রাবিতে দুই দিনব্যাপি চিহ্নমেলা শুরু

রাবি প্রতিনিধি :: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চতুর্থবারের মত দুই দিনব্যাপি ‘চিহ্নমেলা চিরায়তবাঙলা’ লেখক-পাঠক-সম্পাদক বৈশি^ক সম্মিলন শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় বিশ^বিদ্যালয় শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে এই মেলার উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।

এরপর চিহ্নমেলা চিরায়তবাঙলা-১৯ এর ব্যানারে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে শহীদুল্লাহ কলা ভবন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সাহিত্যবিষয়ক ভারতের ৩০টি ও বাংলাদেশের ৯৫টি ছোটকাগজ ও পত্রিকার কর্মী-সম্পাদক-লেখক-পাঠক অংশ নেন।
 
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে বাঙালি জীবনের সাহিত্য’ বিষয়ে কথা বলেন প্রভাত চৌধুরী, সনৎকুমার সাহা, জুলফিকার মতিন, মহীবুল আজিজ, প্রবালকুমার বসু, ইমানুল হক, কানাই সেন ও সোয়েব শাহরিয়ার। এদিন বেলা ১২ টায় বর্ণালী রায়ের সঞ্চালনায় ‘ছোট প্রকাশনার সম্ভবনা ও সমস্য’ নিয়ে কথা বলেন, রাখাল রাহা, মনিরুল মুনির, মনজুর রহমান, অলোক বিশ^াস, সৌভিক দে সরকার, কাজী মামুন হায়দার রানা।

এদিন বিকেলে ‘কবির প্যাথোস ও আজকের কবিতা’ বিষয়ে কথা বলেন, শোয়েব শাহরিয়ার, সরকার মাসুদ, কুমার দীপ, বদরুল হায়দার, তারেক রেজা প্রমুখ। আজ মঙ্গলবার মেলার সমাপনী দিনে চিহ্নমেলার বিশেষত্ব হিসেবে সৃজনশীল ও মননশীল শাখায় প্রান্তিক দু’জন লেখক-সাহিত্যিকসহ দুই বাংলার ৮টি ছোটকাগজকে সম্মননা প্রদান করা হবে। এরমধ্যে ভারতের ৩টি ও বাংলাদেশের ৫টি ছোটকাগজ। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা ‘চিহ্ন’ চতুর্থবারের মতো এ মেলার আয়োজন করেছে। এর আগে ২০১১, ২০১৩ ও ২০১৬ সালে এ মেলার আয়োজন করা হয়।