আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১০-০৫ ১৬:৩৪:৩৯

লেখক

হিল্লোল পুরকায়স্থ :: আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস, ফেসবুক খোলে শিক্ষক দিবসের কথা জানতেই কেমন জানি শরীলটা শিউরে উঠল। কারন আমার বাবা ছিলেন পেশায় একজন শিক্ষক, কালের পরিক্রমায় তিন এখন আর বেঁচে নেই।

১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ অক্টোবর এ দিবসটি জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কোর উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হয়। বিশ্বের শিক্ষকদের অবদান স্বীকার, তাদের মূল্যায়ন এবং এগিয়ে নেয়াসহ শিক্ষক ও শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ইউনেস্কো দিবসটি পালন করে আসছে।

খুব কাছ থেকে দেখেছি শিক্ষকদের প্রাণ হল নিবেদিত। বাবার পেনশনের কাগজ ঠিক করতে গিয়ে জানতে পাই ৩০০ টাকা দিয়েই কর্মময় শিক্ষকতা শুরু। সংসারের শত প্রয়োজন মিঠানোর দিকে না চেয়ে সঠিক ভাবে শিক্ষাদান করা যেন একজন শিক্ষকের জীবন। আশরাফ সিদ্দিকী রচিত তালেব মাস্টার কবিতার সাথে যেন বাবার শিক্ষকতা জীবনের মিল পাই।

বাবা ক্লাসে কেমন শিক্ষাদান করতেন তা হয়ত কখন দেখা হয়নি কিন্তু উনার রেখা অসংখ্য ছাত্র, ছাত্রীদের কাছ থেকে বাবার প্রশংসা আজও শোনতে পাই। বাবা যখন বাসায় থাকতেন  অনেকেই আসত বাবার খুজে কিন্তু বাবাতো রাজনীতি করতে না তাহলে তারা কেন আসত, তারা আসত বিভিন্ন বিষয় স্ম্পর্কে জানতে, বিভিন্ন বিষয় বুঝতে। ঐ লোক গুলো যেন বাবার উপর নির্ভরছিল তখন থেকে মনে ধারনা জন্মে একজন শিক্ষক শুধু স্কুলে পাঠদান করেনা, সমাজ সেবার ভূমিকাও রাখে।

বাবা ছিলেন আমার জন্য পথ-প্রদর্শক। তিনি ছিলেন আমার শিক্ষক। বাবাকে হারিয়ে আমার মনে হয়, আমার মাথার ওপর যে ছায়া ছিল। সেটা এখন আর নেই। পড়াশোনার হাতেখড়ি যার কাছে শিখা তিনি আর কেউ নয় তিনি আমার প্রথম শিক্ষক আমার বাবা। বাবা তার কুলে বসিয়ে ‘আয় আয় চাঁদ মামা’ শিখিয়েছেন। তাছাড়া তিনি পেশায়ও একজন শিক্ষক ছিলেন। বাবা আমাকে যথটানা এতাডেমিক শিক্ষাদিতেন তার চেয়ে বেশি শিক্ষাদিতেন নীতি- নৈতিকতা। বাবা বলতেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনেক শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে, যানা পেলে মানুষে জ্ঞানের পূর্ণতা প্রাপ্তি হয় না। তাই বলি প্রত্যেক পরিবারই হয়ে উঠুক আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর  প্রত্যেক বাবা হয়ে উঠুন আদর্শ শিক্ষক। প্রত্যেক বাবা জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিক সব সন্তানের মাঝে। হয়ে উঠুক সবার একজন প্রিয় শিক্ষক।


লেখক: সাংবাদিক

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন