আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
তাজুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বন্যার কারণে চরম দূর্ভোগে রয়েছে বানভাসি লাখো মানুষ।
গতকাল রবিবার (১৪ জুলাই) থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত রয়েছে।
ভাটিতে পানির টান না থাকায় ইতোমধ্যে দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও, নরসিংপুর ও মান্নারগাঁওসহ বাকি ৭ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে এ উপজেলার শতাধিক পুকুরের কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সুরমা ও দোয়ারা সদর ইউনিয়নের লোকালয়ে কোমরপানি, বুকপানি থাকায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় অফিসপাড়াসহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, জিআর’র চাল, ডাল, নুডলস, সয়াবিন তেল, লবণ, চিনি, কলস, মগ, বদনাসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
উপদ্রুত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকাযোগে ত্রাণ বিতরণ করছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুর রহিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজু চন্দ্র পাল ও জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এদিকে উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে মেডিকেল টিমসহ স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানি বিশুদ্ধিকরণ বড়ি, প্যারাসিটামল বড়ি ও খাবার স্যালাইনসহ বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিতরণ করছেন।
এদিকে হাওরাঞ্চল হিসাবে খ্যাত দোয়ারাবাজার উপজেলাকে অচিরেই দুর্গত এলাকা ঘোষণাসহ পানি হ্রাস না হওয়া পর্যন্ত উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে বন্যার্তদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দের দাবি জানান বানভাসি মানুষজন।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৫ জুলাই ২০১৯/টিএ/পিডি