আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রায় এক বছর ধরে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার নেই। ফলে জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলাবাসী। হাসপাতালের জরুরি এই সেবার উন্নতির জন্যও জেলা সিভিল সার্জনের কোন উদ্যোগ কাজে আসেনি। হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের বদলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অন্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত বলে জানা গেছে। তাছাড়া ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার না থাকায় প্রেষণে থাকা অনভিজ্ঞ চিকিৎসকরা সাধারণ রোগীদেরও সিলেটে পাঠিয়ে দেন। এতে সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।
জানা গেছে, প্রায় এক বছর সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার নেই। জোড়াতালি দিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জরুরি বিভাগে ডাক্তার নিয়ে এসে সাধারণ সেবা চালানো হচ্ছে। ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসাররা মূলত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যে কোন রোগেরই প্রাথমিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারেন। এতে রোগীরা উপকৃত হন।
অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের একটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটই চায় না এই হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার থাকুক। এই সিন্ডিকেট নানাভাবে ভালো চিকিৎসকদের মানসিক হয়রানি করে থাকে এমন অভিযোগও আছে। এছাড়াও আরো অভিযোগ আছে স্থানীয় কিছু রোগীর স্বজনরা অনেক সময় ইমার্জেন্সি ডাক্তারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ক্ষুব্ধ স্বজনরা সেবা নিয়ে ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলাসহ নানাভাবে দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় ইমার্জেন্সি অফিসারদের দোষ দিয়ে লাঞ্চিত করেন। এভাবে কয়েকটি ঘটনাও ঘটেছে সদর হাসপাতালে।
হাসপাতাল এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, সিভিল সার্জন স্থানীয় হওয়ায় আমরা আশা করেছিলাম তিনি জেলার স্বাস্থ্যসেবা বদলে দিবেন। কিন্তু তিনি সদর হাসপাতালসহ অন্য হাসপাতালগুলোর মানোন্নয়ন না করে নতুন হাসপাতালের যন্ত্র কেনায় সময় ব্যয় করছেন। যন্ত্র কেনা হলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্টরা হাসপাতাল চালু করছেন না। কেনা যন্ত্রের মেয়াদ এক দুই বছর হলে সেগুলো চালু না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে এই অজুহাত দেখিয়ে যন্ত্র কেনার দুর্নীতি ডাকতেই নতুন হাসপাতাল চালু হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক বছর হয় ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার নেই। তবে হাসপাতালে জরুরি সেবা কখনো বিঘ্নিত হয়নি। আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জরুরি বিভাগ চালু রাখার জন্য প্রেষণে প্রতিনিয়ত ডাক্তার দিয়ে রেখেছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘন্টাই লোকজন সেবা পাচ্ছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ জুলাই ২০১৯/এসএনএ/পিডি