আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

রোজিনা ইস্যুতে প্রশ্ন অনেক, উত্তর কম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৫-২৫ ১৯:২৮:৫৮

নিয়ন মতিয়ুল :: সাংবাদিকতায় অতিরাজনীতিপ্রবণতার পরিণতি কিংবা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার দুষ্টু সমীকরণ সম্পর্কে আলোচনা তেমনভাবে আমরা করি না। অনেকেই এই প্রবণতার ভয়াবহতাকে বিশ্বাসও করেন না। যেটুকু আলোচনা হয় বা হচ্ছে তা শুধুই গড়পড়তা সরলীকরণ- অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ফিরিস্তি। যদিও রাজনৈতিক আদর্শগত সমীকরণের বাইরে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতার কার্যকারিতা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে সুরঙ্গের শেষ মাথায় সম্ভাবনার আলো দৃষ্টিগোচর হয়-ই। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মানসপটে আশা বা আকাঙ্ক্ষার যে গল্পগুলো প্রতিনিয়ত লেখা হচ্ছে, তার পাঠোদ্ধারের ভিত্তিতেই আগামীর সাংবাদিকতার গাইডলাইন তৈরি করা সময়েরই দাবি।

আসলেই আমরা গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী হবো, না রাজনৈতিক ক্ষমতাকেন্দ্রিক ব্র্যাকেটবন্দী নির্বাচিত নৈতিকতার চর্চা করবো- সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদেরই। যদিও নতুন যে আর্থরাজনৈতিক ব্যবস্থা গণমাধ্যমকে বিচিত্ররকম জটিল সংকটের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে তা থেকে উত্তরণের কোনো পথই প্রথাগত নয়। ক্ষমতার অংশ হয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে পাস কাটিয়ে বিজ্ঞাপনভিত্তিক সাংবাদিকতার চেয়ে যা একেবারেই ভিন্ন। যার লক্ষ্য একমাত্র জনমুখী বা জনপ্রিয়তামুখী হয়ে ওঠা। ‘তথ্য জনগণের পণ্য’ হিসেবে উল্লেখ করে যে স্লোগান আমরা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে নির্ধারণ করেছি, তাতে জনগণই মুখ্য ভোক্তা। আর সেই ভোক্তার উপযোগী করে সংবাদ পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিই কেবল পারে গণমাধ্যম ব্যবসার মডেল দাঁড় করাতে। হাজার হাজার গণমাধ্যমকর্মীর কর্মসংস্থানের সুরক্ষা আর পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দিতে।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি নির্মোহভাবে বুঝেই সামনের পথ রচনা করতে হবে সাংবাদিকদের। আগামীর সংবাদ পণ্যের ভোক্তা কারা, তাদের মানসকাঠামোর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করলে গণমাধ্যম ব্যবসার কাঙ্ক্ষিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ করা সহজ হবে। আমাদের গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি যদি আমরা বুঝতে পারি, তাহলে এটা বোঝা দুরূহ নয়, কেন দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সব গণমাধ্যমই তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। এ জন্য কেবল কে মালিক সেটা দেখাই যথেষ্ট নয়, নজর দিতে হবে লুটেরা অর্থনীতির বিকাশের নীতি এবং জবাবদিহিহীন রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থার দিকে যেগুলো এ ধরনের গণমাধ্যমব্যবস্থা তৈরি করেছে। (গণমাধ্যমের কে মালিক, কীভাবে মালিক। ২৩ মে ২০২১। প্রথম আলো।)

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে আন্দোলনের যে সর্বজনিন চরিত্র ফুটে উঠলো তা থেকে তরুণ সংবাদকর্মীদের শিক্ষা নেয়ার উপকরণ অনেক। তবে সদ্যসমাপ্ত আন্দোলনে যতটা নিরঙ্কুশ সাংবাদিকতার দাবি তোলা হলো, তারচেয়ে বেশি দেখার চেষ্টা চললো অতিরাজনীতিপ্রবণতা। সেই সঙ্গে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস। আইনের যথাযথ প্রয়োগের দাবির চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনার প্রত্যাশা আর নির্ভরতাই ছিল মূখ্য। যার প্রমাণ দেখে গেল রোজিনা ইসলামের জামিন আদেশের পর। এই দুঃসাধ্য (জামিন) ঘটনাকে বিভিন্ন সংগঠনের মহান ‘বিজয়’ হিসেবে দাবি উঠলো! সরকারের উদার ও মহান দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ বলেও আত্মতুষ্টির প্রকাশ ঘটলো! জামিনটা যে আইনগত ন্যায্যতা বা অধিকার- এ সত্য অনুচ্চারিতই থেকে গেল। অভূতপূর্ব (মুখস্ত!) এসব ঘটনা তরুণ সংবাদকর্মীদের বিস্ময় জাগাতে পারে।

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা, নির্যাতন, গভীর রাতে মামলার পর আদালতে হাজির করা, রিমান্ডে নেয়ার আবেদন- সবমিলিয়ে ২৩ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে সবাই ছিলেন হতবাক-বিস্মিত। অপরাধ প্রমাণের আগেই অমানবিক আচরণ, সমালোচনায় মুখর দেখা গেল শীর্ষ সারির আইনজীবী, সাবেক বিচারপতিসহ দেশ বরেণ্য বহু সাংবাদিককে। জনগণের টাকায় নিজেদের যে বক্তব্য পত্রিকায় পাতায় তুলে ধরলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেই বক্তব্যে স্ববিরোধিতা, আইনি ধারা উপেক্ষাসহ বহু প্রশ্ন উঠলো। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার প্রশ্নের দীর্ঘ তালিকাই তুলে ধরলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলন বর্জন করার পরও টাকার বিনিময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য প্রকাশে সমালোচনার মুখে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম। সেই সঙ্গে অনেক প্রশ্নও তুললেন। তবে এতসব সমালোচনার পরও জামিনে বিলম্বের কারণে আন্দোলনের পথ যে উন্মুক্ত হলো তা নিয়েও তর্কাতর্কি আর সন্দেহ-অবিশ্বাস কম হলো না। রাজনৈতিক সুযোগ সন্ধানীরাও ছাড়লেন না। তারা আগুনে ঢালার জন্য এই ফাঁকে যথেষ্ট পরিমাণ ঘিয়ের ব্যবস্থাও করলেন। এক ধরনের রাজনৈতিক চরম নাটকীয়তার পর উত্তেজনার পারদ নিচে নেমে গেল।

এমন নাটকীয়তার শানে নুযুল কী- তা নিয়ে নিশ্চিতভাবেই তরুণ সংবাদকর্মীরা দারুণ কৌতুহলী। তরুণদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে অতিরাজনীতিপ্রবণতায় আক্রান্ত হয়েছেন বা নিজেদের পাকিয়ে নিয়েছেন তাদের পক্ষ- বিপক্ষ বেছে নিতে অসুবিধা হয়নি। তাদের কেউ রোজিনার পক্ষ নিয়ে সরকারকে গালাগালি দিচ্ছেন। কেউ আবার বিপক্ষে গিয়ে রোজিনার ব্যক্তি বা পারিবারিক রাজনৈতিক চরিত্র নিয়ে টানাটানি শুরু করেছেন। এর মধ্যে আরেক দল তরুণ আছেন যারা সাংবাদিকতা নিয়ে গভীরভাবে পড়ালেখা করেছেন, তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করায় যথেষ্ট সক্ষম। কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে তাদের সেই তত্ত্ব কোনোভাবেই মিলছে না। রোজিনার সাহসী প্রতিবেদনগুলো পড়ে তারা যেমন উচ্ছ্বসিত তেমনি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার আইকন হিসেবেও ভেবেছেন। নিরূপায় হয়ে তারা সাংবাদিকতার বোধশক্তিকে নিবেদন করলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব বা সাংবাদিক নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি আর বক্তব্যের কাছে।

এক্ষেত্রে সাংবাদিক নেতাদের দাবি, সরকারের কতিপয় আমলা রোজিনা ইস্যুতে সরকার ও গণমাধ্যমকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। তাই তারা গণতন্ত্র ও দেশকে এগিয়ে নিতে মুক্তভাবে সাংবাদিকতা করার পরিবেশ তৈরি করতে চান। শুধু রোজিনাকে মুক্ত করাই নয়, যেসব বাধানিষেধ মুক্ত গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করছে, সেগুলো দূরীভূত করার জন্য সবাই মিলে আন্দোলন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারও করলেন। অবশ্য সাংবাদিক নেতাদের এমন বক্তব্যে ‘বিভ্রান্ত’ অতিরাজনীতিপ্রবণ হয়ে ওঠা সাংবাদিকরা। তারা সাংবাদিক নেতাদের এমন বক্তব্যের মধ্যে সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে দুই উপাদানই খুঁজে পাচ্ছেন। সেজন্য নেতাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হতে পারছেন না।

অতিরাজনীতিপ্রবণতায় আক্রান্তদের ব্যাখ্যাটা হচ্ছে, মানুষ মাত্রই রাজনৈতিক জীব। সে বিচারে কেউই নিরপেক্ষ হতে পারেন না। কোনো না কোনো পক্ষের হতেই হবে তাকে। এই সত্যের আলোকে যেকোনো সাংবাদিক বা পত্রিকার রাজনৈতিক পরিচয় জানা অতি জরুরি। এতে তার চরিত্র বা ভূমিকা ব্যাখ্যা করা সহজ হয়। আর সেই চরিত্র অনুযায়ীই তার বা তাদের সঙ্গে আচরণের মাপকাঠিও নির্ধারণ হয়। সহজ এই সমীকরণ বা প্রবণতা রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এখন দারুণ জনপ্রিয়। সত্যকে আপেক্ষিক হিসেবে রূপদানকারী এসব আক্রান্তদের সাফ কথা- হয় পক্ষে থাকো নয়তো শত্রু হও। নিরপেক্ষতার কোনো সুযোগ নেই।

এই প্রবণতার পেছনের ইতিহাসটাতে দৃষ্টি ফেললে দেখা যায়, দেশের মহান স্বাধীনতার কৃতিত্ব, রক্ত আর ঐতিহ্যকে বহন করে সর্বজনীন হয়ে ওঠা বাঙালির পরম আরাধ্য রাজনৈতিক আদর্শের বদল ঘটেছে অনেক আগেই। হিংসা আর প্রতিহিংসা দিন দিন গিলে খেয়েছে সুস্থধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে। বিবর্তনের ধারায় রাজনীতি আজ বাণিজ্যিক পণ্য বা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। রাজনীতির যত প্রসার, বাণিজ্য বা ব্যবসারও তত প্রসার। স্বাধীনতার পর কয়েক দশক ধরেই সহিংসতা, খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, দখল, টেন্ডার, চাঁদাবাজি- ‘রাজনৈতিক বিজনেসে’ পরিণত হয়েছে। সেই মুনাফার অর্থেই ঘরে ঘরে চিরস্থায়ী কর্মী বা সমর্থক গড়ে তুলতেই রাজনীতিতে প্রান্তিক পর্যায়ে ‘আদর্শহীন’ বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। অতিরাজনীতিকরণের এই মহামারিতে আক্রান্ত আজ গোটা দেশ। যেখানে ধর্মান্ধ-প্রগতিশীল, সাম্প্রদায়িক বা অসাম্প্রদায়িক চেতনা এক কাতারে একাকার। ধর্মের নামে রমরমা ব্যবসা। বাইরে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আর ভেতরে মৌলবাদের ধামাকা। সন্দেহ-অবিশ্বাসে ভরপুর এক জাতি। কে কার আপন, আর কে কার পর বোঝার আর কোনো উপায় নেই।

‘নগরে আগুন লাগলে দেবালয় এড়ায় না’- এ সত্যের আলোকে অতিরাজনীতিকরণের মহামারিতে সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত গণমাধ্যম আর কর্মীরা। রোজিনা ইস্যুতে তারই প্রতিফলন দেখা গেল আরেকবার। তবে ‘সৌভাগ্যের’ ব্যাপার যে, প্রবলভাবে রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হওয়ার আগেই সফল সমাপ্তি ঘটেছে আন্দোলনের। যদিও অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা রেখেই ঘরে ফিরেছেন আন্দোলকারীরা। অবশ্য রোজিনার ওপর কেন এই নির্মমতা- তার জন্য কি ব্যক্তি রোজিনা দায়ি না এর পেছনে আর কোনো কারণ ছিল? এ প্রশ্নের খানিকটা উত্তর আন্দোলনকারীরা জেনেছেন আন্দোলন চলাকালীন ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের এক লাইভ শো থেকে। দেশের স্বনামধন্য এক সাংবাদিক ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সেই শোতে বলেছেন, রোজিনা ইস্যুতে একমুখী আলোচনাই নয় শুধু, তার কর্মক্ষেত্র দৈনিক প্রথম আলোর সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের যে সমীকরণ সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।

রোজিনা ইস্যুতে দেশে ও দেশের বাইরে সর্বজনীন আন্দোলনে সামিল হওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসন্ধানে নেমেছেন অনেকেই। এদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা সহকর্মীর পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সফলতায় একেবারেই কাতর। কেউ কেউ আবার রোজিনার কর্মক্ষেত্রের আভিজাত্যপূর্ণ আচার-আচরণ আর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রবল সমালোচক। তাদের অনেকেই রোজিনাকে প্রবলভাবে বিতর্কিত করে তুলতে কিংবা তার কারাবাসকে দীর্ঘায়িত করতে নতুন নতুন ভিডিও প্রকাশসহ নানা উদ্যোগও নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠান কিংবা পেশার অনেক নারী সহকর্মীই ভেতরে ভেতরে রোজিনার সমালোচনায় মুখর। আন্দোলন আরো কয়েকদিন চললে নাকি আন্দোলনকারীদের খবর ছিল- এমন কথাও কেউ কেউ বলছেন।

এসব আলোচনা, সমালোচনা, তর্ক-কুতর্কের পেছনের কারণ হিসেবে অতিরাজনীতিপ্রবণতাকেই দায়ী করা যেতে পারে। তবে এই অতিপ্রবণতার কারণে গণতন্ত্র আর সুশাসনের অতন্ত্র প্রহরী গণমাধ্যম যে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না- অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার (অনলাইন সাংবাদিকতার জনপ্রিয়তার বিপরীতে পত্রিকাগুলোকে টিকতে হলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনই হবে একমাত্র অবলম্বন। যদিও তেমন মানের অনুসন্ধান প্রতিবেদন নেই-ই। যারা টকশো কাঁপান, কথার চোটে জাতিকে সম্মোহিত করেন, তাদের পরিচালিত পত্রিকাগুলোতে কখনও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চোখে পড়ে না।) কফিনে শেষ পেরেক ঠোকা হবে- সেটা কিন্তু দিনের আলোর মতো সত্য। বিশেষ করে শক্তিক্ষয়ে অকার্যকর হয়ে পড়া বিরোধীদলবিহীন দেশে যখন গণমাধ্যমেরই শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে শক্তিশালী বিরোধীদল হয়ে ওঠার।

(এলোমেলো ভাবনা: এলিফেন্ট রোড, ঢাকা। ২৫ মে, ২০২১।)

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন