সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-০৬ ১৮:৪৫:১৪
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আব্দুন নুর হত্যা মামলায় সাহিদ আলী (৩৮) নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার ৫দিনেও বাকি ২৫ আমামি ধরাছোঁয়ার বাইরে। গ্রেফতার হওয়া সাহিদ আলী উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দ্বীনেরটুক গ্রামের মৃত হাজি রইছ আলীর পুত্র।
শনিবার (৬ জুন) ভোরে সিলেটের জালালাবাদ এলাকা থেকে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
হত্যা মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে তাকে সাথে নিয়ে শনিবার বিকাল ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের কোনো পাত্তা পায়নি পুলিশ। ওইদিন বিকালে ধৃত সাহিদ আলীকে থানা হাজতে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ জুন) সন্ধ্যায় দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দ্বীনেরটুক দারুল কোরআন আলিম মাদ্রাসার অনুমোদিত নতুন ৪র্থ তলা ভবনের নির্মাণকাজে বালু-সিঙ্গেল সরবরাহকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে নির্মমভাবে খুন হন আব্দুন নুর। নিহত আব্দুন নুর দ্বীনেরটুক গ্রামের মৃত আজমান আলীর পুত্র ও ওই মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সদস্য ছিলেন। ওইদিন (মঙ্গলবার) বিকালে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় আব্দুন নুর (৬০), তার স্ত্রী ও তিন পুত্র সোহেল আহমদ, রাসেল আহমদ ও জুয়েল আহমদ আহত হন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত আব্দুন নুর ও তার জ্যৈষ্ঠ পুত্র সোহেল আহমদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার বৃদ্ধ আব্দুন নুরকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার পুত্র সোহেল আহমদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ ঘটনায় নিহতের পুত্র জুয়েল আহমদ বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের রবিউল হকের পুত্র মর্তুজ আলীকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিন ছাতক-দোয়ারাবাজার জোনের এএসপি বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম ও হত্যামামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সজীব দত্ত গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাকি আসাদিদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৬ জুন ২০২০/টিআই/এসডি