আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ব্যক্তিগত জীবন ও অনলাইন সাংবাদিকতা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-২৫ ২২:৪৩:২৪





|| ফজলুর রহমান জসিম ||

মানুষের পরিবারিক বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা করা মোটেও সমীচীন নয়। তবে সেলেব্রিটি  বা সমাজের উচ্চস্তরের মানুষের জীবনযাপন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ থাকাটা স্বাভাবিক। বিশেষ করে অভিনেতা-অভিনেত্রীর বিয়ের আগে কয়েকবার বিয়ে দিয়ে দেয় সংবাদমাধ্যম।

এখন তো কারো একটি ফেসবুক আইডি থাকলেই তিনি শক্তিশালী মিডিয়া হাউজের মালিক।  ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সমালোচনা, পরামর্শ দেয়া, রাষ্ট্রের বাজেট ঘোষণা, সরকারকে বুদ্ধি দেয়া সবই করতে পারেন। নিউজপোর্টাল এবং অনলাইন টিভির বিশাল জগত সম্পর্কে বলার দুঃসাহস  আমার নেই।

মুল প্রসঙ্গে আসি, আবুল মাল আব্দুল মুহিত একজন সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী। যার দশ বছরের মন্ত্রীত্ব থাকাকালীন বা পরে কেউ কোন ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারে নাই। রাগ বেশি ছিল কথায় কথায় রাবিশ, বোগাস বলতেন। এটা নিয়ে হয়তো সমালোচনা ছিলো

অষ্ট্রেলীয়া প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী সাহেব বাবা দিবসে প্রকাশ করলেন জি-বাংলার  পারিবারিক নাটক অবলম্বনে মুহিত সাহেবের পারবারিক জীবনের নামে একটি মুুুখরোচক কাহিনী। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা।

আমার প্রশ্ন মুহিত সাহেবের ব্যক্তিগত জীবনের এত বড় অংশ প্রকাশের আগে বারী সাহেব কি মুহিত সাহেব বা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সাহেদ মুহিতের কোন বক্তব্য নিয়েছিলেন? একজন সাংবাদিকের কি উচিত কারো বক্তব্য না নিয়ে এরকম মনগড়া কিছু লিখে সম্মানহানি করা।
মুহিত সাহেবের পারিবারিক বিষয় নিয়ে লেখলেও এর সাথে পুরো সিলেটবাসীর সম্মান জড়িত। মুহিত সাহেব একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানুষ এবং পূর্ব পাকিস্তান আমল থেকেই উনার পরিবার স্বহিমায় সম্মান ধরে রেখেছে। এই সংবাদ সিলেটবাসহী পুরো দেশবাসীকে কষ্ট দিয়েছে।
সাহেদ মুহিতকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যার যে রকম মনে হয়ে গালি দিচ্ছেন, বিচার করছেন। কিন্ত্তু এই  ঘটনার সত্যতা  কেউ খুুুঁজতে যাচ্ছেন না। মুহিত সাহেবের পরিবারের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ করা হয়েছে। এই অভিযোগকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলছেন।  আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, এটা মন্ত্রী-এমপিদের সম্মান নষ্টের ধারাবাহিক চেষ্টা, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এখনকার সময়ে এরকম নিউজপোর্টাল কত মানুষের সম্মান কেড়ে নিচ্ছে, কেড়ে নিবে কেউ বলতে পারবে না। এটা সরকারের ব্যর্থতা। সারাদেশে সবাই সাংবাদিক, কোন যোগ্যতা লাগে না, পাঁচ হাজার টাকা হলে নিউজপোর্টালসহ অনলাইন টিভির মালিক হওয়ার সূবর্ণ সুযোগ নেয়ার প্রতিযোগিতা চলছে।

একমাত্র আল্লাহ পারেন সবার সম্মান রক্ষা করতে, অনলাইন সাংবাদিক, লাইভ টিভি থেকে ইজ্জত বাঁচাতে আল্লাহকে ডাকতে হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের নির্মাতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার ডিজিটাল সন্ত্রাসের শিকার। ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বা উদাসীন, তাই বলি- সময় গেলে সাধন হবে না।
সর্বশেষ এটাই বলবো সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবের পরিবারের মতো পরিবার দেশে খুব কমই আছে। এরকম পরিবারের সম্মানহানি কোন বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারবে না।  

#লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন