আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
১৯৯৩ সালের এক কনকনে শীতের সকালে অনেক ভয় আর স্বপ্ন নিয়ে হাজির হই সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার আশুগঞ্জ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে। নতুন স্কুলে একগুচ্ছ অপরিচিত মানুষের ভিড়ে নতুন নতুন শিক্ষকদের হৃদয়গ্রাহী পাঠদানের ভেতর দিয়ে চলতে থাকে আমার স্কুল জীবন। ভর্তির পর থেকেই স্কুলে শুরু হল পুরাতন শিক্ষকের বিদায় আর নতুন শিক্ষকের আগমন নতুন একজন স্যারের কথা বারবার উচ্চারিত হচ্ছিল, কারণ স্যার নাকি খুব ভাল! অবশেষে শ্রেণিশিক্ষক হিসেবে পাওয়ার সৌভাগ্য হয়। সেই শিক্ষক হলেন মাওলানা হোসাইন আহমদ চৌধুরী।
আমি প্রথম দেখায় বিস্মিত হয়ে যাই স্যারের অসম্ভব সুন্দর ব্যক্তিত্বপূর্ণ গলার স্বর শুনে। চমৎকার সাবলীল ভাষায় ক্লাসে স্যারের পাঠদান আমাকে দিন দিন স্যারের প্রতি আকৃষ্ট করতে থাকে। স্যার আমাদের ধর্ম ক্লাস নিতেন।
আজকে জীবনের এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও স্যারের সেই কথাগুলো ভুলিনি। আমাদের জন্য স্যারের এই অশেষ কষ্ট এবং অন্য শিক্ষকদের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আমরা ১৯৯৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হই। স্যার আমাদের মধ্যে পরিশ্রম, সততা, দেশপ্রেম আর চারিত্রিক উৎকর্ষ বিকাশের যে বীজ বপন করেছিলেন, তার ফল আজ আমরা ভোগ করছি। বন্ধুরা সবাই খুব ভালো আছে। মাওলানা হোসাইন স্যারের মতো সাহসী, নির্ভীক, রুচিতে নান্দনিক এবং চরিত্রে ইস্পাতকঠিন শিক্ষক আজকের এই দিনে খুবই প্রয়োজন। পরিশেষে নগরবাউল জেমসের ভাষায় বলতে ইচ্ছা করে, ‘মানুষেরও যে আকাশের মতো হৃদয় থাকতে পারে, তাকে না দেখলে হয়তো আমার জানাই হতো না।’
বিশ্ব শিক্ষক দিবসের এই দিনে সালাম তোমায় গুরু। পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমার প্রিয় শিক্ষক/ শিক্ষিকা মহোদয়দের, যাদের পরম স্নেহ ও ভালোবাসায় গুরুজনদের কাছ থেকে আমি শিখেছি এবং এখনো শিখছি.........। আমি শ্রদ্ধেয়জনদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। যারা আমাদের মাঝে নেই তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি,আমিন।।
লেখক
আলম হোসেন
বেলজিয়াম প্রবাসী
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৬ অক্টোবর ২০১৮/প্রেবি/আআ