Sylhet View 24 PRINT

‘করোনা: প্রকৃতির প্রতিশোধ’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৫-১৭ ১৬:৫৮:০৩

প্রফেসর ড. মো: আতী উল্লাহ :: মানবকূলের ইতিহাস এক দীর্ঘ ব্যথাতুর ও চোখের জলে ভরা ইতিহাস। আমরা সকল মানুষ মিথ্যা ও স্রেফ আত্মপ্রসাদের নিমিত্বেই আমাদের নিজেদের আদুরে-আহøাদেরনাম দিয়ে ফেলেছি ‘আশরাফুল মাখলুকাত’, অর্থাৎ, ‘সৃষ্টির সেরা জীব’, যেমন নাকি, ‘কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন’।এই আহ্লাদের নাম দেয়ার পেছনে আমরা বাংলা-শিক্ষিত, ইংরেজি-শিক্ষিত, আরবী-উর্দু-র্ফাসী-শিক্ষিত সবাই কিন্তু সমান অংশীদার, এবং সকল ধর্মের মানুষও। অথচ, আল্লাহ পাকের পবিত্র র্ক্বোআন ও নবী করীম (সা:) এর যাবতীয় হাদিসের কোথাও আরবী ঐ শব্দযুগলের কোন দলিল বা সনদ নেই। যদি কোন বিজ্ঞও সম্মানিত ব্যক্তি তা সামনে এনে হাজির করতে পারেন, আমি তাঁকে স্যালুট করব ও তাঁর নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকব।

আমার দুর্ভাগ্য, আমি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত নই। তবে, সকল ধরনের শিক্ষায় জ্ঞানী ডজন ডজন বন্ধুর সাথে নিতান্তই অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে আমি প্রায় কুড়ি বছর যাবত বিচরন করছি একটুখানি ইঙ্গিৎ, এর স্বপক্ষে পাওয়ার জন্য; আর, যতই বিচরন করেছি, ততই বেশী বেশী হতাশ হয়েছি। আর, অবশেষে বাধ্য হয়েই এই খোলা চিঠির মাধ্যমে সকল জ্ঞানী-গুণীর দারস্থ হলাম, আমার ব্যক্তিগত এ ধারণাটি ভুল হয়ে থাকলেআমাকে সংশোধন করে দেয়ার জন্য, যাতে করে তা আমার ও গোটা মনবজাতির অধিকতর কল্যান বয়ে আনে। কারণ, একটি ভুল (?) ধারণা নিয়ে একজন শিক্ষক হিসেবে আমি তো জীবন কাটাতে পারি না।

মহাপ্রভূ আমাদের সৃষ্টিকর্তা ও মহাবিশ্বজগতেরমহান পালনকর্তা ও মহা নিয়ন্ত্রক তাঁর সর্বশেষ নবী ওর্ সূল মোহাম্মদ (সা:) এর উপর নাযিলকৃততাঁর মহাগ্রন্থ আল-র্ক্বোআনেরবিভিন্ন জায়গায় মহাবিশ্বের একক ক্ষমতা ও অদ্বিতীয় বাদশাহীর বিভিন্ন ভঙ্গিতেস্পষ্ট করে বার বার বলেছেন, যেগুলোর অর্থ দাঁড়ায় এরকম:‘আমি মানবকে দুর্বলতম করে সৃষ্টি করেছি’, হে নবী, আপনি তাদের অধিকাংশকেই পাবেন ‘মূর্খ এবং অজ্ঞ হিসেবে’, ‘আক্কেল-জ্ঞানহীন’, ‘অকৃতজ্ঞ’, ‘নিমকহারাম’,‘অন্ধ’, ‘বধির’, ‘নির্বোধ’,‘জুলুমবাজ’, ‘আত্মপীড়নকারী’, ‘অবিশ্বাসী’, ‘পথভ্রষ্ট’, ‘চিন্তা-শক্তিহীন’ ইত্যাদি হিসেবে। এদের অধিকাংশকেই পাবেন ‘চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায়; না না, তারও অধম হিসেবে’। “হায় আফসোস! আমার বান্দদের জন্য! আমি এমন কোন নবী-রাসূল (পৃথিবীতে) প্রেরণ করি নাই, যাঁকে নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রƒপ-নির্যাতন করে নাই”।

আজ মনব তার আহরিত জ্ঞান দ্বারা চাঁদ, মঙ্গলগ্রহ ইত্যাদিতে যাচ্ছে মনবের জন্য নতুন আবাসস্থল খোঁজার উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশে বসে ব্যক্তি আজ মূহুর্তে জেনে নিতে পারে স্কটল্যান্ডে এ মূহুর্তে রোদ না বৃষ্টি। ট্যাক্নোলজির এই উন্নয়নের যুগেও কিন্তু সে একেবারেই অসহায়! সে বলতে পারে না, আড়াই-তিন হাত মাটির নিচে সদ্য-রাখাতার কোন ঘনিষ্ট আত্মীয়ের কি অবস্থা? আর, তাই আল্লাহ পাকের প্রশ্ন:  “তোমাদেরই যাদেরকে জীবন ধরে তোমরা মাটির নিচে রেখে আস্লে, জান কি আদৌ, তারা কে কোন অবস্থায় আছে? অথবা তোমরা তাদের কারো কি কোন মৃদুমন্দ আওয়াজ শুনতে পাও”?

আর, আল্লাহ পাক আরো ৫ টি চ্যালেঞ্জ অন্যত্র ছুঁড়ে দিয়েছেন: ১. মহাপ্রলয় (কিয়ামত) কখন আসবে, তা তোমরা জান না, জানি শুধু আমি। ২. পৃথিবীর কোন জায়গায় কখন কি পরিমান বৃষ্টি হবে, তা তোমরা আগাম বলতে পারবে না (এই অদৃশ্য বিষয় শুধু ‘আমি একমাত্র প্রভূরই’ ঐশী জ্ঞানে আছে, তোমাদের আবহাওয়া দপ্তরের অগ্রিম ঘোষণা প্রায়ই আংশিক ফলে বা ফলেই না, ঘোষিত এক জায়গার বৃষ্টিপাত প্রায়ই অন্য জায়গায় গিয়ে বর্ষিত হয়; এমন কি, ঘূর্ণিঝড়ের ঘোষিত গতিপথও অন্যদিকে ফিরেও যায়, অধিকন্তু, আগাম লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর তাকে আর গোপন বা অদৃশ্য বিষয়বলা যায় না, যেমন ফাঁসিকাষ্টে ঝোলা)। ৩. ভূ-গর্ভের কোথায় বা মাতৃগর্ভে (জরায়ূতে অবস্থান নেয়ার পর পরই এবং লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে সেখানে) কি কোন অবস্থায় আছে, তাও তোমরা বলতে পারবে না;

৪. আগমীকাল তুমি কি করবে, তাও তুমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না (ঢাকা যাওয়ার পথে ১-২ কিলোমিটার গিয়ে তুমি হাসপাতালেও ভর্তি হতে পার বা নিজের ঘরে ডাল-ভাত খাওয়ার পরিবর্তে অন্যত্র গিয়ে রোষ্ট-পোলাও খেতে পার)। ৫. কোথায় তুমি কিভাবে কোন্ মূহূর্তে মরবে, এবং কি অবস্থায় মরবে, তাও তুমি বলতে পারবে না (অবশ্য আগেই বলা হয়েছে, ফাঁসিকাষ্টে ঝোলা একটি আগাম ঘোষণা, এবং তা কখনো অদৃশ্য বিষয় হিসেবে গণ্য হয় না)।

এই নির্বোধ মানব, যে তার নিজের ব্যাপারেই জানে না, কি করে সে সৃষ্টির সেরা জীব হয়? আর মানব যত অপকর্ম-কুকর্ম করে, কোন পশুও তা করে না। গরু তার নিজের চাষ করা ও নিজ মালিকের ধান খায় বুঝে না বলে, অন্যদিকে মানব অপকর্ম করে ঠাণ্ডা মাথায়, প্ল্যান-প্রোগ্রাম করে।একটিবার গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন তো, কোন্ অপকর্ম থেকে মানুষ মুক্ত? পুরুষ-নারী নির্বিষেশে বেশ্যাবৃত্তি থেকে শুরু করে গুম, অপহরণ;আর,শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যা, মিথ্যা বলা, চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই-রাহাজানি-গোপণ-হত্যা-আত্মঘাতি বোমা-হামলা, অন্যের অধিকার নষ্ট করা, অগনিত মানুষ হত্যা- সকল জায়গায়ই এই ‘মানব’-ইফার্সট।

অবশ্য, এই পাপিষ্ট মানবের ব্যাপারেই আল্লাহ পাক তাঁর পবিত্র র্ক্বোআনে বলেছেন (যেহেতু তিনি মানুষকে স্বীয় কুদ্রতি হস্তে বানিয়েছেন): “আমি আদম সন্তানকে সম্মানিত করে সৃষ্টি করেছি, জলে-স্থলে (অকাশে, সর্বত্র) আমি তাকে প্রবল ক্ষমতা দিয়েছি, এবং সম্মানিত করে যত সৃষ্টিকূল আমি সৃষ্টি করেছি, তাদের ‘অনেকের’ উপরে আমি মানবকে মর্যাদা দান করেছি”।অর্থাৎ, “অনেকের উপরে” মানেই হচ্ছে, ‘সাধারন’মানবের চাইতে অধিক মর্যাদাবান আরও অনেক সৃষ্টিকূল রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে পড়েন নবী-রাসূলগণ, ফেরেস্তাগণ, সাহাবায়ে কেরামগণ (রা:), তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন, ওলি-আউলিয়াগণ এবং অন্যান্য সকল ধর্মের প্রচারকগণ। উনারা অবশ্যই ‘সাধারণের’ আওতাভূক্ত নন। এখানে পরিষ্কার যে, ‘সাধারন পাপিষ্ট মানুষ’ কোন অবস্থাতেই ‘সৃষ্টির সেরা জীব’ নয়।

আরেক জায়গায় আল্লাহ বলেছেন: “আমি মানবকে সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছি” - যার গুড় রহস্য হচ্ছে, একমাত্র মানব ছাড়া যত সৃষ্টিকূল আছে, সবার আকৃতিবা গড়ন লম্বা-লম্বি, আর একমাত্র মানবের দেহই খাড়া, তার মস্তক উপরের দিকে, সৃষ্টিকর্তা ব্যতিরেকে অন্য কারো কাছে মানুষের মাথা নূয়ে না, মানব একমাত্র তার স্রষ্টার কাছেই তার মাথা নূয়ায়, দ’ুহাত তুলে খাড়া মাথায়, অথবা, মাথা মাটিতে লাগিয়ে,একমাত্র তাঁর কাছেই প্রার্থনা জানায়, মাথা উপরের দিকে, এটাই তার সৌন্দর্য, এজন্যই তার অবয়ব ‘সুন্দরতম’। অন্যতায়, আমার মত বিশ্রি-কুশ্রি চেহারার মানুষের চাইতে জেব্রা বা জিরাফের অবয়ব তো ঢের বেশী সুন্দর, কিন্তু, আমার মাথা যে খাড়া, আর, এখানেই আমার ‘সুন্দরতমতা’।

এবার আসি, কেন ‘সকল সাধারন মানব’ সৃষ্টির সেরা জীব নয়? এক একটা যুদ্ধে কত মানুষ মরে? প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কত যুদ্ধ হয়েছে, আর, এক একটা যুদ্ধে কত মিলিয়ন-মিলিয়ন মানুষকে অন্য আরেক মানুষ হত্যা করেছে? অতি সংক্ষেপ একটি পরিসংখ্যাননিলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে উঠবে। খ্রীষ্টপূর্ব ১২,০০০ সাল থেকে শুরু করে ৩১০০ পর্যন্তহাজার হজার যুদ্ধ হয়েছে।হয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের রক্তের হুলিখেলা। খ্রিস্ট পূর্ব ৩১০০ সাল থেকে ১ সাল পর্যন্ত হয়েছে ২৭০ টিরও অধিক যুদ্ধ। এর ভেতরেই পড়ে শুধু এক সিরিয়াকে নিয়ে ১৬ টিরও অধিক যুদ্ধ। এরই ভেতরে আরও পড়ে ১০ বছর ব্যাপি ট্রয়ের যুদ্ধ। আর খ্রীষ্টব্দের হিসাবে আস্লেই হতভম্ব হতে হয়। মধ্যযুগের পূর্ব থেকে একবিংশ শতাব্দির গোড়া পর্যন্ত শুধু পাশ্চাত্যেরদিকে তাকালেই একটি অবাক- করা পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে।

ইতালীয় একনায়ক মুসোলিনিই মেরেছে প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ। জাপানের উপর ২ এ্যাটোম বোমায় যুক্তরাষ্ট্রই মেরেছে ২,২০,০০০ গণমানুষ। ইতিপূর্বে গিয়েছে ইতালিয়-ইথিওপিয়-লিবিয় যুদ্ধ, মরেছে প্রায় ৯,৫৩০,০০০ জনমানব। মাও এবং স্টালিন মেরেছে মিলিয়ন মিলিয়ন গণমানব। মাও সে তুং-কে বলা হয় বিংশ শতাব্দির ৩য় টায়্র‌্যান্ট। তার কারণে আসা দুর্ভিক্ষে মারা গিয়েছিল ৩.৬৬ মিলিয়ন মানুষ।১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ-বিষয়ক বিষয়বস্তু নিয়ে লেখায় ইংরেজি সাহিত্য ভরপুর। ১৯৮৭ সালের অব্যবহিত পরেই চীনের কারণে মারা গিয়েছিল ৩০ মিলিয়ন। পরবর্তী দুর্ভিক্ষে মারা যায় আরো২০ থেকে ৪৫ মিলিয়ন। ইতিহাসের সর্বগ্রাসি দুর্ভিক্ষ ‘দ্য গ্রেট লীপ ফ্যামিনে’ মারা যাওয়ার ইয়াত্তা নেই।

মাও নাকি ছিল এক দানব। হিটলার মেরেছে ১১/১২ মিলিয়ন। স্টালিন নাকি মনে করত: একটি মাত্র মৃত্যু হলো একটা ট্রাজেডি; আর, এক মিলিয়ন মৃত্যু হলো একটা পরিসংখ্যান! লেলিনের কমিউনিস্ট শাসনামলে মৃত্যু হয় ৪২,৮৭০,০০০ থেকে ১৬১,৯৯০,০০০ মানুষের। তারপর রয়েছে খেমেররুজ গণহত্যা, ভিয়েতনাম গণহত্যা, বুলগেরিয়ায় মৃত্যু, পূর্ব জার্মানি ও বার্লিন দেয়াল গার্ডের গণহত্যা। ১৯৪৫ সাল থেকে রুমানিয়ায় মৃত্যু ৬০,০০০ থেকে ৩০০,০০০। যুগুশ্লোভিয়া ও উত্তর কোরিয়ায় গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষ, শতবর্ষী যুদ্ধ, ওয়ার অব রোজেজ, সেন্ট্রাল ইউরোপে তিরিশ বছরি যুদ্ধ, পাক-ভারত যুদ্ধ, বাংলাদেশে পাকিস্তানি হায়েনাদের ৩০ লক্ষাধিক গণহত্যা, আফগানিস্তানে গণহত্যা, সাম্প্রকিকালের ইরান-ইরাক যুদ্ধ, ইরাকের কুয়েত আক্রমন, ইরাক-যুদ্ধ ও লিবিয়া-যুদ্ধ, লাগাতার ইস্রায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, তালেবান-আইএস-সিরিয়া-সৌদি জোট-যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষের পর দুর্ভিক্ষ, শরণার্থীর পর শরণার্থী, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা খেদাও অক্রমন, ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী-প্রবেশ, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাশবিক (বিশেষ করে) নারী-নির্যাতন, ভারতের সাম্প্রতিক নাগরিকত্ব বিল ও কাশ্মীর ইশ্যু, আর কত উল্লেখ?

হায়রে!এরা সবাই ‘সাধারণ মানব’; আর,এইসব ‘সাধারণ মানব’ই নাকি ঢালাওভাবে ‘আশরাফুল মাখলুকাত’! আজকের বৈশ্বিক নোভেল করোনাভাইরাস? নাকি, প্রকৃতির চরম প্রতিশোধ? হে সম্ভাব্য বৈশ্বিক মহা-দুর্ভিক্ষ!তুমি আর কত দূর!আর, তুমি কেড়ে নেবে কত মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের প্রাণ?

হে প্রভূ, ক্ষমা করো তোমার আদরের সৃষ্টিকে। তোমার এই আদরের সৃষ্টিকে তুমি অন্তত একটি শিক্ষা দাও: “জমিন আমার; অতএব, আমার এই জমিনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ধনি-গরীব নির্বিশেষে সকল মানবের (অন্যান্য প্রাণী ও জড়বস্তু সহ) সম্মিলিত সহ-অবস্থান নিশ্চিৎ করলেই আমি তোমাদেরকে রেহাই দেবো”।

লেখক:    প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও ২৪ বছরের বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, সিলেট।

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.