আজ মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাসের ভয়ে রোগী সংকট

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০২ ২০:৩১:৪৫

তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাসের ভয়ে রোগীদের সংকট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর সিট না থাকায় রোগী ভর্তি করা যেতোনা। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে বেশীর ভাগ সিট খালি পড়ে আছে। 

সচরাচর হাসপাতালের আউটডোরে সাধারণ রোগীদের ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হতো চিকিৎসকদের। হাসপাতালের আউটডোরে সেবা নিতে আসতেন প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০জন রোগী। রোগী সংকট হওয়ায়  চিকিৎসকরা ইদানিং অনেকটা অলস সময় পার করছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জন চিকিৎসকের মধ্যে আছেন ৫জন। চিকিৎসকদের মোট ১৩টি পদের মধ্যে প্রায় ৮টি পদই শূন্য। শূন্য এসব পদগুলো হল- আবাসিক মেডিকেল অফিসার (১ জন), ডেন্টাল (১ জন), সার্জারী, মেডিসিন, গাইনী এবং এ্যনেস্থেশিয়া কনসালট্যান্ট (৪ জন) ও ইউনিয়ন মেডিকেল অফিসার (২ জন)। 
শুরুতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩০ শয্যা বিশিষ্ট থাকলেও গেল বছর ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। তবে নতুন ভবনের আসবাপত্র না থাকায় চিকিৎসকরা এখনও সেখানে সেবা কার্যক্রম চালু করতে পারেননি বলে জানা যায়। 
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ডের বেশির ভাগ সিট খালি পড়ে রয়েছে। আর যারা আছেন তারাও ভয়ে আছেন। এছাড়া কিছু রোগী ভর্তির কিছুক্ষণ পরই আবার ছুটি নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কয়েকদিনের ব্যবধানে শিশু রোগীর সংখ্যাও কমে গেছে হাসপাতালে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সুমন চন্দ্র বর্মণ জানান, হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন আউটডোরে রোগী দেখা হতো ২৫০ জন থেকে ৩০০ জন। কিন্ত এখন করোনা ভাইরাসের প্রভাবে রোগি দেখা হয় সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ১০০ জন। তিনি বলেন, ৩০ শয্যা হাসপাতালে আগে রোগী ভর্তি হতো ৩০জন আর এখন ভর্তি হচ্ছেন ৮ থেকে ১০জন। হাসপাতালে ভর্তি যোগ্য রোগী আসলেও করোনা ভাইরাসের ভয়ে ভর্তি না হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন। 
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাধারণ রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকায় অনেক রোগী ভয়ে ভর্তি হচ্ছেন না। আরা যারা ভর্তি হচ্ছেন তারাও ছুটি নিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ রোগীদের নোটিশের মাধ্যমে জানিয়েছি, যাদের সাধারণ সর্দি, জ্বর ও কাশি তাদের জন্য পৃথক বিল্ডিংয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথবা বাড়ী থেকেও তারা মোবাইলের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। এছাড়া মানুষের মধ্যে বর্তমানে আতংক সৃষ্টি হওয়ায় সচেতনতার অভাবে সাধারণরোগীরা হাসপাতালে এখন আসতে চাচ্ছেন না।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২ এপ্রিল ২০২০/এমএআর/এসএইচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন

সাম্প্রতিক সুনামগঞ্জ খবর

  •   জগন্নাথপুরের মোশাহিদের স্বপ্ন ঝড়ল ফ্রান্সের সড়কে
  •   তাহিরপুরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
  •   দিরাইয়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
  •   দক্ষিণ সুনামগঞ্জে এসএসসি ১৪ ব্যাচের মিলনমেলা
  •   দোয়ারাবাজারে ৩শ’ টাকার জন্য সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু, আটক ২
  •   সুনামগঞ্জে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
  •   দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট'র উদ্বোধন করলেন পরিকল্পনামন্ত্রী
  •   ছাতকে ভাবির সাথে দেবরের পরকিয়া, ভাতিজা খুন
  •   দোয়ারাবাজারে হামলায় সম্ভাব্য ইউপি সদস্য প্রার্থী আহত, উত্তেজনা
  •   গ্রামে এসে নৌকা নিয়ে ঘুরলেন পরিকল্পনামন্ত্রী