আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় প্রশ্ন ফাঁসকারী প্রতারক চক্র

পরীক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৩-২৮ ২১:০৬:০৬

নানান কৌশলে জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কুচক্রী মহল বারবার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের বিপথগামী করতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো বিভ্রান্তিমূলক ঘটনা ঘটিয়ে একদিকে তারা কিছু অর্থ হাতিয়ে নিলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। আর এই প্রতারণার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে তারা ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ।

সম্প্রতি আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই চক্রটি। এই চক্রের হোতারা ফেসবুকে বিভিন্ন নামে পেজ বা গ্রুপ খুলে ইতিমধ্যে তাদের সদস্য বা ফলোয়ার সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। পরীক্ষা শুরু হলেই তারা প্রশ্নপত্র আউটের মাধ্যমে তাদের মনগড়া ও বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্নপত্র ছড়াতে শুরু করবে।

জানা যায়, Hsc Question out-2018, HSC Exam ‎2018 100% Common suggestion All Board Out Question, এইচএসসির প্রশ্ন ফাঁস ২০১৮ বা সাজেশন ২০১৮- এর মতো বেশ কিছু ফেসবুক পেজ, গ্রুপ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এসেছে। এরইমধ্যে সেসব গ্রুপ ও পেজের ডাটাবেজ তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। সর্বশেষ গ্রুপগুলোর এডমিন ও ফলোয়ারদের উপর মনিটরিং ও নজরদারীও শুরু করে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া এসব গ্রুপের ফলোয়ারদের মধ্যে যারা শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে এবং তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ/পেজ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই  প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার থেকে শুরু করে  লক্ষাধিক ফলোয়ার রয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই লাইক-কমেন্টে সক্রিয়। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর লক্ষ্য করা গেছে ক্রমেই ওই গ্রুপ/পেজগুলোর ফলোয়ার কমতে শুরু করেছে।
এদিকে প্রতারণা ও শাস্তির হাত থেকে নিজেকে এবং অন্যদের রক্ষা করতে এসব গ্রুপ বা পেজ থেকে দূরে থাকতে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলার পাশাপাশি তাদের প্রতিহত করতে প্রয়োজনে সম্মিলিতভাবে এ সমস্ত গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রিপোর্ট করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্নপত্র ও ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে কোনভাবেই পরীক্ষা শুরুর পূর্ব মুহূর্তেও সঠিক প্রশ্নপত্র নির্ধারণ করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। কাজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাপ্ত প্রশ্নপত্র অবশ্যই প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে অভিভাবকদেরও সাবধান করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিজের সন্তান যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত, প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী গ্রুপ/পেজের সঙ্গে জড়িত থেকে শাস্তির আওতায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবকদের সচেতন করা হচ্ছে। কেননা প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত তৎপরতায় যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্তানের সংশ্লিষ্টতা পায় তবে সন্তানের পাশাপাশি ওই অভিভাবকেও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন