আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

মেঘ পাহাড়ের দেশে

শিলং ভ্রমণ পর্ব-১

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১০-১৪ ০০:৪২:৪৭

ফারজানা ইসলাম লিনু :: সেই শৈশব থেকেই আব্বার কাছে শিলংয়ের গল্প শুনে আসছি। তৎকালীন আসাম সরকারের পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে দাদা পরিবার নিয়ে শিলং থাকতেন। শিলংয়ের জীবনযাত্রা, পড়াশোনা তদুপরি আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে শিলংয়ে স্থায়ী ভাবে থিতু হওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন।

শিলংয়ের লাবানে আসাম প্যাটার্নের কাঠের দ্বি-তল বাড়ি ছিল দাদার। ছেলেমেয়েদের বিশুদ্ধ দুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটা গাভিও ছিল আব্বাদের। গাভি সমেত বাড়িটির একমাত্র সাদাকালো স্থিরচিত্র শেষ স্মৃতি হিসেবে অনেক কাল আমাদের বাড়িতে সংরক্ষিত ছিল। আব্বা ছবিটা দেখিয়ে অনেক আফসোস করতেন, "কেন যে দেশ ভাগ হলো?"

দ্বি-জ্বাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হওয়া ভারতবর্ষের সরকারি চাকুরে দাদাকে অনেকটা অনিচ্ছায় বেছে নিতে হয় পাকিস্তান। ভাইবেরাদর রেখে স্ত্রী সন্তান নিয়ে একা শিলং থাকতে ভরসা পাননি। পিতৃপূরুষের বাসভূমিতে ফিরে এসে যোগদান করেন ঢাকাস্থ পূর্ব পাকিস্তান সচিবালয়ে। আব্বারা চার ভাই পড়াশোনা শিলংয়ে প্রায় শেষ করে আসলেও মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও ফুফুদের পড়ালেখা হয় নি সে রকম। বাড়িতে আসতে না আসতেই দাদি মারা গেলেন। দাদাও কয়েক বছর পর চলে আসলেন অবসরে। সবকিছু মিলিয়ে সময়টা দাদার জন্য অনেক কঠিন ছিল। পরবর্তীতে আব্বারা চার ভাই সরকারি চাকুরী করলেও শিলংয়ের জীবনযাত্রা নিয়ে আব্বাদের আজীবন আফসোস ছিল। শৈশব, কৈশোরের দুরন্ত সময়টুকু কেটেছে শিলংয়ের আলো বাতাসে।শিলংয়ের যাপিত জীবনের প্রতিটা অম্লমধুর গল্প আব্বা আমাদের অনেক সুন্দর করে বলতেন। শুনতে শুনতে অনেক চেনা হয়ে যায় শিলংয়ের অলিগলি।

একটু বড় হওয়ার পর রবীন্দ্রনাথের"শেষের কবিতা"পড়ে শিলংয়ের প্রতি মনের টান আরো বেড়ে যায়।

চেরাপুঞ্জির গিরিশৃঙ্গ, বর্ষার মেঘদল, গিরিনির্ঝরিণী আর নির্মল পাহাড়ি আবহাওয়ায় সময় কাটাতে এসে কবিগুরু শিলংয়ের প্রেক্ষাপটে সৃষ্টি করেছিলেন অমিত লাবন্যের অসমাপ্ত প্রেমের গল্প “শেষের কবিতা”। শিলংয়ের আঁকা বাকা পাহাড়ি রাস্তায় এলোমেলো গাড়ি চালিয়ে লাবন্যের গাড়িকে কষে আঘাত করে অমিত রায়ের গাড়ি। খানিক গড়িয়ে পাহাড়ের গায়ে আটকে থেনে যায় গাড়িখানা। এই নাটকীয় সাক্ষাতেই অমিত লাবন্যের পরিচয় হয়। জটিল ধাঁধাঁয় অমিত লাবন্যের মিল হয়না। পাঠক হিসেবে সে বয়সে আমার খারাপ লাগলেও শিলংয়ের প্রতি প্রীতিটা থেকে যায়।

সিলেট থেকে অতি কাছের শহর শিলং। যাতায়াত ব্যবস্থাও অনেক ভালো। কাছের মানুষ ও প্রিয়জনেরা হরহামেশাই শিলংয়ে যাওয়া আসা করেন। কিন্তু প্রবল উচ্চতা ভীতি ও গতিজনিত অসুস্থতার কারণে সাহস করতে পারিনা আমি। ঘোরানো, পেছানো পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে ছয় হাজার ফুট উপরে উঠার কথা মনে হলেই বুকের ধুকপুকানি নিজের কানে শুনতে পাই। সবকিছু মিলিয়ে শিলং যাত্রার সিদ্ধান্ত এক পা এগোলে দশ পা পিছায়। পুত্র কন্যাদের বাবার চাপাচাপিতে এইবার না গিয়ে উপায় নেই। দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে ভয় গোপন করে সবকিছু গুছিয়ে রেডি। কিন্তু পুজার ছুটির ফাঁদে পড়ে হোটেল প্রাপ্তি অনিশ্চিত পড়ে। যাই হোক শেষ বেলায় আমাদের সবকিছু হয়। এইবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।

শরতের বিদায়ী আর হেমন্তের আগমনী বার্তা চারদিকে। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের থাবায় ঋতু পরিবর্তনের আমেজ আর আগের মত নেই। শিশির ভেজা কোন এক সকালে রওয়ানা দেই তামাবিল অভিমুখে। যাওয়ার আগে একসাথে দুটো রিলাক্সের ঔষধ গিলতে ভুলি না। শরতের হালকা কুয়াশা ঢাকা মন ভালো করা স্নিগ্ধ প্রভাতের যাত্রায় কোন বিপত্তি ঘটেনি।সূর্যের তাপ বাড়তে তখনো অনেক বাকি।বেশ দ্রুত পৌছে যাই জৈন্তা। জয়ন্তিয়া রাজার বাড়ির ধ্বংসাবশেষের শেষ চিহ্নটুকু মাথা বাড়িয়ে আমাদের স্বাগত জানায়। দ্রুত পৌছে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাস্তা ঘাটের প্রশংসা করতে হলো। সাথে সাথেই ড্রাইভার সাহেব মনে করিয়ে দিলেন সামনের রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা। জাফলং ভেলি স্কুলের সামনে দিয়ে যাচ্ছি।বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বর্ডিং স্কুলটা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই আসবো আসবো করে আসা হয় নি। বিশাল এক এলাকা জুড়ে পাহাড়ের চুড়ায় চুড়ায় স্কুলের ভবন গুলো। স্কুল দেখতে দেখতে কিছুটা আনমনা আমরা। সিলেট টু তামাবিলের ভাঙ্গা রাস্তার ঝাঁকুনিতে সম্বিত ফিরে আসে। ড্রাইভার সাহেবের কথার সত্যতা হাড়ে হাড়ে টের পাই। ঘন্টা আধেক হেলে দুলে গড়িয়ে গড়িয়ে তামাবিলে পৌছে অনেক ভালো লাগে। দূর থেকে শিলংয়ের পাহাড় হাতছানি দেয় আমাদের। সবুজ পাহাড়ের গায়ে সূর্যের আলো পড়ে কুয়াশা কাটতে শুরু করেছে। ভেতরে ভেতরে শিলং ভ্রমণের ভয়তো আছেই। সাথে উত্তেজনাও কম হচ্ছেনা। তামাবিলের ইমিগ্রেশনে শিলংগামী যাত্রীদের বিশাল লাইন। পুজার ছুটিতে সবাই সদলবলে যাচ্ছে শিলং, চেরাপুঞ্জি ডাউকি, শিলিগুড়ি, গৌহাটি বা দার্জিলিংয়ে। পরিচিত অনেকের সাথে দেখা হয়ে গেল। রোদ মাথায় লাইনে দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশনের ঝামেলা শেষ করে শুন্যরেখা পার হই। ওপারে ভারতের বি এস এফের চেকপোস্ট। আবারও অনেক আনুষ্ঠানিকতা। সব কিছু সেরে শিলংগামী গাড়িতে চেপে বসি। আমার ঘুমানোর প্রস্তুতি মোটামুটি সম্পন্ন, গাড়ি ছাড়লেই ঘুমিয়ে যাবো। এই রাস্তায় না ঘুমিয়ে উপায় নেই। ঘুমিয়ে কাটাতে হবে পুরো সময় । ডাউকি ব্রীজে উঠা পর্যন্ত মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। একটু পরে দেশের সাথে যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আপনজনদের সাথে কথা বলে নেই শেষবারের মতো। কথা বলতে গিয়ে চোখ পড়ে ব্রিজের নিচের চোখ ধাঁধাঁনো দৃশ্য। পিয়াইন নদের স্বচ্ছ জলে কয়েকটা নৌকা চলছে। সূর্যের আলো নদীর পানিতে আঁচড়ে পড়ছে ঝলমলিয়ে। ব্রীজ থেকে ছবি তুলতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলেও দু একটা অগোছালো ছবি তুলে ফেলি। নিরাপত্তার অজুহাতে ছবি তুলতে দেয়া হয়না এখানে। ব্রীজ থেকে নামতেই রাস্তার দুপাশে ঘন জঙ্গল। পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের উপযোগী সুমো গাড়ীটা এগিয়ে চলছে ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পাহাড়ি রাস্তা ধরে। উঁচু রাস্তার দুপাশে গভীর খাদ। জোর করে চোখ বন্ধ করি পাছে না আমার চোখ হাজার হাজার ফুট নিচে চলে যায়। একবার আস্তে করে ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে দেখি গিরিখাদের গভীরতা। পিলে চমকানো অবস্থা। এত গভীর গিরি খাদে যদি গাড়িটা গড়িয়ে পড়ে তো সেরেছে। যাত্রী সমেত গাড়ীর ভগ্নাংশ খুজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। দুটো ঔষধেও কাজ হচ্ছে না। নিদ্রা দূরে থাক চোখ দুটো জোর করেও জোড়া লাগাতে পারি না। তার উপর বাচ্চাদের উত্তেজিত চিৎকার, চেচামেচি। কিছুক্ষণ পরপর কৌতুহলী প্রশ্ন। ওদের থামাতে চেষ্টা করি। দল ভারী হওয়াতে এইখানেও ব্যর্থ হই। আমিও বিকল্প খুঁজি। বুদ্ধি একটা মাথায় আসে তখন। বিরক্ত হয়ে বলি, এই চুপ কর, আমি কিন্তু বমি করবো। মাথা ঘুরছে আমার।

এইবার ভালোই কাজ হয়েছে। বমির কথা শুনে সবাই চুপ। আমি শান্তিতে মাথা হেলিয়ে দেই। বমিটমি হচ্ছে না দেখে একটু পর নিরবতা ভেঙ্গে আবার ফিসফিস। আমার ঘুম আসেনা আবার বাইরেও তাকাতে ভয় লাগে। ঘাপটি মেরে বসে আছি।মাইল কয়েক পার হওয়ার পর ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগতে শুরু করে। প্রচন্ড গরম থেকে আসায় শীতটা একটু বেশি লাগছে। শীতের কাপড় গায়ে চাপিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি কি সুন্দর দৃশ্য। সুন্দর মসৃণ রাস্তার দুপাশের অপার সৌন্দর্য দেখে বুঝতে বাকি থাকে না মানুষ কেন এত পাগল হয়ে শিলংয়ের ভুস্বর্গে আসে। মেঘের দেশে মেঘেদের আনাগোনা দেখে গিরিখাদে গাড়ি গড়িয়ে পড়ার ভয় ইতিমধ্যে দূর হয়েছে। প্রকৃতির এত কাছাকাছি চলে এসেছি ভাবতেই পারি না। চেহারায় উৎফুল্ল ভাব দেখে ছানাপোনাও টের পেয়েছে মা বমি টমি করবে না, শুধুশুধু ভয় দেখাচ্ছে। ঘুরে ঘুরে গাড়ি ক্রমাগত উচুতে উঠছে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে বায়ুর চাপ বাড়ছে। হৃদপিণ্ড চাপ নিতে পারছে না। সবার শ্রবণেন্দ্রিয়ের কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। শুধু আমার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। সাইনাসের যন্ত্রনায় সারাবছর আমার কান বন্ধ থাকে। কানে খানিক কম শুনার কারণে প্রায়ই তিরষ্কৃত হই। শিলংয়ের পাহাড়ি রাস্তায় ভ্রমন করতে গিয়ে কানের তালা একটু একটু করে খুলতে শুরু করেছে। অনেকদিন পর বন্ধ কানের তালা খুলে যাওয়াতে অন্যরকম লাগে।

দলবেঁধে পাহাড় ছাড়িয়ে মেঘে উড়ে যায় দিগন্ত পানে। হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে দূর আকাশের মেঘ। মেঘ পাহাড়ের দেশ। মুগ্ধতা আর ভালো লাগা ছড়িয়ে আছে চারপাশে। মুগ্ধ নয়নে মেঘ পাহাড়ের বন্ধুত্ব উপভোগ করি। অতিরিক্ত মুগ্ধতার সাথে টিকতে না পেরে গিরি খাদে পড়ে যাওয়ার ভয় পালিয়েছে আমার। খালি মনে হয় ইশ এতদিন কেন যে আসলাম না।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে হারিয়ে সবাই যে যার মত গান শুনে।আমি খুজে বের করি আমার প্রিয় একটি গান

"মন মোর মেঘের সঙ্গী,
উড়ে চলে দূর দিগন্তের পানে"
রিমিঝিম রিমিঝিম রিমিঝিম।
মন মোর মেঘের সঙ্গী উড়ে চলে দিক-দিগন্তের পানে নিঃসীম শূন্যে
শ্রাবণ বর্ষণ সঙ্গীতে রিমিঝিম রিমিঝিম রিমিঝিম।
মন মোর মেঘের সঙ্গী।
মন মোর হংসবলাকার পাখায়
যায় উড়ে ক্বচিত ক্বচিত চকিত তড়িত – আলোকে।
ঝঞ্জনমঞ্জীর মাজায় ঝঞ্জা রুদ্র আনন্দে।
কলো – কলো কলমন্দ্রে নির্ঝরণী ডাক দেয় প্রলয়- আহবানে।
মন মোর মেঘের সঙ্গী।
বায়ু বহে পূর্বসমুদ্র হতে উচ্ছল ছলো- ছলো তটিনীতরঙ্গে।
মন মোর ধায় ভারি মত্ত প্রবাহে তাল- তমাল-অরন্যে
ক্ষুব্ধ শাখার আন্দোলনে।
মন মোর মেঘের সঙ্গী উড়ে চলে দিক-দিগন্তের পানে নিঃসীম শুন্যে
শ্রাবণ বর্ষণ সঙ্গীতে রিমিঝিম রিমিঝিম রিমিঝিম।
মন মর মেঘের সঙ্গী।

গান শুনতে শুনতে পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে বেশ নিয়ন্ত্রিত ও দ্রুত গতিতে চলে আমাদের সুমো গাড়ি। ড্রাইভারের দক্ষতায় যাত্রার ঝুঁকি ও ক্লান্তি অনেকটা নিয়ন্ত্রনে। জায়গায় জায়গায় গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়ি আমরা। যাত্রা বিরতিতে অল্প স্বল্প আহারে আরো চাঙ্গা লাগে। জনমানবহীন রাস্তার আশেপাশে লোকজনের দেখা মিলে কম। মাঝেমাঝে দেখা যায় পাহাড়ের গাছের ছায়ায় খাসিয়ারা বাঁশের বেত দিয়ে সুপারির বিশাল ঝুড়ি বানাচ্ছেন। এগুলোতে সুপারি ভরে পানিতে পচানো হবে। তারপর তৈরী হবে সুস্বাদু পচাইল সুপারি। কুটনিতে কুটে দাদি পচাইল সুপারি খেতেন। খুব ছোট বেলা দু এক বার মুখে দিলেও পচাইল সুপারির বিখ্যাত গন্ধ মনে হতেই ওয়াক। ড্রাইভার সাহেবের কাছ থেকে জানা গেল এখানকার বিখ্যাত পচাইল সুপারি নাকি বাংলাদেশে রফতানী হয়। ড্রাইভার সাহেব মহা আনন্দে পুটলা থেকে বের করে সুপারি চিবাচ্ছেন আর এই অঞ্চলের সুপারির সাতকাহন শুনাচ্ছেন।

"সুস্বাদু পচাইল" সুপারি শব্দগুলো কানে বাজে বার বার। মাইলের পর মাইল জনশূন্য, ট্রাফিকজ্যাম বিহীন রাস্তা পার হয়ে চলে এসছি শিলংয়ের কাছাকাছি। রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম না থাকলেও গাড়ি গুলো বেপরোয়া গতিতে চলে না। গতিনিয়ন্ত্রন ও সড়কের নিয়মকানুন মানতে চালকরা বদ্ধ পরিকর। প্রতিটা বাঁকে অতি সাবধানে গাড়ি ঘোরাতে হয়। চালকের দক্ষতা ও সচেতনতা আমাকে আশ্বস্ত করলেও শীত বেশ অনুভুত হচ্ছে। আস্তে আস্তে ঠান্ডা সেই রকম চেপে ধরছে আমাদের। আরো বেশি কাপড় চাপাতে হবে মনে হয়। অরন্যে ঘেরা স্নিগ্ধ শহরে আমাদের মুগ্ধ পদাচারনা। বিস্ময়ের সবে শুরু। শহরের কেন্দ্রস্থলে চলে এসেছি। গেস্ট হাউসের অবস্থান লাবানে। শহর হিসেবে যতটুকু জণাকীর্ন হওয়ার কথা ততটা জণাকীর্ন না। পরিচ্ছন্ন রাস্তায় চক্কর মেরে গেস্ট হাউস খুঁজে পেতে ঝক্কি হয়নি মোটেও।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন