Sylhet View 24 PRINT

সুনামগঞ্জের মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-২০ ২০:১৭:২৭

সিলেটভিউ ডেস্ক :: সুনামগঞ্জে প্রতারণার মাধ্যমে দুই রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট নেয়ার চেষ্টা মামলায় মেয়রসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) মামলার নির্ধারিত তারিখে বিচারক পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক আশেক সুজা মামুন।

যাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেল, পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী পিযুষ কান্তি তালুকদার, পৌরসভার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক ও স্যানিটারি পরিদর্শক মো. সেলিম উদ্দিন ও সুনামগঞ্জ বারের আইনজীবী কাওসার আলম। তারা মামলার এজহারভুক্ত আসামি নন। পুলিশ অভিযোগপত্রে তাদের নাম যুক্ত করেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করতে যান দুই রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তারা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চার ব্যক্তির সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে আসেন। এ চার ব্যক্তি জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ওই দিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। বিকেলে আবার ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয় পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

ওই দিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের মো. ফরহাদ আহমদ (৩৬), রামনগর গ্রামের মো. নূর হোসেন (২৩), সুজাতপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (২৪) ও আমির উদ্দিনকে (২৩) আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার।

এর আগে ওই দুই রোহিঙ্গা সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেলের সুপারিশে পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ নিয়েছিলেন।

এ মামলায় গত ২১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে এজহারভুক্ত চার আসামি ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া পাঁচজনের নাম যুক্ত করে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ প্রদান প্রক্রিয়ায় পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ ওই কর্তকর্তারা যুক্ত। পরে সেটি সত্যায়ন করেছেন আইনজীবী কাওসার আলম।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি শুনেছি। তবে যে ঘটনায় পরোয়ানা জারি হয়েছে সেটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্তা নেই। যখন এসব সনদপত্র দেয়া হয় তখন আমি ঢাকায় ছিলাম। তখন মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়াডের কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেল। তাই এ প্রক্রিয়ার কোনোভাবেই আমি যুক্ত নয়।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/ জাগো নিউজ / জিএসি- ০৬

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.