আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বাংলাদেশি 'সুখী'র ধাক্কায় কোণঠাসা ভারতের 'মালা-ডি'

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-১৫ ০১:৩৩:৩৩

বেশকিছু দিন ধরেই ভারতের আসাম রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশে জনসংখ্যা বাড়ার অভিযোগ করে আসছে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন। আর ঠিক সেই সময়েই রাজ্যটির স্বাস্থ্য দফতরের সমীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। বলা হচ্ছে, অাসামে জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ!

সমীক্ষা বলছে, অাসামের নারীরা বিশেষত, বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকায় গর্ভনিরোধক হিসেবে ভারতীয় ‘মালা-ডি’ ট্যাবলেটের পরিবর্তে নির্ভর করে বাংলাদেশি ‘সুখী’র উপর।

বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া ওই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট ‘সুখী’ কিন্তু আসামে স্বীকৃত নয়। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের কীই বা এসে যায়! চাইলেই মালা-ডি তো পাওয়া যায় না। সরবরাহও প্রায় নেই। অথচ হাতের কাছে অঢেল ‘সুখী’। বাংলাদেশে বিনামূল্যে দেওয়া হলেও আসামে পাচার হয়ে আসা দশটি ট্যাবলেটের ‘সুখী’র একটি পাতার দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা। অন্য দিকে, বাজার চলতি গর্ভনিরোধকের প্রতি পাতার দাম পড়ে ৭৫ থেকে ১০০ টাকা।

রাজ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ, প্রসূতি মৃত্যু-সহ মহিলা স্বাস্থ্যের উপরে সাম্প্রতিক এক আলোচনাচক্রের সূত্র ধরে সামনে এসেছে এই তথ্য।

গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান আর কে তালুকদার জানান, রাজ্যের হাসপাতালে ভারতীয় গর্ভনিরোধক বড়ির অনিয়মিত সরবরাহ এবং ওই বড়ি নিয়ে ছড়ানো বিভিন্ন গুজবের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার নারীরা বাংলাদেশ থেকে আসা সুখীকেই বেছে নিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সুখীর রাসায়নিক গঠন মালা-ডির মতো হলেও যেহেতু ভারতীয় পরীক্ষাগারে ওই ট্যাবলেটকে যাচাই করে শংসাপত্র দেওয়া হয়নি, তাই সুখী না খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।’’

সরকারি সমীক্ষা বলছে, জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অাসামের ২২ শতাংশ নারী গর্ভনিরোধক বড়িতেই আস্থা রাখেন। কন্ডোমের ব্যবহার মাত্র ২.৭ শতাংশ। রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যুর হার প্রতি লক্ষে ৩০০ জন যা জাতীয় হার ১৬৭ জনের প্রায় দ্বিগুণ। আলোচনাচক্রে বিশেষজ্ঞরা দু’বার গর্ভধারণের মধ্যে ব্যবধান বৃদ্ধি, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার, বিভিন্ন ভুল ধারণা ও অন্ধবিশ্বাস কাটাতে গ্রামে গ্রামে প্রচার ও হাসপাতালে প্রসবের উপরে জোর দেন।

সুখীর ব্যবহার শুধু অাসাম নয়, পশ্চিমবঙ্গেও প্রচুর। মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তা সুজয় রায় জানান, উত্তরবঙ্গেও বিভিন্ন এলাকায় সুখী বহুল প্রচলিত। সেখানকার দোকানগুলি ‘বেআইনি’ জেনেও সুখী বিক্রি করছেন।

জানা গেছে, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ভারতীয় মালা-ডি’র চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় ‘সুখী’। বাংলায় গেদে, বানপুর, বনগাঁ হয়েও ঢুকছে সুখী। যদিও পশ্চিমবঙ্গের  স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা অবশ্য রাজ্যে সুখী-র রমরমা ব্যবসা মানতে চান না।


শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন

সাম্প্রতিক প্রবাস জীবন খবর

  •   ফের দু’সপ্তাহের সম্পূর্ণ লকডাউনে মালয়েশিয়া
  •   আটকেপড়া প্রবাসীদের ভিসা-ইকামার মেয়াদ বাড়াচ্ছে সৌদি
  •   বাংলাদেশিদের যেভাবে সুযোগ হচ্ছে মাল্টায় যাওয়ার
  •   আরব আমিরাতে বছরে মারা যান এক হাজার প্রবাসী কর্মী
  •   সিলেটে নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে এনআরবি ব্যাংকের ঈদ উপহার বিতরণ
  •   আয়ারল্যান্ডে পরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা কমিটিতে বাংলাদেশীর স্থান
  •   বাংলাদেশি রুমা এখন মার্কিন এটর্নি
  •   ইতালিতে কোভিড ফ্রি ট্রেন,খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা
  •   খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল
  •   যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি মা-বাবা-নানিকে হত্যার পর দু’ভাইয়ের আত্মহত্যা