আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

‘নান্দনিক ফেঞ্চুগঞ্জের রূপকার একজন মাহমুদ উস সামাদ’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৩-১৬ ১৯:৪২:৩৯

ফারহান সাদিক :: বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত সেই দেশভাগের পর থেকেই। ফেঞ্চুগঞ্জের এই সুখ্যাতির অনেকগুলো কারণও আছে, সেই বিস্তর বিবরণে আমি যাবো না, কেননা আজ মুজিববর্ষের দারপ্রান্তে দাড়িয়ে এমন একজন কীর্তিমানকে নিয়ে আমি লিখতে যাচ্ছি, যিনি ২৪ ঘন্টা উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করা এক দক্ষ কারিগর। যার সুনিপুণ কর্মপরিকল্পনায় ফেঞ্চুগঞ্জবাসী উপহার পেয়েছে একটি নান্দনিক ফেঞ্চুগঞ্জের।

মুক্তিযুদ্ধ পর থেকে ২০০৮ সাল, দীর্ঘ ৩৭টি বছর হাহাকার করেছি আমরা ফেঞ্চুগঞ্জবাসী। এই ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সিলেট-৩ আসনের নেতৃত্বে দিবে এমন একজনকে কি আমরা পাবো না?

ঠিক সেই মুহূর্তে অনেক ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯১ থেকে ২০০৮সাল পর্যন্ত জনগণের পাশে থেকে নিজের সকল কিছু বিসর্জন দিয়ে সিলেট-৩ আসনের সকল জনগণের ভালোবাসা নিয়ে এবং ফেঞ্চুগঞ্জবাসী একই মোহনায় মিলিত হয়ে সুর বেঁধেছিলো- ফেঞ্চুগঞ্জে এম.পি. চাই। সেই ঐক্যের সুর আর অনেক ত্যাগ ও ধৈর্য্যের অপর নাম "জননেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি।"

উনিই যে নান্দনিক ফেঞ্চুগঞ্জের একমাত্র রূপকার তা আমার লেখনীর মাধ্যমেই কিছুটা হলেও ধারণা পাবেন। জননেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগ সরকারের সবচাইতে বড় প্রজেক্ট শাহজালাল সারকারখানা এই ফেঞ্চুগঞ্জে নিয়ে এসে ফেঞ্চুগঞ্জবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেন দেশবাসীর কাছে। শিল্প নগরী বিস্তারে এই সারকারখানার পাশাপাশি ৯০ মেঘা. বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১২০ এ উপনীত হয় এবং আরোও ২টি বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় উনার সহযোগিতায়। শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে উনার অবদান অনস্বীকার্য। ফেঞ্চুগঞ্জ কলেজের বেহাল অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে সরকারিকরণ এবং ৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করেন। শুধু তাই নয় ফেঞ্চুগঞ্জের সবচাইতে পুরোনো বিদ্যাপীঠ কাসিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন। উনার নেতৃত্বে রেকর্ড সংখ্যক প্রাথমিক স্কুল-মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত ও সরকারিকরণ হয়েছে এই ফেঞ্চুগঞ্জে। ঘরহীন হতদরিদ্রদের গুচ্ছগ্রাম করে দিয়েছেন নতুন বাসস্থান, ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালকে দুর্নীতিমুক্ত ও সেবার দোয়ার উন্মোচন করে ৫০ শয্যায় করেছেন উন্নীত। ফেঞ্চুগঞ্জের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক অফিস উপজেলা পরিষদে হয়েছে নতুন কমপ্লেক্স। তরুণ প্রজন্মের জন্য সকল মাঠে করে দিয়েছেন গ্যারারী আর প্যাবেলিয়ান।

ফেঞ্চুগঞ্জেবাসীর প্রাণের দাবি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী সার্কুলার রোড় করেছেন অত্যন্ত ধৈর্য আর মাস্টার প্লানের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, এই প্রজন্মকে দুর্নীতি ও মাধকমুক্ত রেখে খেলাধুলা চর্চা করতে নিজ উদ্যোগে ও অর্থায়নে করেছেন এমএসসি স্পোটিং ক্লাব। এতটুকু পর্যন্ত একজন সফল জননেতার হওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু ৩৭ বছরের আরা দনা কি আর এতো গতানুগতিক হবে? এই ফেঞ্চুগঞ্জের প্রথম বিনোদন কেন্দ্র হাকালুকি জিরো পয়েন্ট প্রতিষ্টা করে পুরো বাংলাদেশ আবারও ফেঞ্চুগঞ্জকে চিনলো প্রকৃতির রাণী হিসেবে। সর্বশেষ সংযোজনটা যে মুজিব বর্ষের জন্য তুলে রেখেছিলেন আগেই তা ফেঞ্চুগঞ্জবাসী কল্পনাও করতে পারেনি। আর মুজিব বর্ষে ফেঞ্চুগঞ্জবাসীকে উপহার দিলেন বদ্ধভূমি স্মৃতিস্থম্ভের সাথে এক অসাধারণ সময়কাটানোর দর্শনীয় স্থান- মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী রিভার ভিউ।

এই জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধা-বিপত্তির উতরাই পেরিয়ে আজকের সফল একজন রাজনীতিবিদ জননেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীই আমাদের গর্ব, আমাদের নান্দনিক ফেঞ্চুগঞ্জের রূপকার....।


লেখক- এ এম ফারহান সাদিক, সাধারণ সম্পাদক, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন