আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং
দিরাই প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ৫ বছরের শিশু তুহিন কে কান, গলা ও লিঙ্গ কেটে পাশবিক কায়দায় হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অপরাদে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় দিরাই পৌরশহরের সুজানগর গ্রামের আবুল হোসেন ও তার বড় ভাই ইমরান হোসেন তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে তাদের আন্তীয় এক ৫ বছরের শিশুকে নির্মম ভাবে হত্যাকরা হয়েছে বলে পোস্ট দিলে তা ভাইরাল হতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় বইতে থাকে।
আল মামুন তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন
এই শিশুটা কাউকে ধর্ষন করেনাই তবে কেন তার লিঙ্গ কাটতে হবে ,কাউকে হত্যা করে কোটি টাকা আত্মসাৎ ও করে নাই তবে কোন অপরাধের জন্য তাকে ফেরাউনের যুগের মত নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো ?
কতটুকু নগ্নমস্তিস্কের মানুষ হলে একটা শিশুর উপর এরকম নৃশংস ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা ঘটে তা ভাবা যায় ?
উক্ত নিস্পাপ জান্নাতি শিশুর হত্যাকারিদের কে অতিশীঘ্রই আইনের আওতায় এনে যতক্ষণ না মৃত্যু নিশ্চিত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে বিনীত অনুরোধ রইলো ।
বকুল আহমেদ চৌধুরী লিখেনঃ
আমরা এ কোন দেশে বসবাস করতেছি মানুষের বিবেক বলতে কি কিছু নেই? মানুষের নৈতিক অবক্ষয় কোন পর্যায়ে গেল এমন হিংস্র পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট হতে পারে?
পাঁচ বছরের বাচ্চার কি অপরাধ ছিলো যে এভাবে থাকে মারতে হলো?
দেশে কি আইনের শাসন কোনদিন হবেনা নাকি একের পর এক হত্যা কান্ড চলতেই থাকবে?
এই হত্যাকারিদে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাই।
সৌরভ চৌধুরী তার ফেসবুকে লিখেন
যারা এই শিশুটিকে হত্যা করেছে ওরা মানুষ না মানুষ রুপি অমানুষ পশু । ৫ বছরের এই শিশুটি কি অপরাধ করেছে..?
কি অপরাধ করতে পারে সে..?
আমি বাকরুদ্ধ।
কিছু বলার ভাষা নাই।।
অপরাধী দের ফাঁসী চাই।
এছাড়া শতশত ফেসবুক আইডি থেকে অভিলম্বে শিশু তুহিনের হত্যাকারীদের ধরে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির আওয়াতায় আনার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে সোমবার ভোরে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের বছির মিয়ার স্ত্রী ঘুম থেকে জেগে দেখেন তার ৫ বছরের সন্তান তুহিন ঘরে নেই। এর পর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে বাড়ীর সামনে গাছের সাথে রশি দিয়ে বাঁধা লাশ দেখতে পান।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ অক্টোবর ২০১৯/এইচপি/মিআচৌ