আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

সংকটে মানিকের সহযোগী মিজান, কালামের সাথে মিলন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-০১ ০৮:০৬:১৩

শহীদনূর আহমেদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকে রাজনীতি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অভ্যন্তরীণ রেশারেশির সময় বিএনপির একপক্ষ আওয়ামী লীগকে আর আওয়ামী লীগের অপরপক্ষ বিএনপির প্রতি ‘সহযোগিতা’ প্রর্দশনের যে ‘সিলসিলা’ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল, সেটা আজো অটুট রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি সচেতন মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের এমপি মানিক ও পৌর মেয়র কালামের সমর্থকদের মধ্য সংঘর্ষের সময় বিএনপির একটি পক্ষ সংঘর্ষে যোগ দিয়ে পুরোনো ‘মহব্বত’ নবায়ন করে নিয়েছিল।

জানা যায়, ছাতকে আত্মীয়তা ও এলাকাকেন্দ্রীক প্রীতির কারণে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী একে অপরের প্রতি সহানুভ‚তিশীল। এর বিপরীতে মানিকের চিরশত্রু পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর সাথে উষ্ণ সম্পর্ক মিজানের প্রতিপক্ষ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের। দু দলেরই অভ্যন্তরীণ ঝগড়াঝাটির প্রতিটি ঘটনায় নিজেদের পছন্দের গ্রæপকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ত সমর্থন প্রদানের বিষয়টি অনেকটাই অপেন-সিক্রেট।

জেলা আওয়ামী লীগের দুই সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট ও মুহিবুর রহমান পরস্পরের বিরুদ্ধে ‘কট‚ক্তি’ করেছেন অভিযোগ করে, তাদের সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে যে পাল্টপালটি প্রতিবাদ করছেন, বৃহস্পতিবার জাউয়াবাজারে তেমনই এক প্রতিবাদ মিছিলে প্রতিপক্ষের বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে মানিক সমর্থকদের প্রতি উদারভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মিজান সমর্থকরা। জাউয়া এলাকায় মিজান বলয়ের প্রভাবশালী নেতা গোলাম হোসেন সাকিল, তখদুচ্ছ আলী পীর ও এনামুল হকের সমর্থক এবং স্বজনরা সংঘর্ষে অংশ নেন মানিকের পক্ষ হয়ে। বিএনপি নেতা সফেদ আলী পীর, ছাত্রদল নেতা সাব্বির, আখলাক, সুজাত, সুয়েব প্রমুখ সংঘর্ষে প্রত্যক্ষভাবে মানিক বলয়ের পক্ষে অংশ নেন।

বিএনপির নেতা-কর্মী হয়ে আওয়ামী লীগের  গ্রুপিং মারামারিতে অংশ নেয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি সচেতন মহল ও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।

এদিকে, অতীত এমন ঘটনা ঘটেছে মিজান, কালমের বেলায়ও। ছাতকে অনুষ্ঠিত উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে কালাম গ্রুপের সহযোগিতায় মিজান  সংকটে মানিকের সহযোগী মিজান, কালামের সাথে মিলন নেতাকর্মীদের পিটিয়ে বিদায় করেছিলেন  মিলন বলয়ের নেতাকর্মীরা।

এ নিয়ে জাউয়া এলাকার বাসিন্দা জুনেদ আহমদ বলেন, ছাতকের রাজনীতিতে ভিন্ন মতের লোকদের সহযোগিতা নিয়ে নিজদলের কর্মী-সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের রক্তে হাত রাঙানো ঘটনা ঘটেই চলছে। সংঘর্ষের সময় ভিন্নমেরুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তা নিতে এতটুকুও কুণ্ঠাবোধ করেনি কেউ। অজানা কারণে মিলন  গ্রুপের প্রতি সরাসরি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় কালাম-শামিম গ্রুপ এবং মিজান গ্রুপের প্রতি মানিক গ্রুপ।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার জাউয়াবাজারে সংঘটিত  আওয়ামী লীগের দুই  গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ভিন্নমেরুর রাজনীতিতে  সোচ্চার মিজান গ্রুপের কতিপয় কর্মীসমর্থক মানিক মানিক গ্রুপের সহযোগিতায় মাছে নেমে পড়েন। এতেকরে সংঘর্ষ হয়ে উঠে আরো ব্যাপক। কিন্তু এই দ্বিচারিতা কেন?

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১ ডিসেম্বর ২০১৯/এসএনএ/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন

সাম্প্রতিক সুনামগঞ্জ খবর

  •   জগন্নাথপুরের মোশাহিদের স্বপ্ন ঝড়ল ফ্রান্সের সড়কে
  •   তাহিরপুরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
  •   দিরাইয়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
  •   দক্ষিণ সুনামগঞ্জে এসএসসি ১৪ ব্যাচের মিলনমেলা
  •   দোয়ারাবাজারে ৩শ’ টাকার জন্য সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু, আটক ২
  •   সুনামগঞ্জে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
  •   দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট'র উদ্বোধন করলেন পরিকল্পনামন্ত্রী
  •   ছাতকে ভাবির সাথে দেবরের পরকিয়া, ভাতিজা খুন
  •   দোয়ারাবাজারে হামলায় সম্ভাব্য ইউপি সদস্য প্রার্থী আহত, উত্তেজনা
  •   গ্রামে এসে নৌকা নিয়ে ঘুরলেন পরিকল্পনামন্ত্রী