Sylhet View 24 PRINT

ভোটের বছরের বাজেট পাস

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-২৮ ১৯:১৪:০৭

সিলেটভিউ ডেস্ক :: জাতীয় সংসদে প্রায় ৫৬ ঘণ্টা আলোচনার পর ভোটের বছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে। গত সাড়ে নয় বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ এই বাজেটে স্বাভাবিকভাবেই জনতুষ্টির উদ্যোগ বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন বসার পর নতুন অর্থবছরের জাতীয় বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়। রোববার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে।

গত ৭ জুন অর্থমন্ত্রী মুহিত সংসদে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের উপস্থিতিতে তা পাস হয়। 

অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করার পর সেই বাজেটের ওপর ২২৩ জন সংসদ সদস্য মোট ৫৫ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট আলোচনা করেন। বুধবার এই আলোচনা শেষ হয়।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শুরুতেই মঞ্জুরি দাবিতে আলোচনা করার কথা জানান। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা এসব দাবিতে আলোচনা করেন।

৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার এই বাজেটের মধ্যে অর্থমন্ত্রী রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন মুহিত।

বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। আর পরিাচলন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা।

এই বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি দেখানো হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। ঘাটতির এই পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এই ঘাটতির মধ্যে চার হাজার ৫১ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান থেকে মেটানোর আশার কথা বলেছেন মুহিত।ওই অনুদান পাওয়া গেলে ঘাটতি থাকবে এক লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।

গত অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের চেয়ে ১৬ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরের ব্যয়ের ফর্দ তৈরি করেছেন মুহিত, যা বিদায়ী বছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি।

টানা ১০টি জাতীয় বাজেট দেওয়া ৮৫ বছর বয়সী মুহিতের এবারের বাজেট নিয়ে বড় কোনো ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়নি। তবে ব্যাংক খাতের দুরবস্থা নিয়ে নিজ দলের সংসদ সদস্যসহ জাতীয় পার্টির সাংসদদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যের পর মুহিত তার সংশোধিত প্রস্তাব তুলে ধরেন।

নির্দিষ্টকরণ বিল পাস: আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট পাঁচ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৩ কোটি ৮২ লাখ ৯২ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে।

এর মধ্যে, সংসদ সদস্যদের ভোটে গৃহীত অর্থের পরিমাণ চার লাখ ২৫ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় এক লাখ ৪৬ হাজার ১৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

সংযুক্ত তহবিলের দায়ের মধ্যে ট্রেজারি বিলের দায় পরিশোধ, হাই কোর্টের বিচারপতি ও মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বেতনও অন্তর্ভুক্ত।

মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব: আগামী অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা ৪৪৮টি বিভিন্ন ধরনের ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন।

ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো ছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও রেলপথ বিভাগের মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্যদের আলোচনার পর সবগুলো প্রস্তাব কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.