Sylhet View 24 PRINT

বিচিত্র কারণে জেল খেটেছেন যেসব বলিউড তারকা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-২৪ ০০:২৬:১৮

বলিউডের রঙিন পর্দায় তারা আদর্শের মানদণ্ড প্রতিষ্ঠিত করলেও ব্যক্তিগত জীবনে নানা অপরাধে জড়িয়েছেন তারকারা। শুধু অভিনয়শিল্পীই নন, জনপ্রিয় গায়ক থেকে শুরু করে উঠতি মডেলরাও জড়িয়ে পড়েছেন অপরাধ জগতের সঙ্গে। নিয়ম লঙ্ঘন করায় শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। জেলে যেতে হয়েছে, জরিমানাও দিতে হয়েছে।

এত তালিকার শীর্ষেই আছেন সালমান খান। তার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের মামলার বিচারকাজ চলছে। ১৯৯৮ সালে যোধপুরে দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ মারেন সালমান। ২০ বছর ধরে মামলা চলার পর গত মাসে তাঁকে পাঁচ বছরের সাজা দেয় আদালত। তবে, একরাত জেলে কাটিয়েই জামিনে মুক্তি পেয়ে যান বলিউডের ‘ভাইজান’। এছাড়াও একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

১৯৯৩ এর মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে ৫ বছরের কারাবাস হয় সঞ্জয় দত্তের। ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পান। ২০১৩-র ১৬ মে টাডা কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন। সংশোধনাগারে ভাল আচরণের জন্য সঞ্জয়কে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় মহারাষ্ট্র সরকার।

কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় সালমানের সঙ্গ দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় সোনালি বেন্দ্রের নামেও। পরে, ২০০১ সালে একটি ম্যাগাজিনে ফটোশুটের সময় ধর্মীয় নামাবলী লেখা হলুদ কুর্তা পড়ে অশালীনভাবে পোজ দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অবশ্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিন নিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন।

২০০৬ সালে বেলাগাম গতিতে ড্রাইভিং ও দুই পথচারীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জন আব্রাহামের বিরুদ্ধে। ৬ বছর মামলা চলার পর শেষে ১৫ দিনের জন্য জেলে হতে হয়েছিল জনকে।

‘আশিকি-টু’ সিনেমায় অঙ্কিত তিওয়ারির গাওয়া গান ‘শুন রাহা হ্যায় না তু’ একসময় হিট লিস্টে ছিল। কেরিয়ারের মাঝপথেই ২০১৪-এ ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন অঙ্কিত। অভিযোগ ছিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বান্ধবীকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্ষণ করেন অঙ্কিত।

২০১২ সালে মুম্বইয়ের তাজ হোটেলের ওয়াসাবি রেস্তোঁরায় কয়েক জনের সঙ্গে ঝগড়া-মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন সাইফ আলী খান। অভিযোগ ছিল, তার স্ত্রী করিনা ও বলিউডেরই কয়েক জন সহকর্মীকে কটাক্ষ করায় উত্তেজিত হয়ে রেস্তোরাঁর ভিতরেই একজনকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫ ধারায় গ্রেফতার করা হয় সাইফকে। পরে জামিন দিয়ে ছাড়া পান।

১৯৯৪ সালে সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ খানকে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শাহরুখ বলেছিলেন, থানা থেকে স্ত্রী ও আইনজীবীকে ফোন না করে আমি ওই সাংবাদিককে ফোন করে ফের একবার হুমকি দিয়েছিলাম।

কেরিয়ারের মধ্যগগনেই মাদক পাচারের অভিযোগ ওঠে ফারদিন খানের বিরুদ্ধে। ২০০১ সালে লক্ষ টাকার কোকেন-সহ ফারদিনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর কেরিয়ারেও ইতি পড়ে যায় অভিনেতার।

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৯ সালে গ্রেফতার করা হয় ‘গ্যাংস্টার’ অভিনেতা শাইনি আহুজাকে। নিম্ন আদালতে তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময়ের জন্যই কারাগারে কাটাতে হয় অভিনেতাকে।

জনপ্রিয় ব্যান্ডের ফ্যাশন শো-তে নিজের স্ত্রী টুইঙ্কল খান্নাকে দিয়ে প্যান্টের জিপ খোলানোর জন্য বেশ সমালোচিত হন অক্ষয় কুমার। পাবলিক শো-তে এমন আচরণের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল টুইঙ্কলকে। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছিলেন তিনি।

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.