Sylhet View 24 PRINT

'বিকল্প কমিটি' উপস্থাপকেরা শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায় এড়াতে পারবেন কি?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-২১ ১১:২৪:০০

আশিকুজ্জামান রোমেল :: ৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ -এ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও অধ্যাপক জাকির হোসেনকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের নেতা নির্বাচন করেন এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সম্মেলনে তাদের নাম ঘোষণা করেন। সংগঠনের নিয়ম ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলিতভাবে শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন এবং কেন্দ্র সে কমিটি অনুমোদন দেবেন।

নেতা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশিত নীতিমালা অনুসরন করা হয়। এবারের নীতিমালা ছিল সৎ, স্বচ্ছ ,ত্যাগী ভাবমূর্তির অভিজ্ঞ নেতাদের প্রাধান্য দেয়া এবং বিতর্কিত,দূর্নীতিগ্রস্থ ও নেতিবাচক ভাবমূর্তির মানুষদের নেতৃত্ব থেকে দুরে রাখা। সম্প্রতি  ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিতর্কিতদের বাদ দিতে হবে, ত্যাগীদের কমিটিতে স্থান দিতে হবে। বর্তমান নগর নেতারা সেই নির্দেশনা মেনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন এবং দলের হাইকমান্ড বিচার-বিবেচনা করে কমিটি অনুমোদন দেবেন।
কথিত 'বিকল্প কমিটি'র কথিপয় নেতারা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ঘোষিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাংগঠনিক দায়িত্বকে 'অবজ্ঞা' করে সম্পুর্ণ ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে দলে বর্তমানে কোন 'অনুমোদিত' পদ-পদবি না থাকা স্বত্ত্বেও নিজেরা নিজেদের নেতা বানিয়ে তথাকথিত 'বিকল্প কমিটি' উপস্থাপন করেছেন, যেটা দলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী-সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের প্রতি চ্যালেঞ্জ স্বরুপ। এসব কর্মকান্ড কেবল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেনা, আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতি ও সাংগঠনের ভেতরে বিভেদের রাজনীতি জন্মদিয়ে আওয়ামীলীগকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে দূর্বল করার প্রয়াশ। সংগঠনের সাধারণ নেতকর্মীদের তাতে কোন সহানুভূতি ও সম্পৃক্ততা তো নেই; বরং সংগঠনের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাহীনতা, বিভেদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও 'উস্কানিমূলক নেতিবাচক রাজনীতির দায়ে  তারা অভিযুক্ত হচ্ছেন।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদে তারা তিন/চারজন এবং কর্মীস্তরের পাঁচ/ছয়জনসহ বসেছিলেন। যদিও মিডিয়ায় বহু নেতার নাম পাঠিয়েছেন মিটিংয়ের সংবাদসহ। কিন্তু ভুলেও ছবি পাঠাননি! বর্ণিত ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদের সভাপতি সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা, যার বিরুদ্ধে এসব তৎপরতায় ইন্দন দেওয়ার অভিযোগ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রে জমা পড়েছে বলে শুনেছি এবং দশ/এগার জনের ঐ সভার সভাপতি যার নাম নগর নেতৃত্ব কর্তৃক প্রস্তাবিত কমিটিরতে সহসভাপতি পদে আছে, তাদের কাছে সাধারন কর্মী হিসেবে প্রশ্ন রাখতে চাই:
এক। সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আপনারা কোন এখতিয়ার বলে 'বিকল্প কমিটির' উপস্থাপন করেন? আপনাদের সে দায়িত্ব কে দিয়েছে?

দুই। কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেদের কিছু লোক নিয়ে মিটিং করলেন এবং সেটা মিডিয়ায় প্রচার করলেন, সেটা কি একান্ত ব্যক্তি স্বার্থ প্রসূত হয়ে দলের ভেতরে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা নয়?

এসব যে দলের নিয়মনীতি, গঠনতন্ত্র ও সংগঠন বিরোধী কাজ সেটা কি আপনারা বুঝেন না?

কারো কোন বিষয়ে বক্তব্য, ভিন্নমত বা অভাব-অভিযোগ থাকলে অভিভাবক স্তরে তা বলার ও উপস্থাপনের অধিকার সকলের আছে। এটা সত্য,  রাজনৈতিক সংগঠনের বিষয়-আসয় হলে অবশ্যই সাংগঠনিক রীতি-নীতি মেনে তা করতে হয়।  'পলিটিক্যাল এনার্কিজম' বা 'হস্টালিটি' যেকোন দলের জন্যেই ক্ষতিকর ,তাই তা কোন দলেই বর্দাশ করা হয়না। 'পলিটিক্যালি ইমিচুর' আচরণকারী ও সংগঠনের রীতিনীতির সম্পর্কে অবজ্ঞা প্রদর্শনকারী ব্যক্তিদের যেকোন স্তরে নেতৃত্বে রাখা বিবেচনা প্রসূত কাজ হবে কিনা তা সকলকে ভেবে দেখতে হবে।
আশাকরি এসব দল, সংগঠন ও নেতৃত্ব বিরোধী অরাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ হবে এবং কেন্দ্রের এখতিয়ারাধীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে সকলে বিরত থাকবেন।
লেখক: কর্মী, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।

সিলেট ভিউ ২৪ ডট কম/ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০/পিটি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.