আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

সুনামগঞ্জে ফণীর প্রভাবে টানা বৃষ্টি, শঙ্কায় কৃষকরা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-০৪ ০০:০৬:৪৪

শহীদনুর আহমেদ :: ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে গত ২ দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে সুনামগঞ্জে। শুক্রবার দুপুরেও ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে পুরো জেলায়। সন্ধ্যায় বৃষ্টিপাত না হলেও আকাশ ছিলো মেচ্ছন্ন। দিনে একবারও দেখা মিলেনি সূর্যের। সূযের্র দেখা না পাওয়ায় মাড়াইকৃত ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষকরা। হাওর পারের খলায়, কীত্তা, আঙ্গিনায় ধানের স্তুপ। স্তুপে স্তুপে রাখা ধান তাপ সৃষ্টি হয়ে চারা গজানো শুরু করেছে অনেক স্থানে। ঝড়ের পূর্বাবাস ও প্রতিকুল আবহাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে ধান কাটা।

বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাতের ভয়ে হাওরে ধান কাটতে যাচ্ছেন না ভাগালোরা। এদিকে ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে জেলার সব কয়টি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া , হাওরের পাকা ধান কাটতে না পারা ও মাড়াইকৃত ধান শুকাতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে কৃষকদের মধ্যে।

ঘুর্ণিঝড় ফনীর প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের দ্রুত পাকা ধান কাটার জন্য কৃষকদের নোটিশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৪৬ মিটার। যা বিপদসীমার দুই মিটার নিচে বলে জানিয়েছে পাউবো।

জানা গেছে, এবার জেলায় বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ২ লক্ষ ২৪ হাজার হেক্টর । মোট আবাদকৃত জমির ৯০ ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়ে গেছে বলে দাবি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের। তবে এখনও ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ পাকা ধান হাওরের রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। হাওরে বেশির ভাগ ধান কাটা শেষ হলেও বৃষ্টির কারনে ধান শুকাতে পারছেন না কৃষকরা বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক বশির আহমদ সরকার।

শুক্রবার সরেজমিনে একাধিক উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা দুদিন এর উপরে বৃষ্টি হওয়ায় ধান শুকাতে পারেননি কৃষকরা। বজ্রপাতের ভয়ে ধান কাটতে যাচ্ছেন না ভাগালোরা। প্রতিকুল পরিবেশে কাটা ধান মাড়াই দিতে পারছেন না কৃষকরা। মাড়াইকৃত ধান শুকাতে না পারাও ত্রিপল দিয়ে হাওরের উঁচুস্থান, কীত্তা, আঙ্গিনায় মুড়িয়ে রাখা হয়েছে গুলিধান। যা তাপ সৃষ্টি করে চারা গজানো শুরু করেছে। এভাবে আরো দুয়েকদিন থাকলে মাড়াইকৃত ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা জানিয়েছেন একাধিক কৃষক।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পশ্চিম বীরগাঁও এর ঠাকুরভোগ গ্রামের দুলাল মিয়া বলেন, আমার প্রায় ৮ একর জমির ধান খলায় পড়ে আছে। রোদ না থাকায় শুকাতে পারছি না। আমার মতো অনেকের ধান খলায় ত্রিপল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। ধানের স্তুপ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এভাবে দুয়েকদিন চলতে থাকলে ধানের ক্ষতি হয়ে যাবে।

জামালগঞ্জের পাকানার হাওর পারের আব্দুল আলী বলেন, বৃষ্টি আর বজ্রপাতের কারনে ধান কাটতে যাচ্ছেনা ভাগালোরা। এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা কেটেছি তাও শুকাতে পাড়ছি না। শুনেছি ঘুর্ণিঝড়ের কারনে কয়েকদিন বৃষ্টি হবে। এমন হলে আমাদের রক্ষা নাই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক বশির আহমদ সরকার বলেন, জেলার হাওর এলাকার আবাকৃত জমির প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। কয়েকটি উপজেলায় এখনও ধান কাটা বাকি রয়েগেছে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ায় মাড়াকৃত ধান শুকাতে পারছেন না কৃষকরা। টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দ্রুত ধান কাটার জন্যে কৃষকদের নোটিশ দেয়া হয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৪ মে ২০১৯/এসএনএ/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন

সাম্প্রতিক সুনামগঞ্জ খবর

  •   জগন্নাথপুরের মোশাহিদের স্বপ্ন ঝড়ল ফ্রান্সের সড়কে
  •   তাহিরপুরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
  •   দিরাইয়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
  •   দক্ষিণ সুনামগঞ্জে এসএসসি ১৪ ব্যাচের মিলনমেলা
  •   দোয়ারাবাজারে ৩শ’ টাকার জন্য সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু, আটক ২
  •   সুনামগঞ্জে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
  •   দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট'র উদ্বোধন করলেন পরিকল্পনামন্ত্রী
  •   ছাতকে ভাবির সাথে দেবরের পরকিয়া, ভাতিজা খুন
  •   দোয়ারাবাজারে হামলায় সম্ভাব্য ইউপি সদস্য প্রার্থী আহত, উত্তেজনা
  •   গ্রামে এসে নৌকা নিয়ে ঘুরলেন পরিকল্পনামন্ত্রী