আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে ধীর গতিতে। এ নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন এখানের হাওর পাড়ের কৃষকরা।
উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের নাইন্দার হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে দুটি পিআইসির মাধ্যমে প্রায় ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা বারাদ্ধ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে ১নং পিআইসি কচুদাইড় প্রকল্প এলাকার কাজ এ পর্যন্ত ২৫ ভাগও সম্পন্ন হয়নি।
কিন্তু প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে বলে জানান, পিআইসি সভাপতি আব্দুর রশিদ ও ছাতক পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্ক এসিষ্ট্যান্ড ফজলু মিয়া। উপ-সহকারী প্রকৌশলী ভানুজয় দাস প্রকল্প এলাকায় একদিন গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন এ প্রকল্পের সেক্রেটারী আব্দুল হামিদ।
জানা যায়, এ প্রকল্পে বরাদ্ধ রয়েছে ৬ লাখ ২৯ হাজার ৯শ ৮২ টাকা। এর মধ্যে রাস্তা ও মাটি ভরাট ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪শ ৫৫ টাকা, বাঁশের কাজে ১লাখ ৮৩ হাজার ৬শ ৭৪ টাকা, লিড, কম্পেকশন ও ঘাস লাগানো কাজের বরাদ্ধ ৬০ হাজার ৮শ ৪০ টাকা।
কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫-২০ ফুটের ছোট একটি ভাঙ্গা বন্ধ করা ও পুরানো রাস্তার একটি অংশে মাটি ভরাট করে কিছু বস্তা বেধেঁ রাখা হয়েছে। এতে অল্প পরিমাণ বাঁশের ব্যবহারও করা হয়েছে। ৯৬ মিটার প্রকল্পের কোথাও ঘাস লাগাতে দেখা যায়নি। সব মিলে এ প্রকল্পের কাজ ২৫ ভাগও সম্পন্ন হয়নি।
স্থানীয় হোসেন মিয়া, দিলোয়ার, কালা মিয়াসহ একাধিক কৃষক জানান, প্রতি বছরই বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের নামে পিআইসির লোকজন পানি উন্নয়ন বোর্ডের লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাত করছে। গত বছরের বিতর্কিত সভাপতিকে এ বছরও পিআইসির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে ২নং পিআইসি মির্জা খাল, চৌধুরী খাল ও সাহেব খাল ১ ও ২এর মুখের ভাঙ্গা অংশ বন্ধ ও মেরামত করণ কাজের বরাদ্ধ ৮ লাখ ২৮ হাজার ৪শ ৪০ টাকা। এর মধ্যে রাস্তা ও মাটি ভরাট কাজে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪শ ৯৪ টাকা, বাঁশের কাজে ১ লাখ ৪১ হাজার ২শ ৮৮ টাকা, লিড, কম্পেকশন ও ঘাস লাগানো কাজে বরাদ্ধ ২ লাখ ৭ হাজার ৫শ ৮ টাকা। এ প্রকল্পে ৩টি খালের মুখ বন্ধ করা হয়েছে। মির্জা খালের মুখ ভরাট হয়েছে অর্ধেক অংশ।
এ প্রকল্পের কোন খালেই বাঁধের উপর ঘাস লাগানো হয়নি। মির্জা খালের মুখে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে রাখা হয়েছে। সময়মতো বস্তায় মাটি ভর্তি করে খালে ফেলে দেয়া হবে বলে জানান, পিআইসির সভাপতি জসিম উদ্দিন তালুকদার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২নং পিআইসির কাজ প্রায় ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ছাতকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ভানুজয় দাস দু’টি ফসল রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের বিষয়ে জানান, নিয়মিত ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে তদারকি করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হবে। পিআইসিকে এখনো কাজের অনুপাতে টাকা দেয়া যাচ্ছেনা। ফলে কাজে কিছু বিলম্ব হচ্ছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০/মাহবুবআলম/মিআচৌ