সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-০৪ ১৫:৩১:৪৫
জামান সরকার, হেলসিংকি :: ঈদ মানেই আনন্দ আর ফুর্তি। শুধু আনন্দ নয় মহাউৎসবও। এক মাস রোজা রাখার পর ফিনল্যান্ড জুড়ে মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করছেন ঈদুল ফিতর।
সোমবার সন্ধ্যায় শাওয়ালের এক ফালি চাঁদ যেন ডালি ডালি খুশির বার্তা নিয়ে আসে। তারই আবাহনে আজ ঈদের সকালে সবাই নতুন পোশাক পরেছে। শিশুদের চোখমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। তারা সবাই তো এই দিনটিরই প্রতীক্ষায় ছিল গত এক মাস।
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো আজ ৪ঠা জুন মঙ্গলবার। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মাঝে ঝলমল রোদ্দুর উকি ও গ্রীষ্মের প্রকৃতির রঙে রঙিন হয়ে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি প্রবাসী বাংলাদেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা সমবেত হন ঈদের জামাতে।
ইসলামি রীতি অনুযায়ী রাজধানী হেলসিংকিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদের প্রধান দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় হাকানিয়েমির মেরী হাকা পাল্লোহাল্লিতে। এতে ইমামতি করেন হেলসিংকির দারুল আমান মসজিদের খতিব আবদুল কুদ্দুস খান। অপর জামাতটি হয় কনতুলায়। এতে ইমামতি করেন বশির আহমেদ।
ঈদের জামাত শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। হেলসিংকির সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা জামাত দুটিতে অংশ নেন।
ঈদ জামাতে উল্লেখযোগ্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবদুস সালাম খান, রিয়াজ সহিদ, আশরাফ আহমেদ, আবদুল ওয়াদূদ, জাকির হোসেন, লিটন, মাসুদ, জামান সরকার, গাজী সামসুল আলম, নাসির উদ্দিন মজুমদার, নাজমুল হাসান, আবুল কালাম শহিদুল, মোঃ মহসীন, শহীদুল আলম বাচ্চু, লাবীব, তাসিন, বাহার, সালাউদ্দিন, আবুল কাসেম, রহমান, শামীম, প্রমুখ।
এবারের ঈদে ভিন্ন মাত্রা এনেছে ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি।
বরাবরের মতো এবারও বাঙালিদের ঈদ উৎসবে ছিল বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি খাবার। একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়া। মাতৃভূমি বাংলাদেশে টেলিফোন করে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজ-খবর নেওয়া ইত্যাদি। ঈদের এই আনন্দে একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়ার রেওয়াজ একাধারে তিন–চার দিন চলতে থাকে।
মোটকথা মাতৃভূমির মায়া আর দেশে ফেলে আসা স্বজনদের জন্য ভালোবাসা বুকে চেপে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা সবাই পরস্পর ভাগাভাগি করছেন আনন্দ। সুযোগ মতো ফোন, ফেসবুক, ওয়াটাপ, ভাইবার, ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ হচ্ছে নিজ নিজ দেশে। অনেকেই অশ্রুসজল হয়ে পড়ছেন শয্যাশায়ী মা-বাবার জন্য, কেউ সন্তানের কচি মুখ মনে করে চোখ মুছছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সবাই হাসিমুখেই উদ্যাপন করছেন ঈদকে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৪ জুন ২০১৯/জেএস/এসডি