আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
ফারজানা ইসলাম লিনু :: রজনীর শেষ প্রহরে নিদ্রা ভঙ্গ হয় যথা নিয়মে। পাশ ফিরতেই থর থর করে কেঁপে উঠে বিছানা। ধাক্কার পর ধাক্কায় বিভ্রম কাটে, ঘুম ছুটে পালায়। কাঁপাকাঁপির রেশ থামতে সময় লাগে।
ভুমিকম্পের প্রবল ঝাঁকুনিতে নড়ে উঠেছে ভুপৃষ্টের এই অংশ।
পরিবারের সবার নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছি। করোনার শহরে নিশি বিলাসী মানুষের নিশিযাপন চলছে জোরেশোরে। ঘুমহীন মানুষের ফিসফিসানিতে রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে যায়। মুহুর্তেই ফেসবুকের নিউজফিড ভরে উঠে ভুমিকম্প সংবাদে।
আতংকিত মানুষের শঙ্কা ও বিষাদের আর্তনাদে বিভীষিকাময় দুনিয়ার বাতাস ভারী।
"প্রকৃতির কাছে আমরা বড় অসহায়"।
কিন্তু প্রকৃতিই যে আমাদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়। আমাদের ভুলেই প্রকৃতি আজ ত্যক্ত বিরক্ত।
আজও আকাশে উঠেছে কৃষ্ণপক্ষের খন্ডিত চাঁদ। শেষ রাতে নিষ্প্রভ আলোয় ভরিয়ে দিয়েছে পৃথিবী। একটু পরে ভোরের আলো ফুটবে। রুগ্না রমণীর করুণ চাহুনিতে বিদায় নিবে আরেকটা বছর।
পাখিদের কিচির মিচির শুনা যাচ্ছে। জানালার কাঁচে প্রত্যুষের আলো এসে পড়বে। সদ্যগত রজনীর ঘুমের রেশ ধরণীর বুক থেকে দূর হয়ে যাবে এক্ষুণি।
অনেকটা নিশ্চিত আমরা, নতুন বছরে শীগ্রই কোন সুসংবাদ আসছে না। হয়তো করোনাময় কঠিন দিনের ব্যাপ্তি বাড়বে, নয়তো করোনামুক্ত নতুন পৃথিবীতে আমাদের বেঁচে থাকার যুদ্ধ জোরদার হবে।
তবুও স্রষ্টার কাছে মিনতি থাকবে...... "এই পৃথিবী হউক আমাদের বাসযোগ্য আবাসভূমি "
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৪ এপ্রিল ২০২০/ শাদিআচৌ