আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরশহরের হাবিবনগর এলাকায় রিকশা চুরির অভিযোগে এক রিকশা চালককে টানা ৩ দিন লোহার শিকলে বেঁধে নির্যাতন করে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শনিবার বিকেলে নির্যাতনকারী সেকেল মিয়াকে (৪০) জগন্নাথপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
নিহত রিকশা চালক জামিল হোসেন (৩৬) নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরি থানার আছাদপুর (নোয়াপাড়া) গ্রামের মৃত মফিজ আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত হাবিবনগর গ্রামের আবদুস সামাদের কলোনীতে বসবাস করতেন।
গ্রেফতারকৃত সেকেল মিয়া উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামের এখলাছ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, হাবিবনগর গ্রামের ছিলিমপুর স্ট্রেট মার্কেটে সেকেল মিয়ার একটি গ্যারেজ রয়েছে। সেকেল মিয়ার একটি রিকশা চুরি হয়। এ চুরির দায় পড়ে রিকশা চালক জামিল হোসেনের ঘাড়ে। চুরি হওয়া রিকশার টাকার জন্য রিকশা চালক জামিল হোসেনকে টানা ৩ দিন গ্যারেজে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে অমানুষিক ভাবে মারপিট করে গ্যারেজ মালিক সেকেল মিয়া। এক পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার জামিল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার তাকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এরপর প্রায় ২ ঘন্টা পর বিনা চিকিৎসায় রিকশা চালক জামিল হোসেনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে শনিবার সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, ওসি (তদন্ত) নব গোপাল দাশ, থানার এসআই লুৎফুর রহমান ও এসআই রাজিব রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ দল অভিযান চালিয়ে নির্যাতনকারী সেকেল মিয়াকে গ্রেফতার করেন এবং রিকশা চালক জামিল হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী জামিনা বেগম বাদী হয়ে শনিবার জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লুৎফুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা ঘটনার মূল হোতা সেকেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্তে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম / ১৭ আগস্ট ২০১৯/ এসএইচএস/এসএইচ