আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতকে একটি মাদ্রাসার প্রভাষকের সাথে বাকবিতন্ডার জের ধরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্ররা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রেখে তাৎক্ষনিকভাবে ছুটি ঘোষণা করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় ইসলামীয়া হাফিজিয়া আলিম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্র তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক জাফর সিদ্দিকীকে ছাত্রীদের জন্য নির্দষ্ট কমন রুমের টিউবওয়েল ও বাথরুম ব্যবহার করতে নিষেধ করে। এ ঘটনার পর ছাত্রদের সাথে ওই প্রভাষক জাফর সিদ্দিকীর বাকবিতন্ডা ও হাতহাতির ঘটনা ঘটে।
এরই জের ধরে ছাত্ররা মাদরাসা প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ মিছিল করে। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিকভাবে পাঠদান বন্ধ করে মাদরাসা ছুটি ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, ছাত্রীরা মাদ্রাসার কমন রুমে থাকা অবস্থায় প্রভাষক জাফর সিদ্দিকী প্রায়ই ছাত্রীদের জন্য নির্দৃষ্ট বাথরুম ও টিউবওয়েল ব্যবহার করেন। এ নিয়ে এরআগেও একাধিকবার তার সঙ্গে বাকবিতন্ডাসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্রীদের জন্য নির্দৃষ্ট বাথরুম ও টিউবওয়েল ব্যবহার না করতে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত দিলেও তিনি তা মানছেন না। সকালে প্রভাষক জাফর সিদ্দিকীকে আলিম দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্র কমন রুমের বাথরুম ও টিউবওয়েল ব্যবহার করতে নিষেধ করলে তিনি তাদের মারধর করতে শুরু করেন।
প্রভাষক জাফর সিদ্দিকী এ ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার সাথে ছাত্রদের কোন ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রদের মধ্যে একটু ঠেলা-ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে, অন্য কিছু নয়। মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাদী বলেন, ছাত্রদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কিছু বিশৃংখলার ঘটনা হয়েছে। এ বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন রায় বলেন, মাদরাসা অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সাথে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, ছাত্রদের মধ্যে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়টি নিস্পত্তির চেষ্টা চলছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৯ অক্টোবর ২০১৯/এমএ/এসডি