আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

নিউইয়র্কে দোয়া ও তবারক বিতরণের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস পালন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-২২ ১১:০৭:০৮

সিলেটভিউ ডেস্ক ::যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের অবিলম্বে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্যে মার্কিন প্রশাসনের সহায়তা কামনার মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের ‘জাতীয় শোক দিবস’র দোয়া-মাহফিল ও তবারক বিতরণ কর্মসূচি। স্থানীয় সময় ২০ আগস্ট মঙ্গলবার ব্রঙ্কসে একটি সড়ক বন্ধ করে এই প্রথম বারের মতো ‘জাতীয় শোক দিবস’র কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ব্রঙ্কসের স্টার্লিং-বাংলাবাজার এলাকার তানিয়া বিউটি সেলুন ও এশিয়ান ড্রাইভিং স্কুলের দেয়ালে অঙ্কিত বাংলাদেশের শহীদ মিনার ও জাতীয় স্মুতিসৌধের বিশাল প্রতিকৃতির সামনে মুক্তিযুদ্ধের সম্মিলিত স্বপক্ষ শক্তি’র ব্যানারে এটি ছিল জাতীয় শোক-দিবসের সর্ববৃহৎ আয়োজন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত ১০টা নাগাদ প্রায় ২ হাজার মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় তবারক। সাদা ভাতের সাথে গরু, খাসী ও মুরগীর মাংস। সাথে ছিল পায়েশও। দলমত নির্বিশেষে অংশ নেয়া এই আয়োজনে সকলেই এই তবারক গ্রহণ করেন পরম তৃপ্তির সাথে। ভিনদেশীরাও বাদ যাননি। কৌতুহলী ভিনদেশীরা জানতে চান বিশাল এই আয়োজনের বিষয়টি। এসময় তাদের অবহিত করা হয় বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার বিষয়টি।

অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আবুল কাশেম এয়াহইয়া। এসময় বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, দেশ, প্রবাস ও বিশ্ব মানবতার শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেও দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন রতন চক্রবর্তী। সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে সকাল ১১টা থেকে অনুষ্ঠানস্থলে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ লাউড স্পীকারে বাজিয়ে শুনানো হয়।

উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশার সভাপতিত্বে এবং কমিটির কর্মকর্তা যুব লীগ নেতা শেখ জামাল হুসেন ও রেজা আব্দুল্লাহ স্বপনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান লিংকন ও সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম মিলন।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. প্রদীপ রঞ্জণ কর, ও ডা. মাসুদুল হাসান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেলের কনসাল আয়শা হক, নিউইয়র্কে ব্রঙ্কসের এসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৮৭ থেকে নির্বাচিত এসেম্বলীওম্যান ক্যারীনেস রেইসের প্রতিনিধি, কানাডা থেকে বাংলা সাপ্তাহিক ও বাংলা টিভি চ্যানেল দেশে বিদেশে এর সম্পাদক ও সিইও নজরুল ইসলাম মিন্টো, বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের সভাপতি মোহাম্মদ এন মজুমদার, আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইনক’র সভাপতি আব্দুস শহীদ, বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল হাসিম হাসনু, বাংলা টাউনের স্বত্ত্বাধিকারী কায়সারুজ্জামান কয়েস, খলিল বিরিয়ানী হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ খলিলুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন দেওয়ান, কাজী কয়েস, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, শাহীন আজমল, মো. আবদুল মুহিত, মিসবাহ আহমদ, গোলাম রব্বানী, সাখাওয়াত আলী, ফরিদ আলম, রফিকুল ইসলাম, এমদাদ চৌধুরী, জুনেদ চৌধুরী, সদরুন নূর, নুরে আলোম জিকু, সাহাদৎ হোসেন, সালামত উল্লাহ, নুরুজ্জামান সর্দার, নুরুল আমিন বাবু, শাহীন কামালি, শেবুল মিয়া, ইফজাল চৌধুরী, রবিউল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, আক্তার হোসেন, সাইকুল হোসেন, দুরুদ মিয়া রনেল, কাজী আজিজুল হক খোকন, মঞ্জুর চৌধুরী, জুয়েল আহমদ, নাফিউর রহমান তুরান, বাছির খান, রিয়াজ কামরান, জামাল আহমেদ, ময়দুল লস্কর জুয়েল, শহীদ আহমেদ, শাহ রহিম শ্যামল, শাহেদ আহমেদ, শামীম আহমেদ, আল মামুন সরকার, সুয়েব আহমেদ, শিপু চৌধুরী, সাদিকুর রহমান, মনির উদ্দিন, আজমান আলী, সাখাওয়াত হোসন চঞ্চল, জাকির হোসেন জাকির, মামুন হোসেন, শাহ সেলিম, মোশাইদ চৌধুরী, শ্যামল কান্তি, সোহান আহমেদ টুটুল, আলমগীর মোল্লা, আবদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান চৌধুরী, আশফাক মাশুক সহ আওয়ামীলীগ সহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বক্তারা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীরা বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। পলাতক খুনীদের দেশে ফেরত পাঠাতে সকলে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুর রহিম বাদশা ‘জাতীয় শোক দিবস’র কর্মসূচি সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এখন থেকে প্রতি বছর এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ৪৩ পুলিশ প্রিসেনক্টের কর্মকর্তারা সার্বিক নিরাপত্তায় ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল, বাংলা টাউন সুপার মার্কেট, আল আকসা রেষ্টুরেন্ট, পার্টি হল ও গ্রোসারী, মক্কা-মদীনা সুপার মার্কেট অ্যান্ড হালাল মিট, মোহাম্মদ এন মজুমদার, মাস্টার অব ল, ইয়াহইয়া মেন্দী, খলিল বিরিয়ানী হাউজ অ্যান্ড হালাল চায়নিজ, ডা. শাহ আলম, লুৎফুল করিম, আকতার হোসেন, রমেশ চন্দ্র নাথ, প্রিমিয়াম সুইটস, দেশী বাজার, ইত্যাদি বাজার ও হালাল ফুড মার্কেট, এশিয়ান ড্রাইভিং স্কুল, মামুন’স টিউটোরিয়াল, আলমাস আলী-মার্কস হোম কেয়ার, নিরব রেষ্টরেন্ট অ্যান্ড হালাল চায়নিজ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ আগস্ট ২০১৯/এসবি/মিআচ


শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন

সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র খবর

  •   নিউইয়র্ক পুলিশে প্রথম নারী বাংলাদেশি ফজিলা
  •   নিউইয়র্কে ইউএস বাংলা অনলাইন প্রেসক্লাবে মেহেদী কাবুল সংবর্ধিত
  •   কমিউনিটি নেতা শাহিনের খুনীদের শাস্তির দাবীতে আমেরিকাতে প্রতিবাদ সমাবেশ
  •   আমেরিকার মিশিগানে হচ্ছে প্রথম স্থায়ী শহিদ মিনার
  •   নিউইয়র্কে পিতার জীবন বাঁচাতে বাঙালি যুবকের কিডনি দান
  •   জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি লোকমান
  •   স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তীতে মিশিগান স্টেট যুবলীগের আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধা নিবেদন
  •   ২৫ মার্চ ‌‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবি মিশিগান স্টেট ছাত্রলীগের
  •   নিউইয়র্কে কাইযুম চৌধুরীর রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
  •   জুয়েল সাদতের "সাদা মার্জিন" বেরিয়েছে