আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক ইউপি ওয়ার্ড সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। ইউপি সদস্যর নাম সাজিনুর মিয়া (৫২)।
তিনি উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের মন্দিয়া গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে এবং শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য।
বুধবার রাতে চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করেন একই ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের ও খাস কালেকশনের স্বত্বাধিকারী মো. আবুল কালাম পারুল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারের উত্তর পশ্চিম পাশের বৈঠাখালী নামক স্হান হতে পাটলাই নদীতে সরকারি নির্দারিত টোল আদায়ের জন্য তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে এক বছরের জন্য খাস কালেকশন নেন আবুল কালাম পারুল। খাস কালেকশন নেয়ার পর থেকে পাটলাই নদীতে কয়লা ও চুনাপাথর বোঝাইকৃত নৌকা থেকে সরকার নির্দারিত টোল আদায় করে আসছে তার নিয়োজিত লোক শাহনেওয়াজ ও সুজন মিয়া। বেশ কিছুদিন ধরে সাজিনুর মিয়ার নেতৃত্বে খাস কালেকশনের বৈঠাখালি নামক স্হানে চাঁদা দাবি করে একটি চাদাবাজ চক্র। সাজিনুরের কথা মতো চাঁদা না দিলে এখানে খাস কালেকশনের টোল আদায় করতে দিবেনা বলে হুমকি দেয় টোল আদায়কারীদের।
গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে সাজিনুর মিয়ার নেতৃত্বে একটি চাদাবাজ চক্র খাস কালেকশনের বৈঠাখালি নামক স্হানে এসে টোল আদায়কারি শাহনেওয়াজের কাছে মোঠা অংকের চাঁদা দাবি করে। তাদের চাহিদা মতো চাঁদা না দেওয়াই শাহনেওয়াজ কে মারপিট করে এবং তার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নেয়ার প্রতিবাদ করলে শাহনেওয়াজের সঙ্গে থাকা অপর টোল আদায়কারি ফেসুক মিয়া, কুতুব উদ্দিন ও সুজন মিয়াকেও চাদাবাজরা মারপিট করে। পরে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে চাদাবাজরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে খাস কালেকশনের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম পারুল বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বৈঠাখালি নামক স্থানের সমানে পাটলাই নদীতে বৈধ ভাবে টোল আদায়ের জন্য এক বছরের জন্য খাস কালেকশন নিয়েছি। খাস কালেকশন নেয়ার পর থেকে বৈধ ভাবে কয়লা ও চুনাপাথরবাহী নৌকা থেকে আমার লোকজন টোল আদায় করে আসছে। চাদাবাজ সাজিনুর বেশ কিছু দিন ধরে আমার লোকজনের কাছে চাঁদাদাবি করে আসছে, তাদের চাহিদা মতো চাঁদা না দেয়াই আমার লোকজনকে মারপিট করে ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ।
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য সাজিনুর মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলের এক হাজর ফোটের একটি নৌকা থেকে বৈঠাখালি ও আনোয়ার পুর নামক স্হান থেকে টোলের নাম করে এক হাজার করে টাকা চাঁদা নেয়ার প্রতিবাদ করাই তারা আমার বিরোদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে।
তিনি বলেন, আমি কোনো টাকা ছিনিয়ে নেইনি।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, বুধবার রাতে সাজিনুর মিয়া সহ কয়েকজনের বিরোদ্ধে থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। তদন্তের সাপেক্ষে তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৩ ডিসেম্বর ২০২০/এমএআর/এসডি