আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

যুক্তরাজ্য প্রবাসী সুজ‌নের আইএসের শীর্ষনেতা হবার নেপ‌থ্যে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৭-২৬ ১১:৪৪:২৯

মুন‌জের আহমদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য :: বাংলা‌দেশ থে‌কে স্টু‌ডেন্ট ভিসায় ব্রি‌টে‌নে আসা সাইফুল ইসলাম সুজন এক দশ‌কে প‌রিনত হন প্র‌তি‌ষ্ঠিত ব্যবসায়ী‌তে। একসময় তি‌নি আইএস এর অন্যতম শীর্ষ নেতা হি‌সে‌বে আ‌ভিভূর্ত হন। বিবিসি ওয়েলসের সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানে এই জঙ্গী তৎপরতার গোড়ার দিকের অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে, যার শুরু হয় ব্রি‌টে‌নে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সুজ‌নের আগমনের মধ্য দি‌য়ে।

২০১৫ এর শেষভাগে পেন্টাগনের নির্বাহী স্টিভ ওয়েরেন তার এক ভিডিও বার্তায় ‘Operation Inherent Resolve’ নামক আমেরিকান জঙ্গীবিরোধী মিলিটারি কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ভিডিওতে  ১০ জেষ্ঠ্য আইএস কর্মীর বিশদ বর্ণনা জানা যায়। যাদেরকে টার্গেটের শিকার হিসেবে হত্যা করা হয়। এই ১০ জনের একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাইফুল সুজন, যিনি গত বছ‌রের ১০ ডিসেম্বর সিরিয়ার কাছাকাছি রাক্বায় নিহত হন।

মুখপাত্রের জবা‌নি‌তে জানা যায়, ব্রিটেনের ডিগ্রিপ্রাপ্ত সুজন ছিলেন সংশ্লিষ্ট অপারেশনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী।

‘সুজনের মৃত্যুতে আইএস নিঃসন্দেহে তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক সূত্র হারিয়েছে’ এমনটিই
জানান ওয়েরেন। তবে সুজনের মৃত্যুর কিছুদিন পর পর্যন্তও তার নেটওয়ার্ক সচল ছিল বলেও খবর রয়েছে।

কয়েক মাস ধরে তিনটি মহাদেশে চলা এই অনুসন্ধানে ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএসের দূত হয়ে ওঠা সুজনের উত্থান সম্পর্কে কিছু অভিনব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

২০০০ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে আসেন সুজন। ভর্তি হন দক্ষিণ কার্ডিফ এর ওল্ড গ্ল্যামরগান বিশবিদ্যালয়ে।

সুজনের দীর্ঘদিনের পরিচিত রব রিস জানান, ‘ সে (সুজন) ছিল এমন একজন যাকে আপনি আপনার ছায়ায় আশ্রয় দিতে চাইবেন। তাকে মনে হতো আত্মবিশ্বাসহীন। সর্বদাই সে নিজের কাজ সম্পর্কে সন্দিহান থাকতো। ২০০৫ এর শেষদিকে তার সদ্যবিবাহিতা বাংলাদেশি স্ত্রীর লন্ডন আগমন উপলক্ষে সুজন আমার বাড়িটি কেনার ব্যাপারে কয়েকবার আগ্রহ দেখিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কেনা না হলেও সেই সূত্রেই তার সংগে আমার এবং আমার স্ত্রীর একটি সম্পর্ক এবং চেনাশোনা গড়ে ওঠে।’

প্রসঙ্গত, ওয়েলসে এসে সুজন সৌভাগ্যের দেখা পান। আইব্যাকস লিমিটেড নামের একটি আইটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা, ওয়েলস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্রসে যুক্ত হওয়া এবং সাউথ ওয়েলসের নেতৃত্বস্থানীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে হাই প্রফাইল বাণিজ্য সফর তারই মধ্যে অন্যতম।
২০১০ এর শেষে সুজনের ভাই আতাউল হক ও ওয়েলসে স্থায়ী হন। সফটওয়্যার সহ এশিয়ান খাবারের আইটলেট এবং চায়না থেকে আমদানিকৃত যন্ত্রাংশের ব্যাবসায় তারা যৌথভাবে সফল সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২৬ জুলাই ২০১৮/ এমএসি/ এমইউএ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন

সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য খবর

  •   ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে ব্রিটেনে বিক্ষোভ
  •   রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে ইউরোপের ১১ দেশের প্রবাসী নাগরিক সমাজের বিবৃতি
  •   রয়েল টাইগার স্পোর্টস ক্লাবের স্পনসরশিপের এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত
  •   টাওয়ার হ্যামলেটসের আবারো স্পিকার হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আহবাব
  •   যুক্তরাজ্যের নর্থাম্পটনে পাঁচ বাঙালি কাউন্সিলর নির্বাচিত
  •   সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নি:শ্বর্ত মুক্তির দাবীতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের মানবন্ধন
  •   রো‌জিনার মু‌ক্তির দাবী‌তে লন্ড‌নে সাংবা‌দিক‌রা রাজপ‌থে
  •   ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ব্রিটেনের নর্থাম্পটনে বিক্ষোভ
  •   ২২দিনে দৌঁড়ে লন্ডনে পৌঁছালেন আফরোজ মিয়া
  •   ৩১৩ কিলোমিটার দৌড়ে ৮ মে লন্ডন পৌঁছাবেন সিলেটের আফরোজ মিয়া