আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেট মহানগর আ.লীগের 'বিকল্প কমিটি' প্রচারকারীগণের প্রতি দলের কর্মীর দুটি প্রশ্ন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-১৯ ১২:৪৫:৩৫

আশিকুজ্জামান রুমেল :: ৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ সনে সম্মেলনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও অধ্যাপক জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠিত হয়।

করোনার প্রকোপের কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন সম্ভবপর হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিসমূহের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দিতে নির্দেশ দিলে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক দলের স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি সম্পন্ন, সৎ ও ত্যাগী, পরিশ্রমী ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নেতৃত্বকে প্রাধান্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের তালিকা নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দলের কেন্দ্রে জমা দেন। যারা বিতর্কিত ও দূর্নীতিগ্রস্থ ও যাদের বিরুদ্ধে লিখিত প্রমাণ রয়েছে তাদের এবং যারা দলে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয়, বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অসুস্থদের প্রস্তাবিত কমিটির বাইরে রাখা হয়। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ যাচাই-বাছাই শেষে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিবেন। ব্যক্তিগতভাবে অসন্তুষ্ট কেউ তার বক্তব্য কেন্দ্রে উপস্থাপন করার সুযোগ আছে; তবে তা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও নিয়ম মেনে করতে হবে।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা কতেক সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে প্রচার করছেন যে, তিনি বা তারা ৭৫ সদস্যের 'বিকল্প কমিটি' কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন! এসব বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায়ও প্রচার হচ্ছে। ফলে সংগঠনের সকল স্তরে ও জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

সিলেট মহানগরীর 'বিকল্প কমিটি' উপস্থাপনকারীদের প্রতি দুটি প্রশ্ন করতে চাই:

প্রথমত : কোন এখতিয়ার বলে আপনি বা আপনারা 'বিকল্প কমিটি' কেন্দ্রে জমা দিলেন? সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে বা তাদের অজ্ঞাতে 'কমিটি' জমা দেয়ার এখতিয়ার আপনাদের কে দিল? এসব গঠনতন্ত্র ও দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ নয়? একান্ত ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যে সংগঠনের নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করার মানষিকতার পরিচয় নয়? দলে বিভেদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াশ নয়?


দ্বিতীয়ত : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে এবং দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে কতেক সংবাদ মাধ্যমে দলের আভ্যন্তরীন ও কেন্দ্রের এখতিয়ারাধীন বিষয় নিয়ে বক্তব্য প্রদান ও প্রচার চালানো কি দলের কেন্দ্রের ও সাংগঠনিক নিয়মনীতির প্রতি চ্যালেঞ্জের  সামিল নয়?

আশাকরি বর্ণিত বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বিবেচনায় নিবেন।

লেখক: কর্মী, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন