আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং
তাজুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বিচারাধীন একটি ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের হাজি তেরাব আলীর ছেলে কবির আহমদের সাথে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তারই চাচাতো বোন একই গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে হেলেনা বেগমের পারিবারিক বিরোধ ছিলো। এরই জেরে গত ১৩ মার্চ কবির আহমদকে আসামি করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা (নং-জিআর-২৫/২০২০) দায়ের করেন হেলেনা বেগম। ওই মামলায় সাড়ে ৫ মাস জেল খেটে গত ২৫ আগস্ট জামিন পান কবির আহমদ। এরপর ওই ধর্ষণ মামলাটি ধামাচাপা দিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বাদি হেলেনা বেগম নিজের ভুল স্বীকার করে আসামি কবির আহমদের কাছে ক্ষমা চান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ, সাবেক ইউপি সদস্য শাদত আলী, মুক্তিযোদ্ধা ফতেফুল ইসলাম, লাল মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য জহুর আলী, আমির বাদশা, ইউপি সদস্য আব্দুল গণি প্রমুখ। তবে গ্রাম্য সালিশি বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন আসামি কবির আহমদ।
কবির আহমদ সাংবাদিকদের জানান, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে সাড়ে ৫ মাস জেল খাটিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এতে আমার ও আমার পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এখন সালিশ বিচারের নামে শুধুমাত্র দায়সারা ক্ষমা চেয়ে মামলা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমনকি মামলাটি নিস্পত্তি করতে সামাজিকভাবে আমাকে চাপও দেয়া হচ্ছে। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় মামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার মতো আর কেউ যাতে এভাবে হয়রানির শিকার না হয়।
জানতে চাইলে পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ প্রতিবেদককে জানান, মামলার বাদিপক্ষের অনুরোধে আমরা বসেছিলাম। তবে কোনো গ্রাম্য বিচার সালিশি হয়নি কিংবা মামলা ধামাচাপা দিতে কাউকে চাপও দেয়া হয়নি। মামলার বাদি হেলেনা বেগম নিজেই আমাদেরকে অনুরোধ করে বলেন, তাদের মধ্যে নাকি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সালিশির মাধ্যমে তিনি বিষয়টির নিস্পত্তি চাইলেও তা সম্ভব হয়নি।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০/ জুনেদ