আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং
শাহাদাত হোসেন :: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চালু হওয়া শ্রমবাজারটি সিন্ডিকেটের কারণে হুমকির মুখে তাই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে শ্রমবাজারটি রক্ষা করার এখনই সময় ।
রবিবার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরে জ্বালান ইম্বির রসনা বিলাস রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ ব্যবসায়ী কমিউনিটির উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা একথা বলেন, মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটি, বাংলাদেশী গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানির ক্ষেত্রে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর দেশটিতে ৩৭ হাজার টাকায় জনশক্তি রপ্তানী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট অসহায় শ্রমিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
১০ কোম্পানির এই সিন্ডিকেট হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফলে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানী হুমকির মুখে। তারা আরও জানান, আমিন গং ও ১০ কোম্পানির সিন্ডিকেট জোটবদ্ধ হয়ে এসপিপিএ কোম্পানির কথা বলে ভিসা প্রসেসিং খরচ বাবদ জনপ্রতি ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায়ের সিস্টেমটি চালু করে।
মালয়েশিয়ায় সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পর এই সিন্ডিকেট এর মূলহোতা আমিনসহ অন্যান্যরা গা ঢাকা দিয়েছে। কিন্তু এখনও রয়ে গেছে তাদের চালুকৃত সেই অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সিস্টেমটি।
মালয়েশিয়া নবগঠিত সরকারের মূলনীতি দুর্নীতি প্রতিরোধ করা, তাই এখনই সময় সিন্ডিকেটের নামে এই দুর্নীতি বন্ধ করা। নয়তো অচিরেই হুমকির মধ্যে পড়বে চলমান এই শ্রমবাজারটি। বৃহত্তর শ্রমবাজারটি রক্ষায় দল-মত-নির্বিশেষে দেশের স্বার্থে সবাইকে এগিয়ে আসার এখনই সময়।
অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ফলে প্রতি শ্রমিককে অভিবাসন ব্যয় বাবদ গুনতে হচ্ছে ৩ লক্ষাধিক টাকা। ফলে মালয়েশিয়ার প্রতি শ্রমিকদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলেও জানান বক্তারা।
মতবিনিময় সভায় গৃহীত মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানির অভিবাসন ব্যায় কমানো এবং চলমান শ্রমবাজারটি রক্ষায় পদক্ষেপ তুলে ধরেন ১. মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানি ব্যয় কমানো: ২. শ্রমিক প্রতি ৫ হাজার রিঙ্গিত (১ লক্ষাধিক টাকা) অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বন্ধ করা: ৩. শ্রমিক আনার ক্ষেত্রে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ থেকেও শ্রমিক আনতে মালয়েশিয়ান আইন মেনে চলা: ৪. শুধুমাত্র ১০ টি লাইসেন্স নয় বাংলাদেশ সরকারের নিবন্ধিত ম্যানপাওয়ার লাইসেন্সধারী সকলকেই শ্রমিক রপ্তানির কাজ করার সুযোগ দেওয়া
৫. বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে শ্রমিকবান্ধব নীতিমালা তৈরি করা ৬. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান মাধ্যম শ্রমিক রপ্তানির পথ খোলা রাখতে সকলকে একযোগে কাজ করা ৭. নতুন সিদ্ধান্তে সকলে একমত থাকা ইত্যাদি।
কমিউনিটি নেতা মো. মকবুল হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে ও ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খাঁনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় কুয়ালালামপুরে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন রাশেদ বাদল, মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল, আলমগীর হোসেন, আব্দুল জলিল লিটন,মোতালেব হোসেন, রুহুল আমিন, এসএম নিপু, শফিকুল ইসলাম পলাশ, শাখাওয়াত হক জোসেফ, জালাল উদ্দিন সেলিম, বশির আলম প্রমুখ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ মে ২০১৮/এসএইচ/এক