কথার ফাঁকা বুলিতে বিশ্বাস করে তাদের বিশ্বস্ততার পরিচয় দেয়। বার বার ভুল করে যাওয়ার মানুষগুলো এইবার আর তাদের বিশ্বস্ততায় ভুল করেনি। কারন একজন বুঝতে পেরেছেন তাদের মনের অব্যক্ত ভাষা। তাইতো শীতের এই প্রকোপে শীত নিবারনের সামগ্রী নিয়ে, তিনি ছুটে গিয়েছেন অবহেলিত এই মানুষগুলোর পাশে। এছাড়া সম্প্রসারিত করেছেন অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ও সাহায্যে-সহ্যোগিতার হাত। জরাজীর্ণ এই অসহায় মানুষগুলো যেনো আজ প্রাণচাঞ্চল্যে বোধ করছে। স্বামী বিবেকান্দের ভাষায় " দেবতা আকাশ থেকে নামেন না বা মাটি ফুড়ে ও ওটেন না। দেবতার অবস্থান মানুষের মাঝেই। আর তাদের এই প্রানের উচ্ছ্বাস দেখে মনে হয় তারা যেনো ফিরে পেয়েছে স্বামী বিবেকান্দের ভাষায় তাদের সেই দেবী মাকে। 


তাছাড়া তীব্র শীতের এই প্রকোপে নিদারুন কষ্ট ও মানবেতর জীবন যাপন দুস্থ,নিঃস্ব,ছিন্নমূল, গরিব,দুঃখী,বস্ত্রহীন শিশু,বৃদ্ধ,নারী-পুরুষের জন্য মানবতাবোধের মহান মানুষটির হৃদয় যেনো ভুতুড়ে কেদে ওঠে। শীতার্ত মানুষের শীতের কষ্টটা  তিনি নিজেই যেনো  অনুভব করছেন।তার ফলপ্রসূ  নিজ উদ্যোগে ও স্বামীর প্ররোচনায় এই অসহায় মানুষগুলোর  শীত নিবারনের সামগ্রী নিয়ে ঘুরছেন নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে নিজ হাতেই পৌঁছে দিয়েছেন শীত নিবারনের সামগ্রী। সদরবাসীর এই মানুষগুলো আনন্দে উচ্ছ্বসিত। অসহায় প্রত্যেকটি মানুষের জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন শীত নিবারনের  অস্র হিসেবে।

সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের টিকড়পাড়া গ্রাম। এক কলসি পানি নিয়ে প্রশান্তির হাসি হেসে কন্যাবি বললেন, "বেসিস্ত। ফানির হস্ত।" অর্থাৎ বেশি কষ্ট পানির কষ্ট। শীতকাল থেকে পাহাড়ে শুরু হয় পানির কষ্ট। পানীয় জল,ধোয়া মোছাসহ, নিত্য কাজের পানির আকাল থাকে বর্ষার আগ পর্যন্ত। অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মে এই ছয় মাস।  এই কষ্ট বরাবরে। দেড় হাজার ফুট টিলার এই এলাকায় কয়েকশত মানুষ বাস করে । নির্বাচনের সময় প্রচারণায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তার। তিনি যাওয়ার পরই অনুধাবন করেছিলেন টিলার উপরে থাকা ভুক্তভোগী মানুষের পানির দুর্ভোগ। তিনি সেদিন কথা দিয়েছিলেন পানির ভুক্তভোগী সেই এলাকাবাসীকে নির্বাচনে যদি জয়লাভ করি অথবা যদি নাও করি পানির এই দুর্ভোগ নিবারনের চেষ্টা করবো। সাথে সাথে বিষয়টি নোট করে রেখেছিলেন। সাধারন জনগনের কাছে তিনি অনেক আগ থেকেই যেহেতু বিশ্বস্থ তাইতো নির্লোভ বিশ্বাসী জনগন ও প্রমাণ দিয়েছিল তাদের বিশ্বস্ততার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে  দেড় হাজার ফুট টিলার উপরে নলকূপ স্থাপন করে অসম্ভব কে সম্ভবে পরিনত করে রীতিমত নজর কেড়েছেন এই এলাকাবাসীর।  নলকূপ এর পাশাপাশি পাইপ সংযোগ দেওয়া বৈদ্যুতিক সুইচ টিপে প্রয়োজনীয় পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ২৮ টি পরিবারকে পাইপ সহ পানির ট্যাপের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। বাকী পরিবারগুলোকে পর্যায়ক্রমে দেওয়ার আশ্বস্ত করেছেন। ভালোবাসার মনোরম পিছুটানে  দুর্গোম সেই টিলায় আবারো ছুটে গিয়ে নিজের হাতেই উদ্ভোধন করে দিয়েছিলেন ভুক্তভোগীদের আকাশ কুসুম কল্পনার সেই রুপরেখাকে।

মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হলো  চিকিৎসা। সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা জনগনের মৌলিক অধিকার। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির কষাগাতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অসহায়, দুস্থ, গরীব মানুষগুলো ভুক্তভোগী। প্রতিনিয়ত এই অসহায় মানুষগুলো বঞ্চিত হচ্ছিল তাদের প্রাপ্ত সুচিকিৎসা থেকে। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় প্রচুর পরিমান সিট খালি থাকলে অসহায় মানুষগুলো পড়ে থাকতে হয় হাসপাতালের বারান্দায় আর খালি সিট গুলো দিয়ে চলতো হাসপাতালে থাকা কর্মচারীদের রমরমা ব্যবসা। একজন মানুষ সর্বোচ্চ অসহায়ত্ব বোধ করে যখন সে অসুস্থ হয় আর সেই সংকাটাপন্ন মূহুর্তে মানুষ সহযোগিতার আশ্বাস করে  কিন্তু হাসপাতালে যখন এই অসুস্থ মানসিকতার পরির্চচা হয় তখন অসহায় সেই মানুষগুলো দ্বিগুন অসহায়ত্ববোধ করে। দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের সিলেট এমওজি ওসমানী হাসপাতাল এ চিকিৎসা সেবায় সিলেট বাসী যেনো দিশেহারা।  এমন প্রেক্ষাপট মূহুর্তে চিকিৎসা সেবার মান ও বিভিন্ন অভিযোগ উদ্বিগ্ন হয়ে আরো আট দশজনের মতো অন্যকে দিয়ে তদারকি না করিয়ে নিজেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন মানবতার এই মানুষটি। হাসপাতালে থাকা অসহায় মানুষের সাথে কথা বলে তাদের চিকিৎসা সেবার মান সম্পর্কে জেনে খুবই হতবাক হয়ে পড়েন তিনি।  পরবর্তীতে হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে হাসপাতালের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। হাসপাতালের ডাক্তার,নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী যেনো সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে হাসপাতালের পরিবেশকে  সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনে আর কোনো মানুষ যেনো সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয় তার তাগিদ দেন।

আমরা এক নব পরিবর্তিত  বিশ্বে বসবাস করছি।সভ্যতার পাশাপাশি প্রযুক্তি ও শিক্ষায় যেমন পরিবর্তন হয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের নারীদের অবস্থান ও বেশ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমাদের সমাজ প্রযুক্তি ও শিক্ষায় কতটুকু উন্নতি করতে পেরেছে, অথচ আজ ও নারীদের সম্মান মর্যাদা ও অবস্থান সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র জ্ঞান অর্জন করতে পারেন নি।

আদিকাল থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত নারীরা ধাপে ধাপে নিজেদের এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজে আজ ও তারা অবহেলিত, অপমানিত হচ্ছে কারন তারা নারী। এই প্রতিবন্ধকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে নারীদেরকে পর্যাই পরিমান লেখাপড়ার পাশাপাশি কর্মক্ষম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এই ভাবনাটুকু কাজ করায় তার নিজের উদ্যেগে ও সরকারি ভাবে নারীদের প্রশিক্ষনের জন্য উদ্ধুদ্ধ করছেন। তাছাড়া প্রশিক্ষিত নারীদের মধ্যে  সেলাই মেশিন সহ অন্যান্য সুযোগ -সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। কারন তিনি বিশ্বাস করেন একটা হত দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক অচল অর্থনৈতিক থেকে সচলের দিকে ধাবিত করার চাকা হলো নারীদের কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা। আর নারীরা যখন কর্মক্ষম হয়ে কর্মসংস্থান গড়ে তুলবে টিক তখনই তার নিজের ভাগ্যে, দেশ ও জাতির উন্নতির চাকা চরম  পর্যায়ে ফলপ্রসূ হবে। দেশ হয়ে উঠবে  উন্নত ও সমৃদ্ধ শালীতে ভরপুর।

কে এই অভিযাত্রিক? 

সেদিন কে যেন বললেন, সুন্দরী রমনীর অভাব নেই। প্রায় সবাই সুন্দরী। কিন্তু মনোরম সুন্দরীর দেখা কোথায় পাই? দেহে-মনে মনোরম রমনীর বড়ই অভাব। তেমনি মানুষের পৃথিবীতে মানুষের মতো মানুষ কোথায়। যে মানুষকে কাছে পেলে মনে ভক্তি আসে, চিত্তে ভরে ওটে। ঠিক এমনই গুনের একজন অভিযাত্রিক মানবতার পথিকের কথা বলছিলাম তিনি আর কেউ নন আমাদের বাংলাদেশের অহংকার সিলেট রত্ন শুদ্ধ রাজনীতি যার পরিচায়ক বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী আবুল কালাম আবদুল মোমেন এর সুযোগ্য সহধর্মিণী সিলেট জুড়ে মানবিকতার এক মহিমান্বিত নাম অসহায় মানুষের দীপ্তময় আলোকবর্তিকা মিসেস সেলিনা মোমেনের কথা।

সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি নের্তৃত্ব শীর্ষ স্থানীয়ে থাকা ব্যক্তিদের  স্ত্রী অথবা নের্তৃত্বে থাকা মহিলা নেত্রীরা যেখানে দুর্নীতির আখড়া মহড়া ও বিলাসিতায় এবং প্রভাব খাটিয়ে অন্যায় কে পুঞ্জীভূত করা নিয়ে ব্যস্ত এমন প্রেক্ষাপটে দাড়িয়ে মনে প্রশ্ন জাগে তিনি কেন ব্যতিক্রম? অজীর্ণ কন্টাক কীর্ণ পথে মানবতার জয়গান গেয়ে কেন এত নিরন্তর ছুটে চলা?

মানুষের হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে বেচে থাকার প্রতি আকাঙ্ক্ষা আমাদের চির শাশ্বত। আর এই আকাঙ্ক্ষা কে কেন্দ্র করে মানুষ মানুষের প্রতি হয় সহানুভূতিশীল, হয় দায়িত্ব বান, বাড়িয়ে তোলে নিজের মূল্যবোধের সব টুকু অর্জন। সুন্দর একটা পৃথিবী গড়তে হলে আমাদের সবচেয়ে বেশি দরকার ভালোবাসার। শুধু ভালোবাসা দিয়েই সম্ভব পৃথিবীর বুকে শান্তি প্রতিষ্টা করা।এই বিশ্বাস থেকেই দীপ্তময় আলোকবর্তিকা সেলিনা মোমেন ভালোবাসা দিয়ে অসহায় -দুস্থদের বুকে শান্তি প্রতিষ্টার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। মাদার তেরেসার মতো তিনি ও বিশ্বাস করেন, "পৃথিবী বাসীর গুলি আর বোমার দরকার নেই, দরকার ভালোবাসার। এই ভালোবাসা দিয়েই তিনি সিলেট বাসী বিশেষ করে সিলেট সদরের  মানুষের হৃদয় জয় করে যাচ্ছেন। আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত হয়ে সিলেটের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলেছেন নিরন্তর। তিনি সিলেটের আনাচে কানাচে ঘুরে মানুষের কাছে ভালোবাসার  বানী পৌছে দিচ্ছেন। দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ ও মৃত্যু পদযাত্রী মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ভালোবাসার পরশ পাথর দিয়ে মানুষের সব, দুঃখ,কষ্ট,হতাশা দূর করা যায় -সেটা তিনি প্রমান করে যাচ্ছেন। আমার মনে পরে, একটা বক্তব্য সেদিন তিনি বলেছিলেন আমি, আপনি সর্বোপরি আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা গুলোই হবে বৃহত্তর শক্তির ফসল।আর এখানেই বিদ্যমান একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সার্বিক উপাদান।তাই আসুন, আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ছিন্নমূল, অসহায়, দরিদ্র ও নানান সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সাহায্যের্থে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মানবতার হাত সম্প্রসারিত করি এবং দলমত, শ্রেনী, ধর্ম সম্প্রদায় নির্বিশেষে গড়ে তুলি একটা সমতা ভিত্তিক মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পূর্ণ বাসযোগ্য সমাজ।যে সমাজে ওম আর উষ্ণতা পাবে প্রতিটি মানুষ।
 
বাঙ্গালি জাতির মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ধন-ধান্য পুষ্পে ভরা এমন এক শান্তিময় দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন যেখানে থাকবে না কোনো অভাব অনটন অর্থাৎ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা ছিলো তার অভিপ্রায়। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা বিদ্যানন্দিনী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য যে দৃঢ় অঙ্গীকার বদ্ধ হয়েছেন  এবং সে  ভিশন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। জননেত্রীর এই  ভিশন বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন  কাজ করে যাচ্ছেন দৃঢ় চিত্তে,দৃঢ় প্রত্যয়ে । আর তারই সুযোগ্য সহধর্মিণী হিসেবে  উন্নত সমৃদ্ধ শালী বাংলাদেশ  গড়ার লক্ষ্যে মানবতার সেবায় ও স্বামীর সাথে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং  জনগনের সাথে যোগসাজশ রেখে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। গত একবছর জনগন যত সুফল ভোগ করেছে আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নে যে অভাবনীয় সাফল্য বয়ে এনেছেন মিসেস সেলিনা মোমেনের অবদান তাতে অনস্বীকার্য। একজন সফল নারী ও একজন সফল পুরুষের জয়গান হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতাটি মনে পড়ে "বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যান কর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। "

পরিশেষে বলতে চাই, নেতৃত্বস্থানীয়ে থাকা ব্যক্তিদের জন্য সেলিনা মোমেন যেনো এক দীপ্তিময় শিক্ষার দৃষ্টান্ত। জয় হোক আলোবর্তিকা সেলিনা মোমেনের, জয় হোক মানুষের, জয় হোক মানবতার।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন