Sylhet View 24 PRINT

মজিলা ফাউন্ডেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী হোসাইন আল ইকরাম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-১৪ ১২:৫৪:২৯

তাহসিন আহমেদ :: যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মজিলা ফায়ারফক্সের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মজিলা ফাউন্ডেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন হোসাইন আল ইকরাম।

ইকরামের শৈশবের বেশীরভাগ সময়টাই কেটেছে রাজধানীর গোড়ান ও খিলগাঁওয়ে। এসএসসি পাস করেছেন খিলগাঁওয়ের ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে, এইচএসসি পাস করেন মোহাম্মদপুরের নর্দার্ন কলেজ থেকে। আগে থেকেই জানতেন, কম্পিউটার নিয়েই আগাবেন তিনি, তাই ভর্তিযুদ্ধে সময় নষ্ট না করে ভর্তি  হয়ে যান স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে। সেখানকারই কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র তিনি।


শৈশব থেকেই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট তাকে টানতো। পড়ালেখার চেয়ে প্রযুক্তির ওপরই তার ঝোঁক ছিল বেশি। বিভিন্ন কন্টেন্ট আর তা আপলোড করে ওয়েবসাইট বানানো আর তা কীভাবে ম্যানেজ করা যায় তা নিয়ে ঘাটাঘাটি করত ছোট থেকেই। চতুর্থ শ্রেণিতে থাকাকালীনই দুলাভাইয়ের বদান্যতায় ইন্টেলের পেন্টিয়াম প্রসেসরের কম্পিউটার পান তিনি। সেটিই ছিল কম্পিউটার নিয়ে সমস্ত কৌতূহলের প্রথম পথ। দীর্ঘ সময় এটি নিয়েই পাড়ি দিয়েছেন তিনি, নিজে নিজেই কম্পিউটার ঘেটে করতেন এর ট্রাবলশুটিং। এভাবে চলতে চলতেই কম্পিউটার এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপারে তার কৌতূহল আর আগ্রহ বেড়ে চলে, সেখান থেকেই তার এখনকার পথচলা।


সঙ্গত কারণেই বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নিয়ে আগ্রহী ছিলেন তিনি। সেদিক থেকেই মজিলার বাংলাদেশে বিভিন্ন কার্যক্রমে নজর রাখতেন।   প্রতিষ্ঠানটির নানা সেমিনার ও ওয়ার্কশপে অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তবে পড়ালেখার কারণে তা সম্ভব হয়নি তখন।


২০১৪ সালের এপ্রিলে ফেসবুকে ১০ ঘন্টার মজিলার একটি ওয়ার্কশপ আয়োজনের খবর পান তিনি। সুমো কেবি এল১০এন স্প্রিন্টে অনেকটা কৌতূহল থেকেই যুক্ত হবার জন্যে চেস্টা করেন তিনি এবং পরিশেষে যোগ দেয়ার সুযোগ পেয়েও যান। সেখানেই বসে সেদিন মজিলার জন্যে প্রথম অবদান রাখেন তিনি। লোকালাইজেশনের মাধ্যমে এত সহজে মজিলায় অবদান রাখতে পারবেন তিনি, তা আগে ভাবতে পারেননি তিনি। বাসায় গিয়ে এই ব্যাপারগুলোতেই নিয়মিত সময় দেয়া শুরু করলেন তিনি। পাশাপাশি মজিলার অন্যান্য প্রজেক্ট বা অবদান রাখার জায়গাগুলো নিয়েও ঘাটাঘাটি করতে থাকলেন। এভাবেই মজিলার সাথে যুক্ত হয়ে যান তিনি।


বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে মজিলার একজন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তার মত আরো ১৩ জন আছেন যারা বাংলাদেশে মজিলার প্রতিনিধিত্ব করছেন। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন মজিলা প্রতিনিধিদের মেন্টর হিসেবে।


মজিলা কিউএ এর বাংলাদেশ কমিউনিটির কমিউনিটি লিডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে করা মজিলার ক্যাম্পাস ক্লাব প্রোগ্রামের একজন অন্যতম রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর হিসেবে রয়েছেন। বাংলাদেশসহ, চীন, তাইওয়ান ও জাপানের রিজিওনাল কমিউনিটিগুলোর রেপ্স রিজিওনাল কোচ হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। সব দায়িত্বই মূলত স্বেচ্ছাসেবামূলক।


মজিলায় নিজের সেরাটা দিতে চান তিনি। বাংলাদেশে ওপেন সোর্স প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান। বর্তমানে তিনি যে কাজগুলো মজিলার জন্য করছেন, সেগুলোকে সফটওয়্যার টেস্টিং বা কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স বলা হয়। এসব কাজের ওপর ভিত্তি করে স্টার্টআপ খোলার ইচ্ছা আছে তার। যেখানে মজিলা ও ক্যানোনিকালের মতো কিছু অর্গানাইজেশনের প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান। পাশাপাশি এ স্টার্টআপের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্রদের সফটওয়্যার টেস্টিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইচ্ছা আছে তার।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ মে ২০১৯/তাআ/ইআ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.