আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

চীন থেকে ৯৭ শতাংশ পণ্যের শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-১৪ ২১:৩৯:৪৩

বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক  দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের সাথে চীনের বন্ধুত্বের সূত্রপাত ঘটে সিল্ক রোডের মাধ্যমে। সিল্ক রোড- যার সূচনা হয়েছিল রাজধানী সিয়ান (তৎকালীন ছাংআন) থেকে। সেই পথ সিনজিয়াং হয়ে আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে ভারত হয়ে পৌঁছেছিল বাংলাদেশে (মংচিয়ালা)। প্রাচীনকাল থেকেই চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই সমুদ্র উপকূলীয় দেশ বিধায় সমুদ্রপথে তাদের মধ্যকার আদান-প্রদানও  ছিল চমৎকার। বর্তমানে প্রযুক্তির বিকাশে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশ ও চীনের আদান প্রদানের এ সম্পর্ক। কিন্তু বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে আগের মতোই।

চীনে বাংলাদেশী পোশাক শিল্প, চামড়া শিল্পের কদর রয়েছে বেশ আগের থেকেই। প্রতি বছর বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় অংশ আসে চীনে রপ্তানিকৃত পণ্যের থেকে। বর্তমানে চীনের সাথে নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশ। এজন্য দেশটির কাছে লেটার অব ইনটেন্ট (সম্মতিপত্র) পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। জিরো ট্যারিফ স্কিম নামের এই বাণিজ্য সুবিধায় চীনের বাজারে ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। তবে এর বিপরীতে বাংলাদেশকে আপটার (এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট) যে সুবিধা পাচ্ছে সেটা আর স্থায়ী হবে না। এক্ষেত্রে শুধু শুল্ক মুক্ত বাজার সুবিধাই পাবে বাংলাদেশ। চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি যাতে না হয় সেজন্য দুই দেশ কাজ করে যাচ্ছে। যদি চীনের বাজারে বাংলাদেশী পণ্য সুবিধা বৃদ্ধি করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে বাণিজ্য ঘাটতির ক্ষেত্রে কোনো ভয় থাকবেনা। সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে বর্তমান সরকার।

বর্তমানে বাংলাদেশ আপটার আওতায় চীনের কাছ থেকে ৫ হাজার ৭৪টি রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছে। জিরো ট্যারিফ স্কিমের আওতায় চীনে বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করলে ওই দেশটিতে আর আপটা সুবিধা কার্যকর হবে না। বর্তমানে চীনের বাজারে আপটা ও ডব্লিউটিও এ দুই ধরনের বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। আপটার আওতায় শুল্কসুবিধার ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে ৩৫ শতাংশ এবং ডব্লিউটিওর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধার আওতায় ৪০ শতাংশ মূল্য সংযোজনের শর্ত রয়েছে। এ দুটি সুবিধায় চীনের ট্যারিফ লাইনের ৬৫ শতাংশ পণ্যে শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক অৰ্থনৈতিক সম্পর্ক চমৎকার। চীনের সহযোগিতায় পূর্বাচলে ৩৫ একর জমির ওপর চীন-বাংলাদেশ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মিত হচ্ছে। আগামী ২০২০ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এর মোট ব্যয়ের সিংহ ভাগ চীন সরকার বহন করবে।

চীন-বাংলাদেশ সব সময় দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে এগিয়ে এসেছে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছে। উভয় দেশের পুরোনো এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে কাজ করে হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই প্রেক্ষিতে রপ্তানি সহায়ক চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছে দুই দেশ। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন