আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

ড. মোমেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করায় নিউইয়র্কে আনন্দ-উল্লাস

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০১-০৮ ০০:৫৪:১৩

ড. এ কে এ মোমেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করার সংবাদে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বস্তরের প্রবাসীই সন্তুষ্ট। সংবাদটি গণমাধ্যমে আসার পরই নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে মিষ্টি বিতরণ করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখা। গভীর কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। অনেকে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসেও একই অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

৩৫ বছরের অধিক সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের পর বছর তিনেক আগে শেখ হাসিনার আহবানে স্থায়ীভাবে সিলেটে ফিরেছেন এমিরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে এ মোমেন। সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ব্যাচে উন্নয়ন-অর্থনীতিতে এমবিএ করার পর সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরই বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৯ সালে এমবিএ করেন। এরপর বস্টনেরই নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট করেন। শিক্ষকতা করেছেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টসহ কয়েকটি ইউনিভার্সিটিতে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানের আগ পর্যন্ত অর্থনীতি ও ব্যবসা প্রশাসনে অধ্যাপনা করেছেন বস্টনে ফ্রামিংহাম স্টেট কলেজে।

এরইমাঝে ১৯৯৮ সালে ড. মোমেনকে সৌদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেখানে কর্মরত অবস্থায়ই ২০০৩ সালে রিয়াদে বোমা বর্ষিত হওয়ায় তিনি ফিরেন বস্টনে। জাতিসংঘে দায়িত্ব পালনকালে শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে ড. মোমেন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক অসাধারণ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন। ২০১৫ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আহবানে বাংলাদেশে ফেরেন ড. মোমেন। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে নৌকা প্রতিকে সংসদ সদস্য হবার পরই তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দিলেন শেখ হাসিনা।

৬ জানুয়ারি জ্যাকসন হাইটসে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার আনন্দ-সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া। তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট ড. এ কে এ মোমেন যথাযথ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবেন।

তাৎক্ষণিক এ আনন্দ-সমাবেশে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক এবং ব্যবসায়ীরাও। আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার বলেছেন, সততা ও নিষ্ঠার স্বীকৃতি পেলেন আমাদের সকলের প্রিয় ড. এ কে এ মোমেন ভাই। সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে. দেশ ও দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিরা বরাবরই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছে থেকে কোন না কোনভাবে সম্মান পান। ড. মোমেনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী করায় সোয়া কোটি প্রবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু এবং হারুন ভূইয়া, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক কানু দত্ত, কাবের সিনিয়র সদস্য মিজানুর রহমান, কবি বিদিতা রহমান এবং মিশুক সেলিম, বহ্নিশিখা সঙ্গীত বিদ্যালয়ের প্রধান এবং সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নারী বিষয়ক সম্পাদক সবিতা দাস, ফোরামের সাংস্কৃতিক সম্পাদক উইলি নন্দি, সহ-সম্পাদিকা রুবাইয়া শবনম প্রিয়া, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য হাজী জাফরউল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা মানিক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাখাওয়াত বিশ্বাস, ব্রুকলীন আওয়ামী লীগের নেতা আবুল বাশার ভূইয়া, নূরল ইসলাম, খ্যাতনামা ব্যবসায়ী সালাম ভূইয়া, বাংলা টিভির আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

নিউ জার্সির একটি সিটি কাউন্সিলের মেম্বার ও মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন্নবী টেলিফোনে এ সংবাদদাতাকে বলেন,ড. মোমেনের দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও উঁচুতে উঠবে।

‘ফোবানা’র নির্বাহী সচিব ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী অপর এক বিবৃতিতে বলেন, জাতির  আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নয়ামাত্রার সংযোজন ঘটাতে সক্ষম হবেন আমাদের মোমেন ভাই- এ প্রত্যাশা আমার।

‘বাই-ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স’র নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, চীন, ব্রাজিল, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বহুদেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। আমাদের সকলের প্রিয় ড. মোমেনের মাধ্যমে সে আগ্রহের বাস্তবায়ন ঘটবে বলে আন্তরিক অর্থেই বিশ্বাস করছি।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিতাংশু গুহ বলেছেন, নতুন এ দায়িত্বেও তিনি অবশ্যই সফল হবেন বলে আশা করছি।

আমেরিকায় উদ্যমী তরুণ-তরুণীদের মার্কিন আইটি সেক্টরে চাকরির উপযোগী কোর্স প্রদানে খ্যাতি অর্জনকারি প্রতিষ্ঠান ‘পিপল এন টেক’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান আবু হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ ড. মোমেনকে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে রবিবার তার ঢাকার বাসায় যান।

আনন্দ প্রকাশ করে আরও বিবৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রবাস সম্পাদক সোলায়মান আলী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক দেওয়ান বজলু, নির্বাহী সদস্য খোরশেদ খন্দকার, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জামাল হোসেন, ইফজাল চৌধুরী, নান্টু মিয়া প্রমুখ।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন

সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র খবর

  •   নিউইয়র্ক পুলিশে প্রথম নারী বাংলাদেশি ফজিলা
  •   নিউইয়র্কে ইউএস বাংলা অনলাইন প্রেসক্লাবে মেহেদী কাবুল সংবর্ধিত
  •   কমিউনিটি নেতা শাহিনের খুনীদের শাস্তির দাবীতে আমেরিকাতে প্রতিবাদ সমাবেশ
  •   আমেরিকার মিশিগানে হচ্ছে প্রথম স্থায়ী শহিদ মিনার
  •   নিউইয়র্কে পিতার জীবন বাঁচাতে বাঙালি যুবকের কিডনি দান
  •   জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি লোকমান
  •   স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তীতে মিশিগান স্টেট যুবলীগের আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধা নিবেদন
  •   ২৫ মার্চ ‌‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবি মিশিগান স্টেট ছাত্রলীগের
  •   নিউইয়র্কে কাইযুম চৌধুরীর রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
  •   জুয়েল সাদতের "সাদা মার্জিন" বেরিয়েছে