আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
দিরাই প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হাটবাজারের সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং কাঁচা মাল, ফার্মেসী, জ্বালানী ব্যতীত সকল প্রকার দোকানপাঠ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক ভাবে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ী থেকে বের না হওয়ার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই দুধ বিক্রেতারা পাইকারি দুধ কিনতে যাচ্ছেন না গৃহস্থের বাড়ী, বাড়ী। এতে বিপাকে পরেছেন দুধ বিক্রেতা গৃহস্থ।
তেমনি এক গৃহস্থ উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্ডপুর গ্রামের সুরফ আলী (৬০) সোমবার পৌরসদরে দুধ বিক্রি করতে এসে সিলেটভিউ২৪ডটকম কে জানান, ৫০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করতেছি। আমরা পাইকারি দুধ বিক্রি করি ৪০ টাকা লিটার তারা হয়ত সেই দুধ নিয়ে ৮০ / ১০০ টাকা লিটার বিক্রি করে কিন্তু কয়েকদিন যাবত কোন পাইকার দুধ ক্রয় করতে আমাদের গ্রামে যাচ্ছেনা তাই আমি বাধ্য হয়ে পাইকারি দামে বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করতে এসেছি। আমি তিন দিন যাবত এভাবে দুধ বিক্রি করে আসছি।
তিনি বলেন, আমরা কৃষক মানুষ আর তার পাশাপাশি গরু পালন করি যার ফলে পাইকার দুধ কিনে নিলে সেই টাকা দিয়ে পরিবারটা ভালভাবে চলে যায়।
এদিকে দুধ বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে তারা জানায়, করোনার প্রভাবে দুধ সংগ্রহ প্রায় অর্ধেকে নিচে নেমে এসেছে। বাসা-বাড়িতে অনেকে এখন দুধ রাখতে চায় না। তাছাড়া রেস্টুরেন্ট গুলো এখন বন্ধ থাকায় আমরা দুধ কিনে এনে বিক্রি করতে পারিনা। তাই দুধ সংগ্রহ করা বন্ধ করে দিয়েছি।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩০ মার্চ ২০২০/এইচপি/এসডি