আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

এক নিরব আলোকবর্তিকার নাম সরওয়ার হোসেন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-১০ ০০:৫৯:২২

ফজলুর রহমান জসীম :: সরওয়ার হোসেন তিনি কোন মন্ত্রী বা এমপি নন। কানাডা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ।নিজের সততা, যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতা দিয়ে হয়েছেন গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের মানুষের আস্থার প্রতীক, এক আলোকবর্তিকা।

তিনি মন্ত্রী বা এমপি নন সত্য, কিন্তু ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে জনসেবাকে করেছেন জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সংসদীয় আসনে অনেক এমপি, মন্ত্রী হয়েছেন কিন্তু তারা জনগণের পাশাপাশি খুব কমই থেকেছেন, নিজের পছন্দের লোক দিয়ে বলয় সৃষ্টি করে কেন্দ্রে থেকেছেন।জনগণ বলয় ভেঙে কাছে যেতে পারে না আর কেউ পৌঁছে গেলে খিটখিটে বদমেজাজী কথাবার্তায় উনার জনমের সাধ মিটে যায়।কিন্তু গোলাগঞ্জ -বিয়ানীবাজারে নিপীড়িত, নির্যাতিত রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের ছায়া এমপি হলেন সরওয়ার হোসেন। যে, যে বিপদেই পড়ুক না কেন কাউকে পাশে না পেলেও শেষ ভরসা হিসেবে আছেন তিনি। তাকে ফোন দিতে কোন সময় জ্ঞান লাগে না, দিন কিংবা রাত যে কোন সময় কল দিলে হাসিমুখে দেন সমাধান, কোন বিরক্তি নেই। অনেকে বলবে হয়ত তিনি এমপি হতে চান তাই এমন মাটিরর মানুষ হয়েছেন, তাতে মন্দ কিসে এমন মানুষই তো জনপ্রতিনিধি হওয়া দরকার।আর এমপি হয়ে পাল্টে যাবেন বললে বলবো তিনি এমপি হয়ে এমন কোন ব্যক্তিগত সাধ আহ্লাদ পুরণ করবেন যা এখন করতে পারছেন না, জানি কেউ উত্তর দিতে পারবেন না। বরং এমপি হলে জবাবদিহিতা দিতে হবে।কানাডার এই সুখ আহ্লাদের জীবন ছেড়ে মাঠে ঘাটে কাটাতে হবে সময়।

এমপি মন্ত্রী না হয়েও সরকারীভাবে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে কয়েক কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করিয়েছেন। বর্তমান মন্ত্রীর খলিফারা ব্যক্তিগত ক্ষমতা দেখাতে যে সব কাজ আটকে রেখেছিল নিজ উদ্দ্যোগে সে সব কাজ করে দিয়েছেন। উনার প্রচেষ্ঠায় গোলাপগঞ্জ উপজেলায় দেড় কোটি টাকার পাঁচটি গ্রামীণ রাস্তার কাজের টেন্ডার হয়েছে গত ০৮/০৫/২০১৮ তারিখে।

যার মধ্যে আমনিয়া-ডামপাল রাস্তাটি পাঁকা করণের জন্য বিগত ১৯৯৬সালে যখন নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম এমপি হন তখন থেকেই এলাকাবাসী উনার কাছে বার বার দেখা করেছে শুধুু আশ্বাস দিয়েছেন বাস্তবায়ন হয় নাই। বিএনপি সরকারের সময় রাস্তার পাশে ঈদগাহ নির্মাণ জটিলতায় কাজ হয় নি কিন্তু পাশের রাস্তাটি তৎকালীন সতন্ত্র্য সংসদ সদস্য ডঃ সৈয়দ মকবুল হোসেন পাঁকা করে দেন, ঈদগাহ সংক্রান্ত জটিলতা না হলে এই রাস্তাটিও পাঁকা হয়ে যেত।

পরবর্তীতে আবার এমপি হন নুরুল ইসলাম নাহিদ নির্বাচনী প্রচারণা থেকে যখনই এই এলাকায় যান বলেছিলেন পাঁকা করে দিবেন, এলাকাবাসীর আবেদন পত্র নিয়ে যান পররবর্তীতে গুম হয়ে যায় কোন এক খলিফা দ্বারা, বারবার এলাকাবাসী আবেদনপত্র দেয় আর তিনি আশ্বাস দিয়ে গেছেন অনবরত আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে ছেলেখেলা করেছেন, বিশ্বব্যাংক এডিবির জটিল জটিল গল্প শুনিয়েছেন। অবশেষে এই সরওয়ার হোসেনই এই রাস্তার টেন্ডার করিয়েছেন।এলাকাবাসীও উনার প্রতি কৃতঙ্গতা জানিয়েছে।নিরবে নিভৃতে এরকম হাজারো সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন।

সিলেটস্থ শেখঘাটের বাসা গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের মানুষের জন্য সব সময় উন্মুক্ত রেখেছেন, রাতের বেলা বাসা গিয়ে না খেয়ে ফিরতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম।

বিগত বন্যার সময় গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের প্রত্যন্তে অঞ্চলে কাটিয়েছেন দিনরাত, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুই উপজেলায় দুই কোটি টাকার চাল বিতরণ করেছেন, আমি নিজ কানে শুনেছি তিনি বলেছেন আমি বাসায় যে চাল খাই সেই মানের চাল বিতরণ করছি।সিলেটে থাকলে ভোর থেকে মধ্যরাত অবধি গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের অলি গলিতে সময় কাটান।এমন কোন নেতাকর্মী নেই যার বাড়িতে উনার পা পড়েনি।

এমন এক জনদরদী মানুষকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার মাঝি পেতে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের তৃণমূল নেতাকর্মী এমনকি সাধারণ মানুষও স্বপ্নের জাল বুনছে।
 
মনে প্রাণে চাই কারো সাথে তুলনায় নয় ব্যক্তিগত যোগ্যতায় নৌকায় চড়ে স্বপ্নের ঠিকানা জাতীয় সংসদে পৌঁছান, অব্যাহত রাখুন জনসেবা। অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় সরওয়ার হোসেন ভাই।

লেখক : সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা।

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন