আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি : সম্প্রতি সুরমা নদীর ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারিয়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে ১৬টি হতদরিদ্র পরিবার। চরম কষ্টে দিন কাটছে তাদের। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মাছিমপুর হিন্দুপাড়ার প্রিয়মন দাশ, অতুল দাশ, বিক্রম দাশ, বাবুল দাশ, নরেশ দাশ, সুকেশ দাশ, ভক্ত দাশ, নিরঞ্জন দাশ, রাজেন্দ্র দাশ, ভূষণ দাশ, প্রণব দাশ, রতিশ দাশ, অরুণ দাশ ও পবিত্র দাশের পরিবারের ঠাঁই হয়েছে দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে।
গত ৮ জানুয়ারি থেকে নদীগর্ভে ঘরবাড়ি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে মানবেতর জীবন কাটছে তাদের। ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কেউই এসব পরিবারের খোঁজখবরটুকু পর্যন্ত নেয়নি! বিদ্যালয়ের ৩টি পুরাতন জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষে ১৬টি পরিবার কালযাপন করছে। পর্যাপ্ত চুলা না থাকায় রান্নাকাজে চুলার সামনে লাইন ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে মহিলাদের। শ্রেণিকক্ষে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় গৃহস্থালির দৈনন্দিন কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। দৈণ্যদশায় অনেকে হাঁড় কাঁপানো শীতের তীব্রতায় ভূগছেন। হঠাৎ বাস্তুচ্যুত হওয়ায় অধিকাংশ পরিবার আর্থিক টানাপোড়নে পড়েছেন। সবার মুখে হতাশার ছাপ। ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।
আশ্রয় নেওয়া বাবুল দাশ জানান, কিছুদিন আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ন এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। তারা আমাদেরকে ঘর অন্যত্র সরানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন। তাই আমরা ১৬ টি পরিবার হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাকিগুলোও ঝুঁকি মুখে, সহসা বিলীন হয়ে যেতে পারে। আপাতত আমাদের থাকার জন্য বিদ্যালয়ের আরো কয়েকটা রুম বরাদ্দ দেওয়া হোক। একই রুমে অধিক মানুষ গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। রান্নাবান্না করতে কষ্ট হচ্ছে। আমাদের যাওয়ার মতো আর কোনো জায়গা নেই।
আমাদেরকে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান, ঘর হারিয়ে কয়েকটি পরিবার হাইস্কুলে আশ্রয় নেয়ার খবর পেয়েছি। তাদেরকে দেখে আসব। তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে আলাপ করব।
সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম/ তাজুল/পিটি-৬