আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ঘরে থাকার নির্দেশনা থাকলেও উপজেলার প্রতিটি বাজারে ঠেকানো যাচ্ছে না মানুষের জনসমাগম।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাজারের দোকান গুলোতে বাড়ছে জনসমাগম। প্রতিটি রাস্তা ঘাটেও বাড়ছে মানুষের চলাচল। অযতা বাজারের দোকানে লোক জমায়েত হয়ে দিচ্ছে আড্ডা।
মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে অবাধে চলছে ছোট বড় যানবাহন। তবে, উপজেলার বাজারগুলো ও রাস্তা ঘাটে ভিড় কমাতে এবং করোনার ভাইরাস এড়াতে সমাগম না করে জনগণকে নিজ নিজ ঘরে থাকার অভিরাম প্রচারনা চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। এক শ্রেনীর অসেচতন মানুষ করোনা ভাইরাস সংক্রামনকে আমলে না নিয়ে বাজারে আরো অপপ্রচার আর গল্পে লিপ্ত রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে উপজেলার তাহিরপুর সদর, বাদাঘাট, বালিয়াঘাট,বড়ছড়া, চারাড়াও, কলাগাও, বাগলী, শ্রীপুর, কাউকান্দি একতা, জনতা, আনন্দ বাজর সহ বিভিন্ন বাজারে প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে বাড়ছে জনসমাগম। এসব বাজারের দোকানদাররা নির্দারিত সময়ের মধ্যে দোকান বন্ধ না রেখে মানুষ জমায়েত করে কেনাবেচা সহ আড্ডা দিচ্ছে। পুলিশ অথবা সেনাবাহিনী বাজারে টহলে আসলে কিছুক্ষন দোকানপাট বন্ধ থাকে, আবার তারা চলে গেলে দোকানগুলোতে মানুষের অযতা ভিড় বাড়ে।
অপরদিকে বাজারে সেনাবাহিনী আসার সংবাদ শুনে গ্রামের কিছু কৌতুলী মানুষ তাদের দেখতে বাজারে লুকোচুরি করে ভিড় করে। সোমবার দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট, তাহিরপুর সদর, বালিয়াঘাট ও শ্রীপুর বাজারে যান চলাচল ও মানুষের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়।
এসব বাজারে অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনের মধ্যে গত দুই একদিন ধরে
বাজারগুলোতে তুলনমূলক ভাবে মানুষের সমাগম হচ্ছে বেশী। ব্যক্তিগত ও ভাড়াটিয়া মোটর সাইকেল চলাচল গত দু'দিন থেকে বেড়ে গেছে।
এইদিকে গত দুইদিন ধরে ওষুধের দোকান ব্যাতিত অন্যান্য সব দোকান ৫টার পর বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা কোনো দোকানী স্বেচ্ছায় মানছেন না। পুলিশ আসলেই নির্দারিত সময়ের পর দোকানপাট বন্ধ হচ্ছে আবার পুলিশ চলে গেলে দোকান খোলা হচ্ছে। আর এসব কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
তারা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা না মেনে নিজের সর্বনাশ নিজেই ঢেকে আনছে এখানকার সাধারণ মানুষ।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি জানান, বারবার উপজেলা প্রশাসন থেকে মাকিং করে করোনাভাইরাস সংক্রামন থেকে এড়িয়ে চলার জন্য বলা হচ্ছে। কিছু কিছু বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইন অমান্যকারীদের জরিমানা করা হচ্ছে। এখানকার মানুষ যদি বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা না করেন, তাহলে প্রশাসন কঠোর হতে বাধ্য হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৬ এপ্রিল ২০২০/এমএআর/এসডি